বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবন-৪ আসনের বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী ও পাবনা-৫ আসনের বিএনপির প্রাথমিকভাবে মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। একদন্ত একটি মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এদুর্ঘটনা ঘটে।
এতে শিমুল বিশ্বাসের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় গাড়ীতে থাকা পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু, বেড়া উপজেলা বিএনপির নেতা রইজ উদ্দিন,শিমুল বিশ্বাসের ব্যক্তিগত সহকারী এনাম আহমেদ,গাড়ি চালক শফিউদ্দিন আহত হন। আহতরা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সবাই আশঙ্কা মুক্ত আছেন।
পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন ট্রেনের ভাড়া সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২২৬ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। পন্টেজ চার্জ সমন্বয় করে ছয়টি রুটে এই ভাড়া বাড়ানো হলো। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে নতুন এই ভাড়া কার্যকর হবে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য অফিসার) রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন বিভিন্ন ব্রিজে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে অভিন্ন সামঞ্জস্যপূর্ণ পয়েন্ট চার্জ আরোপ করার ফলে বিভিন্ন রুটে যাত্রী প্রতি ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
রেলওয়ের ভাষায় পন্টেজ চার্জ হলো সেতু, কালভার্ট বা ওভারপাস ব্যবহারের ফি। পূর্বাঞ্চলে সর্বশেষ এই চার্জ সংশোধন হয়েছিল ১৯৮২ সালে।কোন রুটে কত টাকা ভাড়া বাড়ল : ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে বাণিজ্যিক দূরত্ব ৩৪৬ কিলোমিটার থেকে ৩৮১ কিলোমিটারে ধরা হওয়ায় ভাড়া বেড়ে গেছে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের স্নিগ্ধা টিকিট ৮৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৪৩ টাকা। ফার্স্ট বার্থের ভাড়া ১ হাজার ২৫ থেকে ১ হাজার ১৩৩ টাকা এবং এসি সিট ১ হাজার ৫৯০ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার৭৪৬ টাকায়।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে পর্যটক ও কক্সবাজার এক্সপ্রেসের স্নিগ্ধার ভাড়া ১ হাজার ৩২২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৪৯ টাকা। এসি সিট ১ হাজার ৫৯০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৭৪০ এবং এসি বার্থ ২ হাজার ৪৩০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬৫৬ টাকা হয়েছে—যা সর্বোচ্চ।
ঢাকা-সিলেট রুটে স্নিগ্ধা এখন ৭৮৮ টাকা, আগের ভাড়া ছিল ৭১৯ টাকা। এসি সিট ৮৬৩ থেকে বেড়ে ৯৪৩ এবং এসি বার্থ ১ হাজার ৩৩৮ থেকে ১ হাজার ৪৬৫ টাকা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে স্নিগ্ধার ভাড়া ৮৫৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০৯ টাকা এবং শোভন চেয়ারে ২৫ টাকা বেড়েছে। ফার্স্ট বার্থ নির্ধারিত হয়েছে ১ হাজার ১৩৭ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ৮৭ এবং এসি বার্থ ১ হাজার ৫৯১ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৬৭৮ টাকা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-জামালপুর রুটে শোভন চেয়ার ভাড়া ৫২৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৪৫ টাকা। স্নিগ্ধা ১ হাজার ৭ থেকে বেড়ে ১ হাজার ৪১, এসি সিট ১ হাজার ২৫৪ এবং এসি বার্থ ১ হাজার ৯২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে শোভন চেয়ার ২৫০ থেকে বেড়ে ২৫৫ টাকা হয়েছে। স্নিগ্ধা এখন ৪৮৯ টাকা যা আগে ছিল ৪৭৮ টাকা, এসি সিট ৫৮৭ এবং এসি বার্থ ৯২৪ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস
আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।
সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।
ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।
এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।
বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।
আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”
জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।
বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।