আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

উখিয়ার হলদিয়া পালংয়ে র‍্যাবের অভিযান ৩৩৩০ কেজি চাল জব্দ

এম.এ.রহমান সিমান্ত:

হলদিয়া পালংয়ে র‍্যাবের অভিযানঃ৩৩৩০কেজি চাল জব্দ। তর্জন গর্জন যেভাবে বর্ষণ হলো না সেভাবে! অধরাই থাকল গরিবের রিজিক আত্মসাৎকারীরা।

কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখাঁ চৌধুরী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিজিডি’র ৩৩৩০ কেজি চাল জব্দ করেছে র‍্যাপিড একশ্যান ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১৫। পরে জব্দকৃত চালগুলো উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে উখিয়ার খাদ্য গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।

 

 

সোমবার(১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

র‍্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ল এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন,”র‌্যাব-১৫ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সকল অপরাধ দমনে প্রতিনিয়ত অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা সহ আন্তরিকতার সহিত।নিরলসভাবে কাজ করছে।

তারই ধারাবাহিকতায় উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সালেহ আহমদের সহযোগিতায় র‍্যাবের একটি দল হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে অভিযানে খাদ্য অধিদপ্তরের ১শ ১১ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে মোট ৩,৩৩০ কেজি) আতপ চাউল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত চাউলের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে এসিল্যান্ডের মাধ্যমে খাদ্য গুদামে জমা করা হয়
বলে তিনি জানান।

এদিকে স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ভিজিডির কার্ডধারীদের জন্য বরাদ্দকৃত বিগত কয়েক মাসের চাল বিতরণ দেখিয়ে উপকারভোগীদের নিকট থেকে টিপসই আদায়পূর্বক আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জনৈক আরিফের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন।
তার কাছ থেকে চৌধুরী পাড়া গ্রামের আরেক যুবক ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশ্যে তার বাড়ীতে মজুত করেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন। তার বাড়ী থেকে চালগুলো জব্দ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিকট হস্তান্তর করা হয়।

সচেতন মহলের মতে ওই স্থানের প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে চালগুলোর প্রকৃত মালিক কে,কোথায় থেকে, কারা চাল গুলো এনে মজুত করছে তার বিস্তারিত আদ্যোপান্তর তথ্যের তলের বেড়াল বেরিয়ে পড়বে।হতদরিদ্র পরিবারগুলোর খাদ্যের যোগান দিতে প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিশেষ কর্মসূচি তথা শেখ হাসিনার নির্দেশ ক্ষুদা হবে নিরুদ্দেশ এই স্লোগানের আলোকে বিজিডির এই কার্যক্রম সারাদেশে পরিচালিত হয়ে আসছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করতে এবং গরিবের রিজিক আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে একশ্রেণীর লোভী দুর্নীতিপরায়ণ জনপ্রতিনিধিরা নয়,ছয়ের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ম্লান করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক, “সুজনের” উখিয়ার সভাপতি সাংবাদিক নূর
মোহাম্মদ সিকদার এ প্রসঙ্গে বলেন গরিবের হক আত্মসাৎ করে লুটপাট কারী দুর্নীতিবাজ উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সমীচীন হবে নচেৎ এক্ষেত্রে দুর্নীতি আরো বেড়ে যাবে। শুভঙ্করের ফাঁকির মাধ্যমে গরিবের রিজিক চুরির হিড়িক পড়বে এবং সরকারের অভূতপূর্ব অর্জন
বিসর্জনের সম্মুখীন হবে।

এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা না হওয়ায় উখিয়া সচেতন মহল সহ সর্বত্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সকলের প্রশ্ন যেভাবে গর্জন হলো, সেভাবে বর্ষণ হলো না। তাহলে দুর্বৃত্তদের অপ তৎপরতাশ আইনি প্রক্রিয়া কি। বাধাগ্রস্ত হল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ