আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনী খবর:

শমসের মবিনের নির্বাচনি জনসভায় আওয়ামী লীগ নেতারা।

সিলেট প্রতিনিধি:

শমসের মবিন চৌধুরী তৃনমুল বিএনপি:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। রাজনীতির নানা হিসেব-নিকেশের পর পাল্টে গেছে সিলেট-৬ আসনের নির্বাচনের দৃশ্যপট। তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

গোলাপগঞ্জ আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা শমসের মবিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাকে নিয়ে নির্বাচনি সভাও করেছেন তারা। অপরদিকে নৌকার প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বর্তমান সাংসদ নুরুল ইসলাম নাহিদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সিলেট জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর নির্বাচনি জনসভায় দেখা গেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের। নৌকা ছেড়ে আওয়ামী লীগ নেতারা অংশ নিচ্ছেন শমসের মবিনের প্রচারণায়।

জানা যায়, এবার সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে আলোচনায় রয়েছে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার নিয়ে গঠিত সিলেট-৬ আসন। আসনটিতে ৪ জন হেভিওয়েট প্রার্থীসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন, সোনালি আঁশ প্রতীক নিয়ে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা সেলিম উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আতাউর রহমান আতা ছড়ি প্রতীক নিয়ে এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমান মিনার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এ উপজেলার আওয়ামী লীগ সমর্থিত কয়েকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বুধবার শমসের মবিনের জনসভায় সভাপতিত্ব করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুবিন আহমদ জায়গিরদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হকের পরিচালনায় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। এ ছাড়াও জনসভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিল্লুর রহমান, রুকন উদ্দিন, আবুল ফজল চৌধুরী শাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশেদ আলম চৌধুরী রিপন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রুহিন আহমদ খান।

এ ব্যাপারে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ও সোনালি আঁশের প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট-৬ আসন উন্নয়নবঞ্চিত। এই আসনের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন, এজন্য আমি অভিভূত, উচ্ছ্বসিত। আশা করি, নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করবোই।’

জানা যায়, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৬ আসন। বিয়ানীবাজার পৌরসভায় রয়েছে ১০টি ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় রয়েছে ১১টি ওয়ার্ড। এখানে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৯২টি। এর মধ্যে, বিয়ানীবাজারে রয়েছে ৮৯টি ও গোলাপগঞ্জে ১০৩টি স্থায়ী ভোটকেন্দ্র। একইসঙ্গে এই দুটি পৌরসভায় রয়েছে এক হাজার ৮৯টি ভোটকেন্দ্র। এর মধ্যে, বিয়ানীবাজারে রয়েছে ৪৮০টি স্থায়ী ও ৯টি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র। গোলাপগঞ্জে রয়েছে ৬০০টি স্থায়ী ও ৩৫টি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র। এ আসনে ভোটার রয়েছেন চার লাখ ৭২ হাজার ৭৪৯ জন। এর মধ্যে, বিয়ানীবাজার পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৫ হাজার ৮৩ ও নারী ভোটার এক লাখ ৩৪ হাজার ৫৫ জন। সব মিলিয়ে বিয়ানীবাজারে নারী-পুরুষ ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ৬০ হাজার ৩৮ জন। এ ছাড়া গোলাপগঞ্জে পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৯২৬ ও নারী ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৩১ হাজার ৭৮৪ জন। এখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ৬৬ হাজার ৭১১ জন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ : মোমিন মেহেদী

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ। যেমন ক্ষমা করেনি অতিতের খলনায়কদেরকে, আগামীতেও করবে না। তিনি নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির আয়োজনে ৫ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।

‘বন্দর বাতিল করা সময়ের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদ রানা প্রমুখ। এসময় মোমিন মেহেদী অন্তবর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নোবেল পাওয়ার পর ২০০৬ সালেই তিনি বলেছিলেন বন্দর মুক্ত করে দিন, আমি দেখবো বন্দর ব্যবস্থাপনা; আজ জাতির ক্রান্তিকালে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে খাদের কিণারে রেখে বিদেশী কোম্পানীর হাতে তিনি বন্দর তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি নিজের স্বার্থে এদেশকে খন্ড-বিখন্ড করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্ষতির মুখে ফেলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববনে না।

এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বন্দর চুক্তি বাতিলের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এরমধ্যে দেশ বিরোধী বন্দর চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রিট করানো হয়েছে। সেই রিট অনুযায়ী মাননীয় আদালত বন্দর চুক্তির সকল কাজ বন্ধের আদেশ দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাতিলের দাবিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। নির্মম হলেও সত্য যখন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলো ড. ইউনূসের হাত ধরে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, তখন বাংলাদেশের ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়ে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, দুর্নীতি স্বয়ং ইউনূস সাহেবের আত্মীয়-স্বজন-পারিষদবর্গ আর পিয়ন-চাপরাশিদের পৃষ্টপোষকতায় অতিতের রেকর্ড ভেঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমাদের এক কথা, তাদের এই বন্দর চুক্তি বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বোয়ালখালী পোপাদিয়া ৭;নং ওয়ার্ড় বিএনপির উঠান বৈঠক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সমর্থনে বোয়ালখালীর ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যাগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দিপক কুমার লালার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান, প্রধান বক্তা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মহসিন খান তরুণ,পোপাদিয়া ইউনিয়ন নির্বাচন সমন্বয়কারি আলহাজ্ব জাকের হোসেন , যুগ্ন আহবায়ক আবুল

হাশেম,বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সংগঠনিক সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসলেম মিয়া। দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ দিদারুল আলম( রিটনমেম্বার), পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’রযুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম ইকবাল ,সাবেক ছাত্রদল নেতা মো নাজিম উদ্দীন, বিমল আচার্য়্য বাসু,মাস্টার নিপক লালা,সুনীল সুত্রধর, প্রবীর দাশ,ঝাউতলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়দাশ লালু,নিরুপম আচার্য্য,রুপক লালা, প্যানেলে চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী ,শ্রমিক দল নেতা হোসেন চৌধুরী, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,

বক্তব্য রাখেন কৃষকদল বোয়ালখালী উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ ওসমান,যুগ্ন আহ্বায়ক আলমগীর, শ্রমিকদল বোয়ালখালী উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল।তাজুল ইসলাম, এমদাত আনসারি,নজরুল ইসলাম বাবু ,টুটুল,সিদ্দিক আজাদ রিহাদ,বেলাল সাহেব, রাইহান,আজাদ খান,লোকমান, আবদুল সালাম ছোটন,জাবেদ,শ্রমিকদল নেতা সাইফুল আলম । এন এম টিপু প্রমুখ। বক্তব্যরা বলেন
“বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ গণমানুষের প্রতীক। যেই খানেই ধানের শীষের প্রচারণা চলছে সেখানেই জনজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।” তিনি আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বোয়ালখালীর উন্নয়নে সহযোগী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি জোর আহবান জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ