আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

চাঁদপুরে প্রভাবশালীরা দিনদুপুরে কর্তন করে নিয়ে যাচ্ছে রাস্তার দুপাশের মুল্যবান গাছ।

চাঁদপুর প্রতিনিধি:

চাঁদপুর সরকারি রাস্তার দুই পাশে থাকা পুরনো গাছ কাটার হিড়িক পড়েছে। হঠাৎ করে ওইসব বড় বড় গাছ গুলি পাশের বাড়ির মালিকরা নিজেদের দাবি করে মূলবান গাছ গুলি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে। অথচ ওইসব রাস্তা দিয়ে ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধি, পৌর কাউন্সিলর সহ বহু সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী গনরা চলাচল করে, তাদের চোঁখে পরে গাছ কর্তনের দৃশ্যপাট, কিন্তু নজরে আসলেও সরকারি সম্পদ রক্ষায় তেমন কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি।

গেলো সপ্তাহে চাঁদপুর সদর ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক তাহাজ্জল মেম্বার নগর এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে সরকারি রাস্তার পাশে থাকা দুই টি পুরনো দামি রেনডি কড়ই গাছ কেটে নিয়ে গেছে, সে সময় ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশ এর দফদার আব্দুর রশিদ ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিক রা বিষয়টি বললে তিনি, বলেন আপনারা তাদের সাথে কথা বলুন।
যিনি গাছ কাটছে তিনি সাবেক মেম্বার তিনি অনেক দিন অসুস্থ। অথচ বহু চেষ্টা করেও সেই মেম্বার কে খুজে পাওয়া না গেলেও ছোট ছেলেকে পেয়ে গাছের বিষয়টি জানতে চাইলে।

তিনি গাছ গুলি নিজেদের দাবি করেন, এবং বলেন রাস্তা আমাদের জমির উপর দিয়ে গেছে, আর রাস্তার দুই পাশে যত বড় বড় গাছ আছে তাহা আমরা রোপন করেছি এবং এসব গাছের মালিক আমরা।

এদিকে সোমবার সদর ৯ নং বালিয়া ইউনিয়ন ফরক্কাবাদ বাজার থেকে বালিয়া বাজার সড়কের রাস্তার পাশে থাকা অনেক পুরনো ২ টি রেনডি কড় গাছ কাটতে দেখা যায়, আর সেখানে বলা হয় ওইসব গাছ তাদের তাই তারা কেটে নিচ্ছে।

এর পরে চাঁদপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড এর জুট মিলের পরে সাবেক মহিলা কাউন্সিলর শাহনাজ বেগমের বাড়ির একটু সামনে রাস্তার পাশে থাকা অনেক পুরনো দামি ২ টি রেনডি কড়ই গাছ পাশের বাড়ির লোকজন নিজেদের দাবি করে কেটে নিয়েছে, অথচ ওই সময় ওই পথ দিয়ে ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম কে মোটরসাইকেল যোগে যেতে দেখা গেলো। কিন্তু সেখানে কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি।
এছাড়াও গত সপ্তাহে হাইমচর উপজেলায় চরভৈরবী সরকের কমডকার আরেকটু সামনে রাস্তার পাশে থাকা রেনডি কড়ই গাছ কর্তন কালে ওই ভদ্রলোক বলেন আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা গেছে তাই আমরা গাছের মালিক বলে কেটে নিছে।

ঠিক এমনি করে গত কয়েক মাস যাবত চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ- হাজীগঞ্জ- শাহরাস্তি – কচুয়া- মতলব দক্ষিণ – মতলব উত্তর, থানার বিভিন্ন এলাকার সাখা সংযুক্ত রাস্তার পাশে থাকা মোটা মোটা অনেক পুরনো যেমন ৩০-৪০ বা তার অধিক বছরের পুরনো গাছ গুলি কেটে নিতে দেখা গেছে।
অথচ সরকার সব সময় ঘোষণা দেন গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান, আসলে আজ গাছ কর্তনের কারনে জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে, ফলে ঘূর্ণিঝড় আর ভূমিকম্প হচ্ছে সচঅচর।

অপর দিকে সরকার যখন রাস্তা তৈরি করেন তার আগে দুই পাশের জমির মালিকের কাছ থেকে জমি কিনে তার পরে রাস্তা করেন, সেখানে কোথায় রাস্তার প্রস্ততা ৩০ – ৮০ ফুট আবার কোথায় ২০ ফুট হয়, আর জমি কেনার সময় যদি কোন গাছ পরে তাহলে সেই গাছ গুলি সরকারি হয়ে যায়।

আবার সরকারের পাশাপাশি কেউ যদি রাস্তার দুই পাশে গাছ রোপন করে তাহলে তার ফল ওই রোপনকারি খেতে পারবে কিন্তু দুই পাশের কোন বাসিন্দা গাছ কেটে নেবার আইন নেই, এমন আইন থাকা সত্বেও বর্তমান সময়ে সরকারি রাস্তার দুই পাশের গাছ কর্তনের হিড়িক কেনো সেটা জানার বিষয়।
আর তাই এ বিষয় সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জেলার সচেতন মহল মনে করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ