
ঝালকাঠির দুটি আসনে জামানত হারিয়েছেন ৯জন
প্রতিদ্বদ্বি প্রার্থী। দুটি আসনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে অংশগ্রহণ করে ৫হাজারের বেশি ভোট পাননি কেউই। এনিয়ে প্রার্থীদের
জনসমর্থনের বিষয়ে হাসরহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে, ঝালকাঠি ১(রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকা প্রতীক পাওয়া বিএনপির
সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীরউত্তমের সাথে ভোট যুদ্ধে জামানত হারিয়েছেন সাতজন প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী। এখানে শাহজাহান ওমর ৯৫ হাজার৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে ৯০ টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১ হাজার ৩১৫জন ভোটার ভোট দিয়েছেন যার মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৪২৫টি ভোট। এই আসনে প্রদত্ত ভোটের হার ৪৭.৭৮%। জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুস সালেক
জানান, বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানতবাজেয়াপ্ত করা হয়। এ আসনে জামানত হারানো সাতজনের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য এম. মনিরুজ্জামান মনির, তিনি ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬২৫ ভোট। জাকের পার্টির মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতিক নিয়ে ১ হাজার ৬২৪ ভোট , স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম মোঃ ফখরুল ইসলাম ট্রাক
প্রতীকে ৩৭০ ভোট, জাতীয় পার্টির মোঃ এজাজুল হক লাঙল প্রতীকে ১ হাজার ২৭২ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দিন তালুকদার সোনালী আঁশ প্রতীকে২৮২ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ মুজিবুর রহমান ডাব প্রতীকে ১৪২ ভোট এবংবাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী ছড়ি প্রতীকে ৯৭ ভোট পেয়ে জামানত
হারিয়েছেন।ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৫০জন ভোটারের মধ্যে ১৪৭টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬জন ভোট দিয়েছেন। এই আসনে ২ হাজার ২১৮ ভোটবাতিল হয়েছে। প্রদত্ত ভোটের হার ৪২.৯০%। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে আমির হোসেন
আমু পেয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ন্বতী জাতীয় পার্টি মোঃ নাসির উদ্দিন ইমরান লাঙ্গল প্রতীকে ৪ হাজার ৩১৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন অপর প্রতিদ্বদ্বি ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী মোঃফোরকান হোসেন আম প্রতীকে ৩ হাজার ২৫০ ভোট পেয়েছেন জামানত হারিয়েছেন।