আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলার ভোটের খবর:

তিরস্কারকারীদের ভালবাসা দিয়ে স্মার্ট মৌলভীবাজার বিনির্মাণ করবো: জিল্লুর রহমান।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেছেন, আমাকে যারা তিরস্কার করেছিলেন, আমি তাদেরকে বলতে চাই। আমি শিখিনি যারা নৌকা পায় তাদেরকে তিরস্কার করতে হবে। বিগত দশ বছর ধরে আমাকে এবং আমার বাবাকে অপমান করেছেন। আমি বলতে চাই, আমি আপনাদের আমার বাবার চেয়েও বেশি মূল্যায়ন করবো।আমি ভালবাসা দিয়ে আপনাদের মন জয় করবো। জাতির পিতার স্বপ্নপূরণে আমি স্মার্ট মৌলভীবাজার বিনির্মাণ করবো।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের চৌমুহনায় বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই জনসভায় মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত হন। মিছিলে স্লোগানে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন তারা। জনসভায় আওয়ামী লীগ সহ অন্যন্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সরব উপস্থিতি ছিলো। নৌকার জয়লাভের লক্ষ্যে জনসভায় বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে মূর্হমূর্হ স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে জিল্লুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজারে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিব। অন্যান্য জেলায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কিন্তু মৌলভীবাজারে নেই। আমি নির্বাচিত হলে যে কোন মূল্যে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় করবো। জাতির পিতার নামে একটি লাইব্রেরি করবো। শিশুদের জন্য বিশেষায়িত পার্ক করবো। মনু ও কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন থেকে এই জনপদকে রক্ষা করবো। খেলাধুলার বিকাশের জন্য মৌলভীবাজারে দুইটি মিনি স্টেডিয়াম হবে।

তিনি বলেন, আমি টিআর কাবিখা মেরে খাওয়ার জন্য আসিনি‌। আমি কোন গ্ৰুপিং করার জন্য আসেনি। অনেক জনপ্রতিনিধি বিচারে গিয়ে টাকা খান। পরে আর বিচারের খবর থাকে না। আমরা যদি নির্বাচিত হই এই মৌলভীবাজার রাজনগরকে দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট মৌলভীবাজার উপহার দিব। সেই লক্ষ্যেই আমরা মৌলভীবাজারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইশতেহার তৈরি করেছি‌। যেখানে একটি সুন্দর আধুনিক মৌলভীবাজার গড়ার জন্য পরিকল্পনা গ্ৰহণ করা হয়েছে।

জনসভায় মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মসুদ আহমদ, রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সুয়েব, যুবলীগের উপ মহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা মহসিন প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ এই বিশাল নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন।‌‌

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দুপুরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন,নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়। এর আগে, গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ওসমান হাদি ইতিমধ্যে তার ভেড়িফাইড ফেইস বুকে লিখেছিলেন, গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।

আজ শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন-নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ