আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলার ভোটের খবর:

মৌলভীবাজার ২ আসনে নাদেলের নৌকা-সলমান র’ ট্রাক মুখোমুখি।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

আর সবে মাত্র ৮টি রাত পেরোলেই দেখা মিলবে ভোটের-বার দিনটি রোববার ৭ জানুয়ারি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সেই সকালের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে স্নায়ুচাপের সাথে বাড়ছে নখ কামড়ানো উত্তেজনাও।
দিন ঘনিয়ে আসায় উৎসব মুখর পরিবেশ পাড়া-মহল্লায়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থী আর সমর্থকেরা ছুটছেন ভোটারদের কাছে। এরমধ্যে কথার জমাট লড়াই ভোটের মাঠে। প্রচার-প্রচারণায় প্রতিদিনই চলছে বাহাস। ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে ভোটের সমীকরণ।

এমন অবস্থা মৌলভীবাজার-২ আসনে। এই আসনে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তবে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমান ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীনের মধ্যে। এ তিন প্রার্থীর মধ্যে প্রচার-প্রচারণায় বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমানের মধ্যে চলছে কথার লড়াই। প্রচার সভার বক্তব্যে একজন আরেকজনকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য রাখছেন। এতে বাড়ছে উত্তাপ।অন্যদিকে নিরব প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন। পৌষের দুপুরে গত সোমবার কাদিপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দিনের প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যান নাদেল। এদিন বিকেলে স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চলাকালে পথসভায় বক্তব্য দেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।বক্তব্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর (সফি আহমদ) বিভিন্ন সভায় দেওয়া সমালোচনামূলক বক্তব্যের কড়া জবাব দেন নাদেল। সরাসরি নাম না বললেও তার বক্তব্য যে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমানকে ইঙ্গিত করে, তা স্পষ্টতই বুঝা গেছে। নাদেল বলেন, বিভিন্ন মানুষকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কোনো নেতাকর্মী, ভোটারকে যদি হুমকি দেওয়া হয়, কারও দিকে যদি আঙুল তোলা হয়, সেই আঙুলের ঠিকানা কোথায় হবে; এই ৭ তারিখ তা আমরা দেখিয়ে দেব।
আমরা উন্নয়ন চাই, শান্তি চাই। আমরা সন্ত্রাস চাই না। আমরা মান-সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ আছে? কুলাউড়া উপজেলা সদরের কাছের একটি ইউনিয়ন কাদিপুর। এই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছি। সদরের কাছের একটি ইউনিয়ন। বেশিরভাগ রাস্তা এখনও কাঁচা। মানুষের কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই।‘‘যারা বছরের পর বছর আপনাদের ভোট নিয়েছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা কী করেছেন। সেটা আমার চেয়ে আপনারা ভালো জানেন।’ ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন নাদেল।

পথসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে নাদেল বলেন, আমরা পর পর তিনটা নির্বাচনে কুলাউড়ায় ট্রেন মিস করেছি। বাংলাদেশ আজকে কোথায়। আমাদের কুলাউড়া কোথায়! সারাদেশ এগিয়েছে, আর আমরা পেছনে পড়ে আছি। এই কারণে আজকে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, যারা জীবনে নৌকায় ভোট দেননি। তারাও আজকে নৌকায় সমর্থন জানিয়েছেন।’’নাদেল বলেন, ‘‘বিগত ইউনিয়ন নির্বাচন বলেন, উপজেলা নির্বাচন বলেন; অনেক অনিয়ম হয়েছে। অনেক কিছু হয়েছে। আমরা কি আবারও এগুলো দেখতে চাই? যারা বিগত নির্বাচনগুলোর মতো চিন্তাভাবনা করছেন, তাদের বলছি। তারা নিজেদেরকে সংশোধন করুন। ভোটারদের ভয় দেখিয়ে নয়, হুমকি দিয়ে নয়। মানুষের ভোট, মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন। এই কুলাউড়ার মানুষকে হুমকি দিয়ে ভোট আদায় করা যাবে না।
কোনো কোনো জায়গায় পায়ে ধরেন। আবার আরেকটা হাত ঘাড়ের ওপর রাখেন। এইগুলো মানুষ বুঝে গিয়েছে। গুন্ডামি, জমি দখল, আমানতের টাকা খেয়ানত। অনেক মানুষ সহ্য করেছে। অনেক সম্মানিত মানুষ অসম্মানিত হয়েছে। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সময় হয়েছে কুলাউড়ার মানুষ জবাব দেবে। ৭ তারিখের অপেক্ষায়। এই জনপদ কোনো সন্ত্রাসী বা কোনো বাটপারের কাছে যাবে না।’’অপরদিকে এরআগের দিন এক সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমান বলেন, ‘‘বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সমাবেশে আমাকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। আমার সমর্থকদের হুমকি-ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমি কুলাউড়ার নাগরিক। কুলাউড়ায় আমার জন্ম। আমি বা আমার অনুসারী কাউকে কুলাউড়ায় উঠতে দেবেন না। এমন কোনো বাবার সন্তান এ মাটিতে জন্ম গ্রহণ করে নাই।‘‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই। আর যদি এ ধরনের কথা শুনি, যেখানে শুনবো সেখানেই ঠেকিয়ে দেবো।’’গত মঙ্গলবার এক সভায় সফি আহমদ সলমান বলেন, ‘‘এবার এম এম শাহিন সাহেবও আসছেন। তিনি প্রথমে আসলেন ফুটবল মার্কা নিয়ে,
এরপর ধানের শীষ, এরপর নৌকা নিয়ে। এবার বিএনপির জম, তৃণমূল মূল বিএনপির পাট (সোনালী আঁশ) মার্কা নিয়ে।‘‘আরেকজন এসেছেন। তার বাবার বাড়ি কুলাউড়ার কৌলা গ্রামে। জন্ম সিলেটে। রাজনীতি সিলেটে। থাকেন সিলেট এবং ধানমন্ডিতে। দায়িত্ব তার ময়মনসিংহ বিভাগে।’’সফি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘বিগত দিনে যাদের ভোট দিয়েছেন। তাদের পেয়েছেন? বন্যা গেলো, করোনা গেলো। ট্রেন দুর্ঘটনা গেলো। ভয়বাহ দুর্যোগে তাদের পেয়েছেন। বর্তমান-সাবেক এমপি কেউ নেই। কুলাউড়ার জনগন যেনো আল্লার হাওলা।‘‘আমি আপনাদের সন্তান। আমি এখন জীবন সায়াহ্নে। আমাকে ভোট দিয়ে কুলাউড়ার ভাগ্যাকাশ থেকে দুর্যোগের ঘনঘটাটা সরিয়ে দিন। আমাকে নির্বাচিত করুন। আমি আপনাদের পাশে থাকব।’’আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে কারা ঘিরে রেখেছে, দেখছেন। একটা দালাল চক্র। একটা চাটুকার চক্র। আপনারা ভোট দিবেন, ভোট চলে যাবে ময়মনসিং। ভোট দিবেন প্রার্থী চলে যাবে ঢাকা। আর কুলাউড়ার মানুষ এই দালালদের কপ্পরে থাকতে হবে।’’গত বুধবারের সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এক প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘আজকে এই দলে, কালকে ওই দলে। তার পরেরদিন আরেক দলে। আপনি একদল করবেন, তালাক দিবেন। এরপরে আরেক দল করবেন, তালাক দিবেন। তালাকনামা মানুষের সামনে ছিড়ে ফেলবেন।
আবার সেই বউ নিয়ে ঘুরাফেরা করবেন। লজ্জা শরমতো থাকা উচিত। এরকম নিলজ্জ লোক কুলাউড়ায় দুই চারটা আছে।’’‘‘আওয়ামী লীগ করেছি। আপনাদের দোয়া ভালোবাসায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করছি। সেই দায়িত্ব পালন করাটাকেও নিয়েও কেউ কেউ কটাক্ষ করেছেন। কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করায় আমার এলাকার জন্য ভালো কিছু করার সুযোগ আছে। এটাকে নিয়েও যদি কটাক্ষ করা হয়। আরও অনেক কিছু তো বলা যেত।’’নাদেল বলেন, ‘‘কিছু কিছু মানুষ আছে আমাদের সমাজে, দুই মাস-চার মাস পর পর মোবাইল নম্বর বদলায়। মোবাইল নম্বর পাল্টায়। মানুষের কাছ থেকে টাকা নিলো। সেই টাকা ফেরত দিবে না। চাকরির কথা বলে নিবে। মামলার তদবিরের কথা বলে নিবে বা অন্য কথা বলে। সেই কাজ টা করার জন্য নেয়নি। হজম করার জন্য নিয়েছে। যারা কিছু দিন পর পর যারা নম্বর বদলায় তাদের কি বলে? বাটপার…।’’মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-২ আসন। এ আসনের ১৩টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭২। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৫ এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৭ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১০৩।২০০১ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০১৮ পর্যন্ত চারটি সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নৌকার প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। তাই এবার আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো দলের মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।এখানে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন (সোনালী আঁশ) নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান (ট্রাক)। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনি ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিন (কাঁচি), জাতীয় পার্টির আব্দুল মালিক (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এনামুল হক মাহতাব (মোমবাতি), ইসলামী ঐক্যজোটের আছলাম হোসাইন রহমানী (মিনার) ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. কামরুজ্জামান সিমু (কুলা) প্রতিকে নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ : মোমিন মেহেদী

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ। যেমন ক্ষমা করেনি অতিতের খলনায়কদেরকে, আগামীতেও করবে না। তিনি নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির আয়োজনে ৫ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।

‘বন্দর বাতিল করা সময়ের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদ রানা প্রমুখ। এসময় মোমিন মেহেদী অন্তবর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নোবেল পাওয়ার পর ২০০৬ সালেই তিনি বলেছিলেন বন্দর মুক্ত করে দিন, আমি দেখবো বন্দর ব্যবস্থাপনা; আজ জাতির ক্রান্তিকালে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে খাদের কিণারে রেখে বিদেশী কোম্পানীর হাতে তিনি বন্দর তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি নিজের স্বার্থে এদেশকে খন্ড-বিখন্ড করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্ষতির মুখে ফেলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববনে না।

এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বন্দর চুক্তি বাতিলের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এরমধ্যে দেশ বিরোধী বন্দর চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রিট করানো হয়েছে। সেই রিট অনুযায়ী মাননীয় আদালত বন্দর চুক্তির সকল কাজ বন্ধের আদেশ দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাতিলের দাবিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। নির্মম হলেও সত্য যখন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলো ড. ইউনূসের হাত ধরে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, তখন বাংলাদেশের ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়ে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, দুর্নীতি স্বয়ং ইউনূস সাহেবের আত্মীয়-স্বজন-পারিষদবর্গ আর পিয়ন-চাপরাশিদের পৃষ্টপোষকতায় অতিতের রেকর্ড ভেঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমাদের এক কথা, তাদের এই বন্দর চুক্তি বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বোয়ালখালী পোপাদিয়া ৭;নং ওয়ার্ড় বিএনপির উঠান বৈঠক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সমর্থনে বোয়ালখালীর ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যাগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দিপক কুমার লালার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান, প্রধান বক্তা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মহসিন খান তরুণ,পোপাদিয়া ইউনিয়ন নির্বাচন সমন্বয়কারি আলহাজ্ব জাকের হোসেন , যুগ্ন আহবায়ক আবুল

হাশেম,বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সংগঠনিক সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসলেম মিয়া। দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ দিদারুল আলম( রিটনমেম্বার), পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’রযুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম ইকবাল ,সাবেক ছাত্রদল নেতা মো নাজিম উদ্দীন, বিমল আচার্য়্য বাসু,মাস্টার নিপক লালা,সুনীল সুত্রধর, প্রবীর দাশ,ঝাউতলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়দাশ লালু,নিরুপম আচার্য্য,রুপক লালা, প্যানেলে চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী ,শ্রমিক দল নেতা হোসেন চৌধুরী, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,

বক্তব্য রাখেন কৃষকদল বোয়ালখালী উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ ওসমান,যুগ্ন আহ্বায়ক আলমগীর, শ্রমিকদল বোয়ালখালী উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল।তাজুল ইসলাম, এমদাত আনসারি,নজরুল ইসলাম বাবু ,টুটুল,সিদ্দিক আজাদ রিহাদ,বেলাল সাহেব, রাইহান,আজাদ খান,লোকমান, আবদুল সালাম ছোটন,জাবেদ,শ্রমিকদল নেতা সাইফুল আলম । এন এম টিপু প্রমুখ। বক্তব্যরা বলেন
“বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ গণমানুষের প্রতীক। যেই খানেই ধানের শীষের প্রচারণা চলছে সেখানেই জনজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।” তিনি আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বোয়ালখালীর উন্নয়নে সহযোগী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি জোর আহবান জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ