
হলদিয়া পালংয়ে র্যাবের অভিযানঃ৩৩৩০কেজি চাল জব্দ। তর্জন গর্জন যেভাবে বর্ষণ হলো না সেভাবে! অধরাই থাকল গরিবের রিজিক আত্মসাৎকারীরা।
কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখাঁ চৌধুরী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিজিডি’র ৩৩৩০ কেজি চাল জব্দ করেছে র্যাপিড একশ্যান ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৫। পরে জব্দকৃত চালগুলো উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উখিয়ার খাদ্য গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।


সোমবার(১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ল এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন,”র্যাব-১৫ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সকল অপরাধ দমনে প্রতিনিয়ত অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা সহ আন্তরিকতার সহিত।নিরলসভাবে কাজ করছে।
তারই ধারাবাহিকতায় উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সালেহ আহমদের সহযোগিতায় র্যাবের একটি দল হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে অভিযানে খাদ্য অধিদপ্তরের ১শ ১১ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে মোট ৩,৩৩০ কেজি) আতপ চাউল উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত চাউলের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে এসিল্যান্ডের মাধ্যমে খাদ্য গুদামে জমা করা হয়
বলে তিনি জানান।
এদিকে স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ভিজিডির কার্ডধারীদের জন্য বরাদ্দকৃত বিগত কয়েক মাসের চাল বিতরণ দেখিয়ে উপকারভোগীদের নিকট থেকে টিপসই আদায়পূর্বক আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জনৈক আরিফের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন।
তার কাছ থেকে চৌধুরী পাড়া গ্রামের আরেক যুবক ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশ্যে তার বাড়ীতে মজুত করেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন। তার বাড়ী থেকে চালগুলো জব্দ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিকট হস্তান্তর করা হয়।
সচেতন মহলের মতে ওই স্থানের প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে চালগুলোর প্রকৃত মালিক কে,কোথায় থেকে, কারা চাল গুলো এনে মজুত করছে তার বিস্তারিত আদ্যোপান্তর তথ্যের তলের বেড়াল বেরিয়ে পড়বে।হতদরিদ্র পরিবারগুলোর খাদ্যের যোগান দিতে প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিশেষ কর্মসূচি তথা শেখ হাসিনার নির্দেশ ক্ষুদা হবে নিরুদ্দেশ এই স্লোগানের আলোকে বিজিডির এই কার্যক্রম সারাদেশে পরিচালিত হয়ে আসছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করতে এবং গরিবের রিজিক আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে একশ্রেণীর লোভী দুর্নীতিপরায়ণ জনপ্রতিনিধিরা নয়,ছয়ের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ম্লান করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক, “সুজনের” উখিয়ার সভাপতি সাংবাদিক নূর
মোহাম্মদ সিকদার এ প্রসঙ্গে বলেন গরিবের হক আত্মসাৎ করে লুটপাট কারী দুর্নীতিবাজ উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সমীচীন হবে নচেৎ এক্ষেত্রে দুর্নীতি আরো বেড়ে যাবে। শুভঙ্করের ফাঁকির মাধ্যমে গরিবের রিজিক চুরির হিড়িক পড়বে এবং সরকারের অভূতপূর্ব অর্জন
বিসর্জনের সম্মুখীন হবে।
এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা না হওয়ায় উখিয়া সচেতন মহল সহ সর্বত্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সকলের প্রশ্ন যেভাবে গর্জন হলো, সেভাবে বর্ষণ হলো না। তাহলে দুর্বৃত্তদের অপ তৎপরতাশ আইনি প্রক্রিয়া কি। বাধাগ্রস্ত হল।