আজঃ শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জালসা থেকে কিশোর অপহরণ, শিকলে বেঁধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ

প্রভাষক গিয়াস উদ্দিন সরদার পাবনা প্রতিনিধি।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় জালসা থেকে এক কিশোর কে তুলে এনে শিকল দিয়ে বেঁধে রাত ভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর)রাত ৮ টার দিকে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আদাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কিশোরের নাম সাগর (১৫), সে ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের করিম উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাগরের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার দৌধুনিয়া গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে সাগর প্রেমিকার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ও কিছু স্বর্ণ ও রুপার অলংকার নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই অলংকার উদ্ধারের অজুহাতে প্রেমিকার মামারা সাগরকে তুলে এনে আদাবাড়িয়া গ্রামে ওই স্কুল ছাত্রীর নানা মোঃ শুকুর আলীর বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী তার নানির বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে সাগর আদাবাড়িয়া জলসায় গেলে সেখানে কথা বলার সময় প্রেমিকার মামা মোঃ ফারুক হোসেন, রাসেল ও জাকির হোসেন সাগর কে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাত ভর মারধর ও ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ।

খবর পেয়ে ইউপি সদস্য মোঃ আসাব আলী শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠান। তবে ঘটনার এক রাত এক দিন পার হলেও কিশোর কে উদ্ধার করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।স্কুলছাত্রীর মামা ফারুক হোসেনবলেন,জিনিসগুলো উদ্ধারের উদ্দেশ্যে তাকে তুলে এনে আটকে রেখেছি। একটু ভয় ভীতি দেখিয়েছি কিন্তু শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার বিষয় আমার জানা নেই। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মৌখিক অথবা লিখিত অভিযোগ পায়নি। এ বিষয়ে আমরা অবগত নয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োগ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ- এর নিম্নোক্ত স্থায়ী শূন্যপদ পূরণের নিমিত্ত বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকদের নিকট হতে অনলাইনে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে।
১. পদের নাম: পরিবহন কর্মকর্তা।
পদ সংখ্যা: ২টি।বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০/-। গ্রেড: ৯ম।শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
২. পদের নাম: প্রভাষক (অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল)।পদ সংখ্যা: ১টি।বেতন স্কেল:২২,০০০-৫৩,০৬০/-। গ্রেড: ৯ম।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথম শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।৩. পদের নাম: সহকারী শিক্ষক (মানবিক/ বিজ্ঞান/ বাণিজ্য)।পদ সংখ্যা: ২টি।
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০/-। গ্রেড: ১০ম।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি।৪. পদের নাম: ক্ল্যাসিক্যাল শিক্ষক।
পদ সংখ্যা: ১টি।বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০/-। গ্রেড: ১১তম।শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমএ/কামিল পাস।
৫. পদের নাম: অংকন শিক্ষক।পদ সংখ্যা: ১টি।বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০/-। গ্রেড: ১২তম।শিক্ষাগত যোগ্যতা: চারুকলা ডিপ্লোমা সনদসহ উচ্চ মাধ্যমিক পাস। স্নাতক (চারুকলা) ডিগ্রিধারীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট কাজে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।বিস্তারিত: www.cpa.gov.bd
আবেদনের শেষ তারিখ: ৬ জানুয়ারি ২০২৬ রাত ১২টা।

নেত্রকোনা ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন: ইউপি চেয়ারম্যান-সচিবকে শোকজ কারাগারে -১।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির ঘটনায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উভয়কে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

২৬ ডিসেম্বর ( শুক্রবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন এ তথ্য জানান।
অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো. ইমরান মিয়া ও সচিব রাজিব মিয়া।

এর আগে গত বুধবার জাল সিল-স্বাক্ষর দিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির খবর পেয়ে মওদুদ আহমেদ শাওন (৩৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব বাদী হয়ে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের উদ্যোক্তা ঝরনা আক্তারের স্বামী।

এদিকে শোকজের বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।তবে নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে ইউপি সচিব রাজিব মিয়া বলেন, ‘ঘটনার দিন বুধবার শোকজ করা হলেও বৃহস্পতিবার নোটিশটি হাতে পেয়েছি। আগামী তিন কার্যদিবসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। যথাযথ সময়ে জবাব দেওয়া হবে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। শাওন নিজেই সিল-স্বাক্ষর নকল করে এসব করেছেন।’

এ বিষয়ে ইউএনও আমেনা খাতুন বলেন, তাঁদের থেকে পাওয়া জবাব জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে যাচাই বাঁচাই করবে।

আলোচিত খবর

জুলাই সনদ সমর্থন করলে গণভোটে অবশ্যই হ্যাঁ ভোট দিন-প্রধান উপদেষ্টা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জুলাই সনদ সমর্থন করলে গণভোটে অবশ্যই হ্যাঁ সমর্থন
দিন-প্রধান উপদেষ্টা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ