আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

সিএমপি’র আকবরশাহ্ থানার অভিযানে চোরাই পিকআপ সহ গ্রেফতার – ১

প্রেস রিলিজ

 

জনৈক আফতাব উদ্দিন বাদশা (৪৮) থানায় হাজির হয়ে জানান, পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলী ফইল্যাতলী বাজারস্থ “আফছার মাইক সার্ভিস নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মাইক ও সাউন্ড সিস্টেমগুলো তার মালিকানাধীন পিকআপ গাড়ী, যাহার রেজিঃ নং- চট্টমেট্রো- ন- ১১-২১০৮, সিঙ্গেল কেবিন, যাহার মূল্য অনুমান ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ) টাকা দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবহন করে থাকে। আকবরশাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী আচার্য্য পাড়া এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব অনুষ্ঠানে মাইক ও সাউন্ড ভাড়া দেওয়া হয়। তৎপ্রেক্ষিতে উক্ত পিকআপ গাড়ী দ্বারা মহোৎসব অনুষ্ঠান শেষে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে আসার জন্য গাড়ী চালক মোঃ তানভীর ইসলাম ২০এপ্রিল  রাত একটার সময় আকবরশাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী আচার্য্য পাড়া শ্মশান সংলগ্ন রাস্তার পাশে যায় এবং অনুষ্ঠান শেষ না হওয়ায় গাড়ীটি তথায় পার্কিং করে রাখে। গাড়ী চালক অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। পরবর্তীতে ২০ এপ্রিল  সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে  অনুষ্ঠান শেষে মাইক ও সাউন্ড সিষ্টেম গাড়ীতে উঠাতে গেলে গাড়ী চালক মোঃ তানভীর ইসলাম অনুষ্ঠানে মাইক ও সাউন্ড সিষ্টেম পরিচালনায় নিয়োজিত থাকা রবিউল হোসেন প্রকাশ রবি ও মোঃ রিয়াজ গণ গাড়ীটি পার্কিংরত অবস্থায় দেখতে না পেয়ে আশপাশে ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে।  উক্ত ঘটনায় তিনি থানায়  অজ্ঞাতনামা চোরের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে আকবরশাহ্ থানার মামলা নং-২৪, তারিখ-২০ এপ্রিল   ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড রুজু পূর্বক এসআই এইচ এম ওয়াহিদুল্লাহ’র উপর তদন্তভার অর্পণ করা হয়।

মামলা রুজু পরবর্তী সিএমপি’র পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব নিহাদ আদনান তাইয়ান এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এডিসি জনাব স্পিনা রানী প্রামাণিক ও পাহাড়তলী জোনের এসি জনাব মোঃ মঈনুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে আকবারশাহ্ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম রব্বানী এর নেতৃত্বে থানার এসআই(নিঃ) এইচ এম ওয়াহিদুল্লাহ, এএসআই এনামুল হক সঙ্গীয় ফোর্স সহ তাৎক্ষণিক গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত আসামি আজম @ বাদশা (২১) কে ইং ২০/৪/২০২৪ তারিখ আকবরশাহ্ থানাধীন শাপলা আবাসিক এলাকা হতে গ্রেফতার করলেও অপর ০২(দুই) জন আসামি কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার পরবর্তী আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সেও পালিয়ে যাওয়া আসামীদ্বয় সহ উক্ত পিকআপ চুরি করেছে মর্মে স্বীকার করে। অতঃপর তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে বাদীর চুরি যাওয়া এজাহারে উল্লিখিত পিকআপ, উক্ত পিকআপ গাড়ির ডকুমেন্ট ও চুরির কাজে ব্যবহৃত ১ টি মাষ্টার কী উদ্ধার পূর্বক  ১৮ টা ৫ মিনিট  জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে  আদালতে হাজির করা হলে আসামি ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরবর্তীতে আসামি কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ