আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

মৌলভীবাজার:

শহীদদের শ্রদ্ধার স্থান শহীদ মিনার; তরুণ তরুণীর গোপন আস্তানা।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

পর্যটন কেন্দ্র ব্যস্ততম শহর মৌলভীবাজারের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ফুরসত করে কাজের ফাঁকে অবসরে কুশল বিনিময়ে সময় কাটাতে ব্যস্ত শহরের বুকে সাধারণ মানুষজনদের পছন্দের একটি জায়গা শহীদ মিনার।

তবে শহরবাসীর স্বস্তির জায়গায় এখন আর স্বাচ্ছন্দে পরিবার কিংবা পছন্দের কোনো মানুষের সাথে গল্প করা বা ঘুরে বেড়ানোর পরিস্থিতি এখন আর নেই।

উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীর উচ্ছৃঙ্খল বিচরণে ও গোপন আস্তানায় পরিনত করে তুলেছে এনিয়ে অতিষ্ঠ শহরবাসী।

বলা হয়ে থাকে মৌলভীবাজারের অনত্যম প্রাণকেন্দ্র শহরের বুকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত এই শহীদ মিনার।

কিশোর-কিশোরি থেকে বৃদ্ধ সকলেরই ব্যস্ততার মাঝে একটু স্বস্তির সময় কাটানোর ও কাছের মানুষের সঙ্গে গল্প করতে শহীদ মিনার পছন্দের একটি জায়গায়র মধ্যে অন্যতম।

সকলের প্রিয় এই শহীদ মিনার যেন এখন স্কুল-কলেজের কিছু শিক্ষার্থীদের আড্ডাখানা। পুরো শহীদ মিনারজুড়েই তাদের আনাগোনা এবং প্রকাশ্যেই চলে ধূমপান। এছাড়াও কিছু উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণী প্রকাশ্যে করছে অবাধ মেলামেশা। এসবের সবই হচ্ছে প্রকাশ্যে দিবালোকে। এদের এমন দৃশ্যে আগতদের বিব্রত হলেও অজানা কারণে কেউ এসবের প্রতিবাদ করছে না।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, কাশীনাথ আলাউদ্দিন হাই স্কুল এন্ড কলেজ , মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শহীদ মিনারে এসে সময় কাটাচ্ছে। এসময় তাদের একে অন্যের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ট সময় কাটাতেও দেখা গেছে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহিদদের সম্মানে নির্মিত শহিদ মিনারটিতে শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যে জুতা পায়ে দিয়ে উঠছে, অনেককে আবার দেখা যায় বেশ স্বস্তির সঙ্গে বসে শহিদ মিনারের উপর জুতো পায়ে দিয়ে ধুমপান করছে। এদের এসব কর্মকান্ডের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে নানান ভোগান্তিতে।

শহরের অধিকাংশেই নেই এরকম খোলা মাঠ তাই বিকেলবেলা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে খেলতে আসেন অনেকেই। তবে কিছু উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের প্রকাশ্যে এরকম অবাধ মেলামেশার কারণে অনেকের পরিবার থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞাও করা হয়েছে এ জায়গায় না আসার জন্য বাধ্য করছে।

তাদের এসব কর্মকাণ্ডে নজর নেই যেমন অভিভাবকদের, একইভাবে শিক্ষক এবং প্রশাসনের কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট দ্বায়িত্ব শীলদের তদারকির অভাবে অগোছালো পরিবেশের সৃষ্টি বলে মনে করছে সচেতনমহল।

এ বিষয় শহিদ মিনারে আসা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা অনেক সময় স্কুল ছুটির পর এখানে আসি, বসে আমাদের বন্ধু-বান্ধব মিলে অবসর সময় কাটাই। এমন সময় আমরা এসে দেখি আমাদের বড় ভাইয়েরা কিছু মেয়েদেরকে নিয়ে বসে আড্ডা দেন। এটা আড্ডা দেওয়ার জায়গা নয়, এটি শহীদ মিনার যেহেতু আমরা বসতে আসি তখন তাঁরা আমাদের তাড়িয়ে দেন। বলেন এখানে আসতে পারবে না। দেখছো আমরা এখানে বসা এমন মন্তব্য করে আমাদের তাড়িয়ে দেন। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের ঠিকমতো অধিকারটুকু থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। কিন্তু এটা নিয়ম নয়, আমাদের অভিযোগ করার মতো জায়গা নেই, কাকে জানাবো এমন প্রশ্ন রাখেন ওই শিক্ষার্থী!

তিনি আরও বলেন, বড় ভাইয়েরা যদি এমন কর্মকাণ্ড করেন তাহলে তাদের দেখে আমরা কি শিখবো! এমন কর্মকাণ্ডে একদিন আমাদের সমবয়সীরাও তো জড়াতে পারে।

প্রশাসনের প্রতি আমাদের একটাই দাবি এ সকল অসামাজিক কার্যকলাপ দ্রুত বন্ধ করা হোক। এখানে বিকেলে খেলাধুলা হয়। আর শহীদ মিনারটি আমাদের সংস্কৃতির আশেপাশে যেনো এরকম খারাপ দৃশ্য না দেখতে হয়।

একই কথা বলেন আরেক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, তাদের জন্য আমরা এখানে এসে বসতে পারিনা, তাদের থেকে দূরে সরে বসলেও আমাদের বলেন এখান থেকে চলে যাও। অনেক সময় তাঁরা পায়ে জুতা নিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠেন এটা ঠিক নয়। আমরা চাই এটি বন্ধ হোক।

এ বিষয় পৌর মেয়র মো: ফজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় জেলা প্রশাসক পদক্ষেপ নিবেন। আর পৌর মেয়র হিসেবে আমি প্রতিনিয়তই সাধারণ মানুষজন এবং শিক্ষার্থীদের শহিদ মিনারে জুতো পায়ে দিয়ে না উঠার আহ্বান করেছি। এবং ইতিমধ্যে শহীদ মিনারের ভারসাম্য রক্ষায় মৌলভীবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে নানান ধরনের অভিযান করেছি, যে বা যারা শহীদ মিনারের সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিব।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অধস্তন আদালতও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম ই ফ্যামিলি কোর্ট উদ্বোধন করতে এলে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাএর সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন,

চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎকালে তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।তারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এর ন্যায় পদ -পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল নির্ধারণের ও দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ আইনের ধারক ও বাহক।
Pp

কিন্তু অধস্তন আদালতের কর্মকর্তাও কর্মচারীগন বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বৈষম্য দূরীকরণের জোর দাবি জানান।আইন সচিব অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজমোঃ হাসানুুল ইসলামও চট্টগ্রামের সকল স্তরের বিচারক মন্ডলী।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল হক আকন্দ ।বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাং শামসুল হক, , চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ