আজঃ বুধবার ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী তারেক রহমান।

-সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম,লেখক- সাবেক ছাত্রদল নেতা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক ১/১১ তে বিএনপির প্রেস উইং এর দায়িত্ব পালনকারী বিএনপি নেতা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। সে যুদ্ধের কনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা শিশু তারেক রহমান। বাবা তৎকালীন সেনা ব্যারেক থেকে দেশের প্রতি অঘাড় প্রেমে “বিদ্রোহ” ঘোষণার মাধ্যমের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে মেজর জিয়াউর রহমান যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিে যাদ্ধা মেজর জিয়ার স্বপরিবার কারাবন্দী ছিল। সে হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের শিশু বন্দী তারেক রহমানকে নিয়েই আমার অভিজ্ঞতায় ও দর্শনে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।

তারেক রহমান এর সাথে আমার প্রথম স্বাক্ষাত ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের পরবর্তীতে চট্টগ্রামে এনেসল ম্যানশন মাঠে। বর্তমান কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ সভাপতি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মেয়র ও রাষ্ট্রদূত মীর মোঃ নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ইফতার মাহফিলের আলোচনা সভায়। আমি সে সময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর রাজনীতি শেষ করে হাটহাজারী থানা জাসাসের সভাপতির দায়িত্বে এবং হাটহাজারী থানা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাংগঠনিক সচিব এর দায়িত্ব পালন করছিলাম। ইফতার মাহফিলে আজকের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আলোচনা সভায় ১৭ মিনিট অত্যন্ত বিনয়ী বক্তব্য রেখেছেন যা অনেকাংশে আবেগঘন ছিল। দোয়া ও মুনাজাত শেষে মাগরিবের আযান হল। আমি খুব নিকটেই ছিলাম। আগত প্রচুর নেতাকর্মীরা বসে-দাঁড়িয়ে আছেন। আমি লক্ষ্য করলাম তারেক রহমান ইফতার রত অবস্থায় নিজে ২টি খেজুর ও পানি পান করেই আগত নেতাকর্মীদের ইফতারের খবর নিতে নিজ আসন ছেড়ে সকলের মাঝে ঢুকে পড়ে।

উনার পাশে নেতৃবৃন্দ বিষয়টা প্রথমে কেউ খেয়ালই করলেন না। “ভোরের সূর্য উদয় হলে বুঝা যায় দিন কেমন যাবে” এ কথাটিই আসলেই যথার্থ। এটাই দেশপ্রেমিক ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি একজন আদর্শ নেতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। ১৯৯৬-২০০১ সালের বিএনপির রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো সাংগঠনিক কর্মকান্ড তিনি সুচিন্তিতভাবে রপ্ত করেছেন। তাই তো সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ২০০১ সালের বিএনপির ভূমিধস বিজয় কেউ ঠেকাতে পারে নি। মূলত: এ ভূমিধস বিজয়ই আজকের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র পর্যায়ক্রমে শুরু হতে থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের দলের মধ্যেও অন্য দলের ও দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র তৈরী করে ফেলেছেন। যার ফলে ১/১১ সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৭-২০০৮ সালের এ অবৈধ সরকারের রোষানলে শহীদ জিয়াউর রহমান এর পরিবারকে শেষ করার মিশন শুরু হয়েছিল।

যার জন্য আমাদের দলের চেয়ারপার্সন জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়। বাদ পড়েনি রাজনীতির সাথে সক্রিয় না থাকা আরাফাত রহমান কোকো পর্যন্তও। তৎকালীন ১/১১ সরকারের আমলে সবচেয়ে নির্যাতনের স্বীকার তারেক রহমান। যে নির্যাতন করা হয়েছে তা আজীবনের জন্য পঙ্গুঁ করে দিয়েছিলেন। “রাখে আল্লাহ মারে কে”- আমাদের রব বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত “ দেশের কল্যাণে ১৯ দফা কর্মসূচী এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ এর কাজ আরো যুগ-উপযোগী করার লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল গণতন্ত্রকামী দল, দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের পরামর্শের ভিত্তিতে “রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা” রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য ২০২৩ সালেই বিএনপি’র পক্ষে ঘোষণা করেছেন।

যা একটি স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, কৃষি-শিক্ষা বিপ্লব, স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্প উন্নয়ন সহ বিভিন্ন বিষয়ের উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। এবার আসা যাক ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিপ্লব পর্যন্ত। তারেক রহমানের প্রতি পতিত সরকারের আক্রমণমূলক কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। ১/১১ সংস্কারের সাজানো সকল মামলায় সাজা দিয়ে তারেক রহমান কে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

দেশের সকল গণমাধ্যমে তাঁর সংবাদ প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে। পতিত সরকার ও বিদেশী অপশক্তি গুলো ধরে নিয়েছিল বিএনপিকে শেষ করলেই তারাই দেশের মালিক এবং তারাই ক্ষমতাই। বাংলাদেশে জনগণ ঐতিহাসিক ভাবেই গণতন্ত্রপ্রিয় এবং প্রকৃত স্বাধীনতাই বিশ্বাসী। তাই সকল অশুভ শক্তিকে, বুলেটকে ভয় না করেই ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সর্বস্তরের জনগণ ঐতিহাসিক অধ্যায়ে সূচিত হয়েছে “জুলাই বিপ্লব”। সূদুঢ় প্রবাস থেকে বাংলাদেশের আন্দোলন রত জনগণকে তারেক রহমান রাত দিন সাহস যুগিয়েছেন। দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থান ভিত্তিক আন্দোলনের পরিকল্পনা। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীলদের সজাগ দৃষ্টি রেখে আন্দোলন তীব্র করার এবং আন্দোলনরত অপরাপর বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার নির্দেশনাই জুলাই-বিপ্লব সফল হয়েছিল।

জুলাই বিপ্লব পরবর্তী দশদিনেই দেশের জনগণের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যে বার্তা “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কঠিন নির্বাচন হবে” -এ উক্তিটিই তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয়কে অনেকাংশে সামনে নিয়ে আসছে। দলের নেতাকর্মীদেরকে সর্তক করেছেন ও সাহসিকতার সাথে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৫ বছরেও জনগণ এখনও হতাশায় নিমজ্জিত। অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসবেন ঘোষণা দেয়ার পূর্ব মুহুর্তেই দেশে ভয়-ভীতি সৃষ্টির লক্ষ্যে জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের সমন্বয়ক ওসমান হাদিকে হামলা করলো এবং পরে শহীদ হল। এটিও ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষ থেকে একটি বার্তা।
এ বার্তাটাই আমাদের দলের এবং অপরাপর সকল গণতান্ত্রিক দলের কর্মকান্ডে প্রতিফলন ঘটাতে হবে এবং সকলকেই সর্তক থাকতে হবে। ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আগামী দিনের বিএনপির কর্ণধার শহীদ জিয়া ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমগ্র দেশের জন্য আনন্দের এবং এই আনন্দ দেশপ্রেমিক জনগণের। তারেক রহমান শুধু দলের সম্পদ নয়, তারেক রহমান সমগ্র বাংলাদেশের সম্পদে পরিণত হয়েছে। যার জন্যই ষড়যন্ত্র আরো তীব্র হচ্ছে।

বিএনপি ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বরের সিপাহী বিপ্লব, ১৯৯০ সালের গণ আন্দোলন এবং ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে বাংলাদেশে রাজনীতি করেছে, করছে এবং করবে। শহীদ জিয়ার বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে আপোষহীন নেত্রী হিসেবে দেশের প্রথম জনপ্রিয় মহিলা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালন এই ধারাবাহিকতায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আধুনিক রাষ্ট্র বির্নিমাণে আগামী দিনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক, বাক-স্বাধীনতা, গণ-মাধ্যমের স্বাধীনতা, বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি, সুনির্দিষ্ট প্রকৃত শিক্ষানীতি, উন্নত চিকিৎসা সেবা। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সকল ধর্মের বর্ণের সহ অবস্থান নিশ্চিত সহ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী তারেক রহমান। এটাই স্বাধীনতার ৫৫ বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর আশা ও প্রত্যাশ্যা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচারে আটক পুলিশ সদস্যের মুক্তির অভিযোগ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরের প্রবেশমুখ বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশির সময় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা গায়েব করে ফেলার অভিযোগও উঠেছে বাকলিয়া থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম ইমতিয়াজ হোসেন। তিনি কক্সবাজার জেলা আদালতের এক বিচারকের গানম্যান হিসেবে কর্মরত।

ইমতিয়াজ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ভেতরে ব্যাপক আলোচনা ও অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর দাবি, পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
সূত্রে জানায়, গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে নগরের শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রিজ) এলাকায় বাকলিয়া থানার অংশে ঢাকাগামী একটি বাসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বাসটি ওই দিন রাত ১০টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসে। তল্লাশির সময় সন্দেহভাজন হিসেবে ইমতিয়াজ হোসেন নামে এক যাত্রীকে আটক করে পুলিশ বক্সে নেওয়া হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে নয়টি বক্সে মোট ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে দাবি সূত্রের। একপর্যায়ে আটক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে জানান, তিনি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ২ এর বিচারক রোকেয়া আক্তারের গানম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, পরিচয় জানার পর দরকষাকষির মাধ্যমে বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভীর আহমেদ ইয়াবাগুলো জব্দ না করে ইমতিয়াজ হোসেনকে ছেড়ে দেন। ওই সময় ঘটনাস্থলে বাকলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন, দায়িত্বরত এএসআই সাদ্দামসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধার হওয়া ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

পুলিশ সূত্র জানায়, ইমতিয়াজ হোসেনের ব্যবহৃত একটি ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড ও যাতায়াতের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত তিন মাসে তিনি একাধিকবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় যাতায়াত করেছেন। গত ১৩ অক্টোবর ঢাকায় গিয়ে ১৭ অক্টোবর কক্সবাজার ফেরেন। এরপর ১৫ নভেম্বর ঢাকায় গিয়ে ১৭ নভেম্বর ফেরেন। পাঁচ দিন পর আবার ২২ নভেম্বর ঢাকায় গিয়ে ২৪ নভেম্বর কক্সবাজার ফেরেন। সর্বশেষ ৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি ঢাকাগামী বাসে ওঠেন। তবে ওই দিন কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকায় চেকপোস্টে আটক হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে চলে যান।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজার আদালতে একসময় কর্মরত সায়েম নামে এক পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে মাদক চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন ইমতিয়াজ। সায়েমও এক বিচারকের গানম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন এবং তাঁর সঙ্গে ইমতিয়াজের ঘনিষ্ঠতা ছিল।তিনি আরও জানান, প্রায় এক বছর আগে সায়েমসহ দুই ব্যক্তিকে ইয়াবাসহ আটক করে র‌্যাব, পরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে পুলিশ সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন, বাকলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভীর আহমেদ, সেকেন্ড অফিসার এসআই আল আমিন ও এএসআই সাদ্দামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) আমিনুর রশিদ বলেন, বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার পুলিশ লাইন্সের আরআই ইন্সপেক্টর আশরাফ আলী বলেন, ইমতিয়াজ হোসেন ২০২২ সালের ১৩ জুলাই কক্সবাজার পুলিশ লাইন্সে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির গানম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এমপিএইচ কোর্স কারিকুলাম হালনাগাদকরণে সিভাসু’তে কর্মশালা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ‘এমপিএইচ (মাস্টার অব পাবলিক হেলথ) কোর্স কারিকুলাম পর্যালোচনা এবং হালনাগাদকরণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট এই কর্মশালার আয়োজন করে। সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ এবং আইইডিসিআর এর সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. মো: মাহমুদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো: আহসানুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র প্যাথলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রভাষক ডা: জাহান আরা।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. মো: আহসানুল হক এমপিএইচ কোর্স কারিকুলামের বর্তমান রূপরেখা তুলেন ধরেন এবং প্রস্তাবিত আপডেটগুলো উপস্থাপন করেন। তারপর অনুষ্ঠিত হয় টেকনিক্যাল সেশন।

দুইটি টেকনিক্যাল সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা এমপিএইচ কোর্স কারিকুলাম ও প্রস্তাবিত আপডেটগুলো পর্যালোচনা করেন এবং উক্ত কোর্স কারিকুলামকে কিভাবে আরো সময়োপযোগী করা যায় সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন।উল্লেখ্য, সিভাসু’র ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ