আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন সরে দাঁড়ালেন জাহিদুল হক চৌধুরী মার্শাল

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

আগামী ৫ জুন বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৬ ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
নির্বাচনের দুই দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল হক চৌধুরী মার্শাল। তিনি বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটর সাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। আজ রবিবার (২রা জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতালের কেবিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরে দাঁড়ানোর এই ঘোষণা দেন। মোটর সাইকেল প্রতীকের এই চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখিত বক্তব্যে বলেন প্রিয় বাঁশখালীবাসী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদে মোটর সাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য এতদিন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় প্রচারণা চালিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ আমার শারিরিক অসুস্থতার কারণে চট্টগ্রামের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এই অসুস্থ শরীর নিয়ে কোন ভাবেই নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারছি না। এমন অবস্থায় নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। সবদিক বিবেচনা করে আমি এই নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলাম। মোটর সাইকেল প্রতীকের এই চেয়ারম্যান প্রার্থী আরো বলেন এতদিন আপনারা যারা সহযোগিতা আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দিয়েছেন সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন সুস্থ হয়ে আপনাদের সেবায় ফিরে আসতে পারি। আমি নিজেই স্বেচ্ছায় এ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এসময় হাসপাতালে তাঁর কাছের আত্মীয় স্বজন ও কর্মী সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন। পরে চেয়ারম্যান প্রার্থী মার্শাল নিজেই তাঁর কর্মী সমর্থকদের কাছে একটি ভিডিও বার্তা পাঠান। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম (দোয়াত কলম), বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. এমরানুল হক ইমরান (আনারস), বাঁশখালীর সাবেক পৌর মেয়র শেখ ফখরুদ্দীন চৌধুরী (ঘোড়া)। চট্টগ্রাম সিটি কলেজের সাবেক জিএস জাহিদুল হক চৌধুরী মার্শাল মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে মাঠে সরব থাকলেও আজ সরে দাঁড়িয়েছেন। এদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে তালা প্রতীকের আকতার হোসেন ও বই প্রতীকের মো. হোছাইন, টিয়া প্রতীকের মো. আরিফুর রহমান সুজন, চশমা প্রতীকে মো. আরিফুজ্জামান আরিফ, মাইক প্রতীকে মো. ওসমান গণী, টিউবওয়েল প্রতীকে ইমরুল হক চৌধুরী ফাহিম, উড়োজাহাজ প্রতীকের এম.এ মালেক মানিক।অপরদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে নুরী মন আক্তার নুরী, কলসি প্রতীকের রেহেনা আকতার কাজমী, ইয়ামুন নাহার প্রজাপতি প্রতীকে মাঠে লড়েছেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে আমরা শতভাগ ভালো নির্বাচন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ, এ উপজেলায় তিনটি পদে মোট ১৪ জন প্রার্থী মাঠে লড়েছেন। আগামী ৫ জুন সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাঁশখালী উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের ১১৫টি ভোট কেন্দ্রের ৮৫৬টি ভোট কক্ষে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাঁশখালীতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯শত ৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লক্ষ ২ হাজার ৩শত ২১জন, মহিলা ভোটার ১লক্ষ ৭৪ হাজার ৫শত ৮১জন, তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) ৪ জন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ