আজঃ বুধবার ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

উন্নয়ন কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনতে প্রয়োজন নগর সরকার : মেয়র ডা. শাহাদাত।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উন্নয়ন কার্যক্রম, আইন-শৃঙ্খলা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশসহ সার্বিক নগর সেবা সমন্বিতভাবে বাস্তবায়নের জন্য নগর সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। মঙ্গলবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আমেরিকান দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি মন্তব্য করেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কাউন্সেলর ইরিক গিলান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফিরোজ আহমেদ।

মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন সেবা নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থা বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। ফলে নগরের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। একটি সংস্থা সড়ক করে, কিছুদিন পর আরেকটি সংস্থা এসে সেটি কেটে ফেলে। আবার একই প্রকৃতির প্রকল্প বিভিন্ন সংস্থা আলাদাভাবে বাস্তবায়ন করছে। এখানে যে বড় সমস্যা, তা হলো সমন্বয়হীনতা। এই সমন্বয়হীনতা কাটাতে হলে নগর সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিকল্প নেই।

তিনি জানান, নগর সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অবহিত করেছেন। মেয়র বলেন, “নগর সরকার প্রতিষ্ঠা হলে মেয়রকে কিছু আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দিলে এতে মেয়র এককভাবে সব সংস্থাকে সমন্বয় করে নগরের উন্নয়নকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে পারবেন।”

মতবিনিময়কালে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয় করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছি।”
তিনি জানান, চট্টগ্রামকে একটি নিরাপদ শহরে গড়ে তুলতে পুরো নগরজুড়ে সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনার একটি বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে প্রধান সড়কগুলো এবং পরে লেন-বাইলেনগুলো পর্যায়ক্রমে সিসিটিভির আওতায় আনা হবে।

মেয়র আরও বলেন, “চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন, হেলদি এবং সেফ সিটিতে পরিণত করতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে। এই লক্ষ্য সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের জন্য হেলথ কার্ড চালু, নারীদের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ব্রেস্টফিডিং সেন্টার স্থাপন, নিম্নআয়ের মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে পণ্য কেনার স্মার্ট কার্ড বিতরণ এবং শিশুদের খেলাধুলার সুযোগ বাড়াতে নগরজুড়ে খেলার মাঠ নির্মাণের কাজ চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দেশের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জনগণের ভোটে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পুরোপুরি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরবে না। একটি নির্বাচিত সরকারই স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাব্বির রহমান সানি।

চট্টগ্রামে দশ বছর নিঃসন্তান, এবার একসথে পাঁচ সন্তানের জন্ম।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘ দশ বছর নিঃসন্তান থাকার পর পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী। এর মধ্যে তিনজন মেয়ে ও দুইজন ছেলে। বার বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরও সন্তান জন্মদানে ব্যর্থ হচ্ছিলেন এ দম্পতি। সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পিপলস হাসপাতালে এক সঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন সাতকানিয়ায় এনি আক্তার।

চিকিৎসকের পরামর্শে ইন্ট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। বর্তমানে নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে ডাক্তারদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছে শিশুগুলো। তবে বেসরকারি পিপলস হাসপাতালে শিশুদের জন্ম হলেও বর্তমানে পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন- ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে থাকতে হবে।
জানা গেছে, এনি আক্তারে স্বামী সাতকানিয়ায় ছোট-খাটো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নিম্ন আয়ের হওয়ায় সন্তানদের চিকিৎসার খরচ বহন করা কিছুটা চিন্তার কারণ হলেও দীর্ঘ দিন পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের আগমনে খুশি পরিবারের সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফরিদা ইয়াসমিন সুমি জানান, ইনফার্টিলিটি বিষয়টা নিয়ে কাজ করি, এমন অনেকে আছেন সন্তানের মা ডাক শুনতে পারেন না। এনি আক্তারও এমনি ছিল। যখন আমার কাছে আসে তখন তাদের কান্না, কান্না অবস্থা। সংসার ভেঙে যাওয়ারও অবস্থা হয়েছিল। আর্থিকভাবে তারা অসচ্ছল।

কষ্ট করে চিকিৎসার ব্যয় মিটিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পাঁচ শিশুর মধ্যে তিন শিশুর এক কেজি ছয়শ, এক কেজি পাঁচশ, এক কেজি চারশো ওজন হয়েছে। বাকি দুই কন্যা শিশুর ওজন কিছুটা কম। এক কেজি করে। এক সঙ্গে পাঁচ শিশুর জন্ম ব্যতিক্রমী একটি ঘটনা। সন্তান জন্মদানকারী মা এনি আক্তার সুস্থ রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ