আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

সৌদিআরবে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশীর মৃত্যু

মোহাম্মদ ফিরোজ, সৌদিআরব প্রতিনিধি :

সৌদিআরবের জেদ্দায় আসফান নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু ব্যাক্তির নাম মোজাহেদুল হক (৪০)। মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ই সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ৯: ৩০ মিনিট (বাংলাদেশ সময় রাত ১২: ৩০ মিনিটের এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত মোজাহেদুল হকের বাড়ী যশোর জেলার কতোয়ালী থানার লেবুতার সারান্দার বাসিন্দা ওমর আলীর ছেলে। জানাযায়, গতকাল সন্ধ্যায় আসফানে এশার নামাজের পর সুপার মার্কেট থেকে বাজার করে রাস্তা পারাপার হবার সময় একটি প্রাইভেট কার জুড়ে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন মোজাহেদ।

মোজাহেদুল হক এর ভাইরা হাসান জানান, দুই বছর আগে কাজের সন্ধানে সৌদিআরব আসেন, আসার পর বিভিন্ন স্থানের চাকরির করেন, গতকাল কিছুদিন আগেই আমার কাছে আসে একটা কোম্পানির কাজের ব্যাপারে কথা বলতে, কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, তার আগে সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে জীবনে চলে যায়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেই সৌদি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে হিমশীতল ঘরে রাখা হয়ছে। সরকারের কাছে লাশ দেশে পাঠানোর অনুরোধ জানান মৃত মোজাহেদুল হকের পরিবার।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বিশ্ব জ্যোতিষ সম্মেলনে প্রখ্যাত জ্যোতিষী শ্রী কার্তিক কুমার আচার্য্যের জ্যোতিষ শাস্ত্রে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন

ভারতের ওয়ার্ল্ড এস্ট্রোলজার্স সোসাইটির উদ্যোগে ২৪তম আন্তর্জাতিক জ্যোতিষ সম্মেলন কলকাতার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড হোটেল হিন্দুস্থান ইন্টারন্যাশনালে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের মহাপ্রজ্ঞাবান জ্যোতিষী পন্ডিত মলয় শাস্ত্রী। উক্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন মায়ানমারের পন্ডিত টিন ও, ড. চো চো উইন, ড. নন্দ খেউ, বাংলাদেশের ঢাকার বিশিষ্ট জ্যোতিষী হারুনুর রশিদ এবং সিলেটের বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের সদস্য

এডভোকেট দিলীপ কুমার দাশ এবং জ্যোতিষী অধ্যক্ষ এ.আর. আচার্য্য, ও দক্ষিণ ভারতের কেরালার প্রখ্যাত জ্যোতিষী প্রফেসর ড. দিবাকরণ কুগ্ধকাটু সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জ্যোতিষীবৃন্দ।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রখ্যাত জ্যোতিষী শ্রী কার্তিক কুমার আচার্য্যকে তাঁহার গবেষণাপত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষ অবদানের জন্য অনারেবল ‘ডক্টর অব এস্ট্রোলজী’ পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, কার্তিক কুমার আচার্য্য চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক এ ফার্স্ট ক্লাস এবং চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজ থেকে উচ্চ

মাধ্যমিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হইতে অর্থনীতি বিভাগে অনার্স এবং চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০২২ সালে অর্থনীতিতে মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
এছাড়াও তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড হইতে জ্যোতিষ, স্মৃতি, পৌরহিত্য, কাব্য, ব্যাকরণ, পুরাণ, বেদসহ সপ্তমতীর্থ উপাধি অর্জন করেন। ইহা ছাড়াও তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রে ২০১৫ সালে জ্যোতিষ জ্ঞানী ২০১৬ সালে জ্যোতিষ ভাস্কর, ২০১৭ সালে জ্যোতিষ সম্রাট ও স্বর্ণপদক সহ একাধিক সম্মানসূচক উপাধি প্রাপ্ত হন এবং জ্যোতিষ গ্রন্থ “বেদের চক্ষু জ্যোতিষশাস্ত্র”, “পৌরহিত্য”, “ঋষিদের আবিষ্কার স্মৃতিশাস্ত্র”, “ঋষিদের রত্ন স্মৃতিশাস্ত্র”, “স্মৃতিশাস্ত্রকে জানুন” উক্ত পুস্তকসমূহে তিনি সহকারী সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল এস্ট্রোলজার্স সোসাইটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার সহ- সাধারণ সম্পাদক। তিনি চট্টগ্রাম শহরেই জন্মগ্রহণ করেন। তাহার পিতা অধ্যক্ষ এ. আর. আচার্য্য আজ ৪৯ বৎসর এই জ্যোতিষ শাস্ত্রে চট্টগ্রামে মোমিন রোড সাত্তার ম্যানসনে জ্যোতিষ শাস্ত্রে সনাতন ধর্মে দশবিধ সংস্কারের সুধীজনের প্রিয় একজন জ্যোতিষশাস্ত্রী। তিনি পোপাদিয়া বিপুলা সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি পরীক্ষার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের কেন্দ্র সম্পাদক।

পরিচ্ছন্নকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে: মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রাম নগরীতে কর্মরত বর্জ্য সংগ্রহকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে ইপসা (ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন) নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে রোববার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নগরীর হালিশহর আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল্ডে বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কমান্ডার মো. আরিফুর

রহমান, ইপসা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান, চসিকের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নাছির উদ্দিন রিফাত, ইপসা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের ফোকাল ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সবুর, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অপূর্ব দেবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, আমরা ‘ক্লিন সিটি, গ্রীন সিটি, হেলদি সিটি’ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হলো প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য, যা নালায় জমে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত করছে। সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। চসিক তিনটি ধাপে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে—প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও চূড়ান্ত স্তর। পরিকল্পনার আওতায় বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করা হবে, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বায়োগ্যাস উৎপাদন ও সার তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
শহর পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ রক্ষার জন্য নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে একটি উদ্যোগ নিয়েছি, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্লাস্টিক জমা দিলে বিনিময়ে চাল, ডাল বা অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এতে জনগণ উৎসাহিত হচ্ছে এবং পরিবেশবান্ধব আচরণ গড়ে উঠছে।
“সিটি কর্পোরেশন কেবল পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করছে না, বরং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের জন্য গ¬াভস, বুট, হেলমেটসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষাও নিশ্চিত করা।”

ইপসা প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান জানান, “চট্টগ্রাম নগরীতে ইপসা এখন পর্যন্ত ১,৮২৭ জন বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে, যা তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়েছে এবং কর্মঘণ্টা বাড়িয়েছে। এর ফলে নগরীর প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম আরও বেগবান হয়েছে।”
ইপসা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত এই প্রকল্পের আওতায় চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে ১,৭০০ বর্জ্য সংগ্রহকারী ও ১৫৬ জন ভাঙারিওয়ালা কাজ করছে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের মাধ্যমে ২১,৭৩৪ টন প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ