আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনী খবর পাবনা:

সাঁথিয়ায় মিছিলে আ.লীগ নেতার প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন।

এস এম আলমগীর চাঁদ পাবনা:

সাঁথিয়া উপজেলা আ.লীগ নেতা শফির অস্ত্র প্রদর্শন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নির্বাচনী আইন লঙ্ঘণ করে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফির লাইসেন্সকৃত পিস্তল জব্দ করেছে পুলিশ।
একই সাথে এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাঁথিয়া থানা সূত্র জানায়,শুক্রবার রাতে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় পাবনা ০১ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল বাতেনসহ সমর্থকদের দায়ী করে মামলা হয়।

ওই মামলার আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে শনিবার বিকেলে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বেড়া পৌর মেয়র ও নৌকার প্রার্থী এ্যাড. শামসুল হক টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন, সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসান আলী, সাবেক প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
সে মিছিলে শফিকুল ইসলাম শফি কোমরে পিস্তল নিয়ে অংশ নেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শফিকে অস্ত্রসহ দেখা গেলে আলোচনা শুরু হয়।

মঙ্গলবার সাঁথিয়া থানা পুলিশ শফির কাছ থেকে অস্ত্রটি জব্দ করে এবং সাধারণ ডায়েরি করে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে গত ২১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে ২১ ডিসেম্বর থেকে ০৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সকল বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মু. আসাদুজ্জামান।

শফিকুল ইসলাম নির্দেশনা অমান্য করে লাইসেন্সকৃত পিস্তল প্রদর্শন করেছেন। এতে, অস্ত্র আইন ১৮৭৮ এর লঙ্ঘন হওয়ায় শফিকুল ইসলামের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হওয়ায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে, শফিকুল ইসলাম শফিকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন হলে, কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ