আজঃ শনিবার ১৪ জুন, ২০২৫

মহান বিজয় বিদস-২০২৩ উপলক্ষ্যে চবক এর শ্রমিক কর্মচারীদের বিশেষ প্রনোদনা প্রদান

ডেস্ক নিউজ:

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে নিয়োজিত বার্থ/টার্মিনাল/শিপ হ্যান্ডিলিং অপারেটর শ্রমিক কর্মচারীদের কে মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শ্রমিক কমর্চারীদের মাঝে নদগ অর্থ প্রদান করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি। তিনি ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিকদের জনপ্রতি ৮,০০০/-টাকা করে মোট ৫,২০,৯৬,০০০/-টাকার প্রণোদনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য যে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এর স্বারক নং-১৮.০১৬.০২৮.০০.০০.০০১.২০১০-৪২৭ এর ভিত্তিতে চবক এর বিভিন্ন বিভাগ থেকে ১৬ টি পদ সাময়িকভাবে স্থানান্তর পুর্বক সদস্য (এডমিন এন্ড প্ল্যানিং), চবক এর অধীনে ১৬ জন কর্মচারীর সমন্বয়ে এডহক ভিত্তিতে শ্রম শাখা চালু করা হয়। ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ডের অর্ন্তভুক্ত শ্রমিক কর্মচারীদের যাবতীয় কল্যাণমূলক কার্যাবলী এবং অবসরোত্তর আর্থিক সুবিধাদি যেমন-গ্র্যাচুয়িটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মেয়ের বিয়ের আর্থিক সহায়তা ও দুর্ঘটনায় আহত হলে জীবিকা ভাতা ইত্যাদি শ্রম শাখা কর্তৃক শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড হতে সম্পন্ন করা হয় এবং চবক এর কল্যাণ তহবিল নীতিমালা ২০১৩ অনুযায়ী উক্ত কল্যাণ ফান্ড পরিচালিত হয়।

বন্দরের বিভিন্ন বার্থ/টার্মিনাল/শিপ হ্যান্ডিলিং অপারেটরদের অধীনে নিয়োজিত শ্রমিক/কর্মচারীদের এ পযর্ন্ত শ্রম শাখা হতে ১০৪৩ জনকে শ্রমিক/কর্মচারীকে মেয়ের বিবাহের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, ১২৫ জন শ্রমিক কর্মচারীকে জীবিকা ভাতা প্রদানসহ ১৩৬৯ জন শ্রমিক/কর্মচারীকে গ্র্যাচুয়িটি ও প্রভিডেন্ড ফান্ড হতে অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

এ পযর্ন্ত শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রণোদনা বা উৎসাহ বোনাস হিসেবে ২০১৫ সালে ৬৫৬১ জনকে ৭,০০০/- টাকা করে মোট ৪,৫৯,২৭,০০০/-টাকা, ২০১৯ সালে ৬,৫০৯ জনকে ৮,৫০০/- টাকা করে মোট ৫,৫৩,২৬,৫০০০/- টাকা, ২০২০ সালে ৭,২৩৪ জনকে ১১,০০০/-টাকা করে মোট ৭,৯৫,৭৪,০০০/- টাকা, মে ২০২১ সালে ৭,৫৫৭ জনকে ১,৫০০/-টাকা করে মোট ১,০৫,৮৫,০০০/- টাকা, সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ৬,৭৫২ জনকে ২,৫০০/-টাকা করে মোট ১,৬৮,৮০,০০০ টাকা, ২০২২ সালে ৬,৬৯৮ জনকে ৯,০০০/-টাকা করে মোট ৬,০২,৮২,০০০/- টাকা, ২০২৩ সালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ৬,৬৭১ জনকে ৫,০০০/- টাকা করে মোট ৩,৩৩,৫৫,০০০/-টাকা এবং সর্বশেষ ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জনপ্রতি ৮০০০/-টাকা করে মোট ৫,২০,৯৬,০০০/-টাকা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চবক এর সদস্যবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, বার্থ/টার্মিনাল/শিপ হ্যান্ডিলিং অপারেটর এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, চবক এর কর্মকর্তাগণ, বন্দর কমর্চারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক/কমর্চারীগণ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, করোনার সম্ভাব্য নতুন সংক্রমণ মোকাবেলায় চট্টগ্রামের সব স্বাস্থ্যখাত-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করতে হবে। বুধবার চসিক নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় মেয়র নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সচেতন থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সময় মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে আগের মতো এবারও সফলভাবে করোনা মোকাবেলা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যারা কেউ বিদেশফেরত নন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তারা সংক্রমিত হয়েছেন,এটি স্থানীয় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত।
সভায় সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক), বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিপিসিআর টেস্ট চালু থাকবে। নগরের বিভিন্ন স্থান ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থাও থাকবে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালকে দ্রুত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন এবং চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সারোয়ার আলম, চিকিৎসক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা উল্লেখ করে মেয়র আরো বলেন, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস আবারও সকলে মেনে চলতে হবে। চসিক একটি সার্ভিস সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে নাগরিকরা ফোন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন বলেও মেয়র জানান।
তিনি আরও বলেন, গতবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্ক, টিকা ও মেডিকেলসামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করেছে। এবার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট দল নিয়মিত বাজার তদারকিতে থাকবে। চসিকের ম্যাজিস্ট্রেটরাও প্রয়োজন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করবে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়ায় বির্জা খালের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের কাজে সন্তুষ্ট নন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চসিকের অনুমতি নিয়ে খালটি পরিস্কারের কাজ শুরু করেছিল জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র দেখতে পান, খালের অনেক জায়গা এখনো ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ। এ অবস্থায় মেয়র চসিকের টিমকে আবারও সেই খালটিতে পরিচ্ছন্নতা

অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার দুপুরে নগরীর বাকলিয়ায় বির্জা খাল পরিদর্শনে যান সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন। এছাড়া তিনি নগরীর মিয়াখান নগর, দামপাড়া, ওয়াসা মোড়, জিসি মোড়,
কাপাসগোলা, আগ্রাবাদ এলাকায় গিয়ে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেন।

জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ১৯ এপ্রিল ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ নগরীর বাকলিয়ায় বির্জা খাল পরিস্কারের কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামী। চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এক কোটি টাকা ব্যয়ে তারা খালটি পরিস্কার করে দিচ্ছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি খালটি পুরোপুরি পরিস্কার করা হয়েছে বলে জামায়াতের পক্ষ থেকে চসিককে জানানো হয়। এরপর সোমবার চসিক মেয়র বির্জা খাল পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনের সময় মেয়র বাকলিয়ার বিভিন্নস্থানে বির্জা খালে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকতে দেখেন। সাংবাদিকদের সেগুলো দেখিয়ে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন এসময় বলেন, চট্টগ্রাম শহরে ৫৭ টা খাল আছে। বির্জা খাল এর মধ্যে একটা খাল। জামায়াতে ইসলাম এটা আমাদের কাছে পরিস্কারের জন্য চেয়েছিল, আমরা দিয়েছি। আমরা মনে করেছিলাম, যে পরিমাণে খালটাকে ক্লিন করা হবে, আজ এসে দেখতে পাচ্ছি প্রচুর পরিমাণে ময়লা এখানে পড়ে আছে। এখন আমাদের আবারও সেটা ক্লিন করতে হবে।

সিটি করপোরেশনের স্পেশাল টিম আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে আবারও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করবে।কোটি টাকা খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, এই খালটা ক্লিন করার জন্য সিটি করপোরেশন যে বাজেট নির্ধারণ করেছিল, সেটা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা। তাদের ৫০ লাখ টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়।
নগরীর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ে সিটি মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টির পরও নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা না হওয়া একটি বড় সাফল্য। এ সাফল্যের পেছনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা রয়েছে।
পরিকল্পিতভাবে কাজ চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতেও নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সাময়িকভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু খাল নালায় জলপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।

পরিদর্শনের সময় মেয়রের সঙ্গে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মেয়রের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ