আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বড়উঠানে ৮ম-তম কোরআন তেলাওয়াত, হামদ্-নাত ও আযান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

প্রেস রিলিজ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কর্ণফুলী উপজেলা, বড়উঠান মৌলভী বাড়ীতে “সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় অষ্টম বারের মত পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ্-নাত ও আযান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান’র চেয়ারম্যান, “সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র” সভাপতিত্বে ও মিনহাজ উদ্দিন খানের পরিচালনায় গোল্ডেন ইস্পাত সৌজন্যে অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে শাহমীরপুর ফয়জুল বারী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ড. মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, বিশেষ অতিথি কর্ণফুলি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মেজবাহ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, ফাউন্ডেশন’র সচিব মোঃ রেজাউল হক খান, ইউপি মেম্বার সাজ্জাদ হোসেন খান সুমন, মোঃ মিজানুল হক খান, রকিউল হাসান খান সামি, লিয়াকত হোসেন খান খোকন, ব্যাংকার এহতেশামুল হক খান, কলিমুল্লা খান, বদরুদ্দিন খান, মোঃ জহির উদ্দিন টিপু, মোঃ সোহেল, জিহান, রাকিব, অসিউর রহমান, করিম, শাব্বির। প্রধান অতিথি বলেন, রমজানের শিক্ষা নিয়ে মানুষ ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্টীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের পরিচালিত করলে সমাজ থেকে সকল দুর্নীতি জুলুম অন্যায় সকল মন্দ কাজের অবসন ঘটবে। মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান’র ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি “সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন’র ও এলাকাবাসী ঐতিহাসিক দেয়াং পাহাড়ে আউলিয়াদের নিদর্শন বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাবলীর স্থানটি সংরক্ষণ, মাইজভান্ডারী আধ্যাত্মিক রিসার্চ সেন্টার ও এই পবিত্র স্থানটি উম্মুক্ত করার দাবির প্রতি সমর্থন জানান। রমজান মাসে আল্লাহতা’য়ালা কোরআন নাযিল করেছেন। আল কোরআনের একনিষ্ট অনুসরণ, অনুকরণ ও রাসুল করিম (সঃ) প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার মাধমে বিক্ষপ্ত অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি আসবেই। ফাউন্ডেশন’র এই ধরনের ধর্মীয় প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেন। তিনি বড়উঠানে একটি হাসপাতাল নির্মাণের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান সভাপতির বক্তব্যে বলেন-আমি এবং আমার পরিবার মানবেতর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। রমজানে একসাথে ইফতার ধনী-গরীব এর মাঝে ভ্রাত্বত্বের বন্ধন, ভুলবুঝা বুঝি অধিকতর সুদৃঢ় হয়। তিনি গোল্ডেন ইস্পাত সহযোগিতা করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। সামাজিক দায়বদ্ধতায় গরীব ও অসহায় মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য বড়উঠানে একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে হাসপাতালের জন্য একটি জায়গায় ক্রয় করা হয়েছে। সততা, ত্যাগ, সংযম মানবিকতা যদি থাকে, তাহলে যে কোন কঠিনকাজ সহজে হবে বলে মন্তব্য করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি যেকোন প্রতিযোগিতা মুলক অনুষ্ঠানে গাছের চারা বিতরণ করার জন্য আহবান জানান। মেজবাহ উদ্দিন খান বলেন- তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নিয়নমুলক কাজের কথা উল্লেখ করেন এবং ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান’র মহান উদ্যোগ ও মহৎ উদ্দেশ্য প্রশংসা করেন। সম্মানিত বিচারক হিসাবে প্রতিযোগিতার দায়িত্ব পালন করেন বড়উঠান মৌলভী বাড়ী ওয়াইজ বিবি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সরওয়ার আলম আলক্বাদেরী ছাহেব, মাওলানা মুহাম্মদ মনছুরুলহক খান, মাওলানা গাজী মুহাম্মদ ইছাক, হাফেজ মুহাম্মদ মোরশেদ ও হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। সম্মানিত বিচারকদের সার্বিক তত্ববধানে ছিলেন বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মোহাম্মদ মোকাম্মেল হক খান, চেয়ারম্যান “সৈয়দা হোসনে আরা-আলম খান ফাউন্ডেশন”। কোরআন তেলাওয়াতে ১ম স্থান মুহাম্মদ হজ্জাতুল্লাহিল গালিব বায়েজিদ, বারখাইন জামিয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, আনোয়ারা। ২য় স্থান মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলম, ফয়জুল বারী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, কর্ণফুলী। ৩য় স্থান মোহাম্মদ হাসান, বারখাইন জামিয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, আনোয়ারা। হামদ্-নাতে ১ম স্থান মোহাম্মদ হজ্জাতুল্লাহিল গালিব বায়েজিদ, বারখাইন জামিয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, আনোয়ারা। ২য় স্থান মোহাম্মদ সাজ্জাদ, হযরত মামুন খলিফা হাফেজী মাদ্রাসা, চন্দনাইশ। ৩য় স্থান হাবীবুর রহমান তৈয়বিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, বহদ্দার হাট। আযান-এ ১ম স্থান আহাদ আলম চৌধুরী, বারখাইন জামিয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, আনোয়ারা। ২য় স্থান আরমান হোসেন, বারখাইন জামিয়া জমহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা, আনোয়ারা। ৩য় স্থান মোহাম্মদ শেখ আলিফ মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, ষোলশহর। এবার মোট ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে কোরআন তেলাওয়াতে- ৩৫জন, হামদ্-নাতে- ৩২ জন, আযান-এ- ৩১জন সহ মোট ৯৮জন প্রতিযোগিতায় অংগ্রহন করে। পুরস্কার বিতরণ শেষে ইফতার মাহফিলে সকল মানব জাতির মঙ্গল এবং কল্যানের জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ