আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান

প্রেস রিলিজ

৭৬তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন-বাংলাদেশ’র আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাংবাদিক মোঃ শাহ নেওয়াজ, নারী নেত্রী রোকসানা খানম মিথুয়া, লায়ন মোঃ ইলিয়াস সিরাজী, ড. এম.এ. জলিল, আমীর হোসেন খান, সাংবাদিক গোলাম মাওলা মুরাদ, প্রফেসর রাজীব নন্দী, তাহেরা আকতার শারমীন, এস.এম. কামরুল ইসলাম, সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, নুরুল আবসার তৌহিদ, আওরঙ্গজেব খান সম্রাট

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে ৭৬তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন-বাংলাদেশ, এর কর্মীসমাবেশ এসএমএম আইএইচআরসি বাংলাদেশ’র পিস অ্যাম্বেসেডর ও ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর লায়ন মুহাম্মদ ইলিয়াস সিরাজী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মী সমাবেশে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এম এ জলিল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও সিডিএ’র বোর্ড সদস্য সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ। সংগঠনের সমন্বয়কারী সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম ও মানবাধিকার নেতা মোঃ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট’র যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজীব নন্দী। বাংলাদেশের নারী নেত্রী ও মানবাধিকার সংগঠক রোকসানা খানম মিথুয়া, চট্টগ্রাম বিভাগের প্রবীন মানবাধিকার নেতা মুহাম্মদ আমির হোসেন খান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য মুহাম্মদ গোলাম মওলা মুরাদ, পাহাড়তলী কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামল মজুমদার, সংগঠনের জোনাল কো-অডিনেটর মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগের নেত্রী তাহেরা আকতার শারমীন, মানবাধিকার নেতা ও সাংবাদিক এস.এম কামরুল ইসলাম, ব্যাংকার মোবারক আহমদ, মঈনুদ্দীন আহমেদ, চট্টগ্রাম বারের এপিপি এডভোকেট আবু বক্কর তালুকদার, এপিপি এডভোকেট আয়েশা আক্তার শানজি, ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুল আলম, মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, মোঃ জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগরের নুরুল আবসার তৌহিদ, ইঞ্জিনিয়ার রাজিব রায়, ডা. জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার অধ্যাপক খন্দকার আবু হানিফ, চৌধুরী মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ মিয়া, ভোক্তা অধিকার বাংলাদেশের মহাসচিব রায়হান সবুজ, সংগঠনের নেতা ড. সাজ্জাদ হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষায় সকল দেশপ্রেমিক মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের অতীতের সকল বৈষম্য দূর করার জন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাংবাদিক মোঃ শাহ নেওয়াজ বলেন, বাংলাদেশ একটি ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্ত হলেও ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্ত্বরা এখনও বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে পুনরায় মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। উদ্বোধকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম এ জলিল বলেন, বাংলাদেশে বিগত সাড়ে পনের বৎসর মানবাধিকার লংঘন যারা করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে ভবিষ্যতে যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় আইন প্রণয়ন জরুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রোকসানা আক্তার মিথু বলেন, ১৫ বছরের বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন হয়েছে। আগামীতে যাতে এ ধরনের আন্দোলন করতে না হয় তার জন্য গণতন্ত্র রক্ষায় দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মুহাম্মদ ইলিয়াস সিরাজী বলেন, আমাদের সংগঠন সারা বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষায় পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাজ্জাদ উদ্দিন, রাজনীতিবিদ মোঃ সাব্বির আহমদ, উত্তর জেলার সংগঠক ইউনুস মিয়া তালুকদার, বাবলু বড়ুয়া, সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতা রবিউল হোসেন সম্রাট, লায়ন রাজিব নাথ, ডা. দিলীপ বিশ্বাস, ডা. রাজু, মোঃ নুর নবী, সংগঠন মুহাম্মদ মহসিন, সাগর ইসলাম, মোঃ ইলিয়াস, নারী নেত্রী সকিনা বেগম, জোহরা বেগম, শারমীন সরকার, মনি আক্তার, নাজমা বেগম, রোকসানা চৌধুরী পপি, মুক্তি শেখ, আব্দুল কাদের রুবেল, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, মোঃ সেলিম মিয়া, মোঃ জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম বাছা, মোঃ সোহেল চৌধুরী, মীরজাদা এমদাদ হোসেন সোহেল, মাহবুব হাসান, মোঃ জুয়েল খান, জনি মজুমদার, সাইফুল ইসলাম, নাসরিন আক্তার, আফসানা আক্তার, মোঃ আলমগীর, মিনহাজুল আবেদীন সাজিদ, মোসলেম উদ্দিন ভূইয়া, হাজী নুরুল ইসলাম, মোঃ শাহজাহান, এড. কায়সার তালুকদার, ছাদেক হোসেন, আবু বেলাল, সোহেল খান, মোঃ এনাম হোসেন, মোঃ সোলায়মান, বদিউল আলম চেয়ারম্যান, মিজানুল হক, মাকসুদুর রহমান কমল, ফারজানা আক্তার, সানজিদা ইসলাম শান্তা, নুরুল আমিন আজাদ, মোঃ শাহাদাত হোসেন, আমিনুল ইসলাম পারভেজ, এস.এম. শাহেদুল আলম, মাহবুবুল আলম, মোঃ বখতেয়ার, মোঃ নুরুল আবসার, মোঃ দিদার উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ ইসফার উদ্দিন, সাজেদা আক্তার, মোঃ ইসফাক উদ্দিন, রুবি আক্তার, মোঃ তারেক, তাহমিনা চৌধুরী তাহা, শারমীন শিলা, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ মানাবিধকার নেত্রী।

 

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অধস্তন আদালতও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম ই ফ্যামিলি কোর্ট উদ্বোধন করতে এলে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাএর সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন,

চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎকালে তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।তারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এর ন্যায় পদ -পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল নির্ধারণের ও দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ আইনের ধারক ও বাহক।
Pp

কিন্তু অধস্তন আদালতের কর্মকর্তাও কর্মচারীগন বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বৈষম্য দূরীকরণের জোর দাবি জানান।আইন সচিব অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজমোঃ হাসানুুল ইসলামও চট্টগ্রামের সকল স্তরের বিচারক মন্ডলী।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল হক আকন্দ ।বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাং শামসুল হক, , চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ