আজঃ শুক্রবার ৭ নভেম্বর, ২০২৫

লন্ডনে বসে,দন্ডিত আসামি তারেক রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চালায়: কাদের।

রিপন মজুমদার নোয়াখালী:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হলো একটি ভুয়া দল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি হল পরগাছা। এ পরগাছাকে রাজনীতি থেকে অস্তিত্ব বিলীন করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ পড়েছে, কেন বাদ পড়েছে ফাউল করে। তাদের আর রাজনীতির মাঠে খেলার সুযোগ নেই।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট বাজারের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলার সর্বষ্তরের জনগণের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন,আজকে লন্ডনে বসে,দন্ডিত আসামি তারেক রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চালায়। তারেক মনে করেছে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৭১ সালে অসহযোগ হয়েছে। আজ তারেকের কথায় অসহযোগ নেই। বাংলাদেশের জনগণ তারেকের সাথে অসহযোগিতা করবে, অসহযোগ করবে। অসহযোগ করে বিএনপি নামক পরগাছাকে হটিয়ে দেবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন,এরা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধ মানেনা,স্বাধীনতা মানেনা। এরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। মোস্তাক আর জিয়া জেল খানায় হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এরা বিএনপি পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা হত্যা করেছে। এরা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, পুলিশের হাসপাতালে হামলা করেছে।

বিএনপির অসহযোগের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, বাংলার জনগণ তাদের সঙ্গে অসহযোগ করবে। বিএনপি আজকে প্ল্যান করছে, খাজনা দিবেনা, ট্যাক্সস দিবেনা। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে। বিএনপি গণতন্ত্র করবে এটা শুনছে ঘোড়াও ডিম পাড়ে। পল্টনের রাস্তা থেকে পালিয়ে গেল কারা। এক দফা গেল কোথায়। ৫৪ দল কোথায় গেল. ৩২ দফা কোথায় গেল। এ বিএনপি বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবার শেষ করেছে।

তিনি এলাকার ভোটারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যদি বাঁচাতে চান, ক্ষমতার মঞ্চে আমরা শেখ হাসিনাকে আবারও চাই। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। স্বাধীনতা ও উন্নয়ন বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা মানে না।ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনিতে মানুষ হত্যা করা ঠিক সেইভাবে আন্দোলনের নামে তারা মায়ের বুকে শিশুকে পুড়িয়ে মারে। এরা গণতন্ত্র হত্যাকারী দল। যারা ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করে প্রহসনের নির্বাচন করতে চেয়েছে।

নিজ এলাকার উন্নয়নের বিষয় বলেন, এই কবিরহাট এক সময় অবহেলিত ছিল এখানে গত ১৫ বছরে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, কালবার্ট, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে । আগামী দিনে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে রক্ষা করতে, হলে মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে ৭ তারিখ ফাইনাল খেলায় জিততে হবে

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি,নোয়াখালী -৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি মোহাম্মদ.ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান প্রমূখ।

এর আগে সকালে ওবায়দুল কাদের নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী -৬ আসনের কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট, শান্তিরহাট, রংমালা বাজার, বাংলা বাজার, পেশকারহাট, নতুন বাজার টেকেরবাজারসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ।

চট্টগ্রাম মহানগরে গণসংযোগকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ। তিনি চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে পাঁচলাইশের হামজার বাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি মিডিয়া সেল থেকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিএনপি জানায়, চট্টগ্রাম-৮ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায় এবং পায়ে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এরশাদ উল্লাহ বায়েজিদ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। এই সময় দুর্বৃত্তরা এসে গুলি করেছেন। এতে এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে কেন এই ঘটনা ঘটছে তা জানি না। এরশাদ উল্লাহকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরে বিস্তারিত বলতে পারব।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন বাযেজিদ বোস্তামী এলাকায়। এই সময় সরওয়ার বাবলা নামের একজনকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরওয়ার বাবলাসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধসহ সহিংস ঘটনা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি। এর পরপরই চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধসহ সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দলের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যার পর দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার ও জলিল গেইট এলাকায় সহিংসতা, হানাহানি এবং রাস্তা অবরোধসহ জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন কয়েকজন স্থানীয় নেতা।

ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুণ্ড পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মামুন এবং যুবদলের সোনাইছড়ী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টু—কে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত চারজনই বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ