
ভোলা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহিদুজ্জামান বিপিএম-সেবা এর দিকনির্দেশনায় জনাব মোঃ মাসুম বিল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (তজুমদ্দিন সার্কেল), ভোলা তত্ত্বাবধানে
গত ৬ জানুয়ারী উপজেলার চরমোজাম্মেল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরারত জেলেদের ট্রলারে রাত ১১টায় হামলা চালায় মেঘনার কুখ্যাত জলদস্যু ফোরকান বাহিনী। এ সময় দস্যুরা জেলে ট্রলারে থেকে শরীয়তপুর জেলার সখীপুর থানার তারাবুনিয়া এলাকার জেলে আঃ হাই (৫০) ও মো. ইউসুফ আলী (৪৫) নামের দুই জেলেকে অপহরণ করে নোয়াখালীর দিকে নিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনে জলদস্যুরা জেলেদের আড়ৎদারের নিকট ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে।
পরে আড়ৎদার জলসদ্যুদের দাবী অনুযায়ী বিকাল ও নগদের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা দিলে দস্যুরা অপহরণকৃত জেলেদের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন সূর্যমুখী ঘাট এলাকা ফেলে দেয়। পরে আড়ৎদার জেলেদের সাথে যোগাযোগ করে ৭ তারিখ বিকাল ৪টায় হাতিয়া থানার তমুরউদ্দিন ঘাট হতে উদ্ধার করে তজুমদ্দিনে নিয়ে আসেন। পরে ১০ জানুয়ারী শশীগঞ্জ সুইজঘাটের আড়ৎদার মোঃ সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জনকে আসামী করে তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী লোকমান মাঝিকে সনাক্ত করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করলে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তজুমদ্দিন থানার ওসি তদন্ত শংকর তালুকদার ও এসআই মোঃ রাশেদুল ইসলাম চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর থানার আনন্দ বাজার এলাকার বিভিন্ন বাসায় অভিযান করে ফোরকান বাহিনীর আরো ৩ জলদস্যুকে আটক করেন। আটককৃত জলদস্যুরা হলেন, লোকমান মাঝি (৩২), রিয়াজ (৩১), মোঃ কালাম হোসেন (৩০) ও মোঃ মিরাজ (৩০)। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও কিছু নগদ টাকা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ট্রলার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
