আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বোরহানউদ্দিনে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপিত

এএসটি সাকিল

বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বরণ করে নিতে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বাংলা বর্ষবরণ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোভাযাত্রা’ ও উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রা উপজেলা শহিদ মিনার চত্বর থেকে শুরু হয়ে, উপজেলা গেইট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহিদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে শোভাযাত্রা শেষে প্রধান অতিথি ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল এমপি ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করেছেন। পরে (নদীতে মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকায়, ইলিশের বিপরীত) রুই পান্থা ও হরেক রকমের ভর্তার আয়োজন করা হয় । এসময় মঙ্গল শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান উজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মেদ, বোরহানউদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শাহীন ফকির (বিপিএম), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা ইয়াসমিন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আয়শা সিদ্দিকা, ডিটিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবাল দে, সোহাগ চন্দ্র দে, বোরহানউদ্দিন রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, দৈনিক আজকের ভোলা পত্রিকার বোরহানউদ্দিন ব্যুরো চীফ আরিফ পণ্ডিত, সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম রনি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এএসটি আক্তার, মাইনুদ্দিন মির্জা, ইমরান হোসেন (বিডিক্লিন) প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কালিয়াকৈরে শ্রমিক দলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচির আলোকে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির খানের সমর্থনে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল গাজীপুর জেলা শাখার কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচি শুরু হয় কালিয়াকৈর বাস টার্মিনাল থেকে।
র‍্যালিটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, সফিপুর, মৌচাক, কোনাবাড়ি, বোর্ডঘর ও সূত্রাপুরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বাস টার্মিনালে ফিরে এসে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক ও গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মিনার উদ্দিন, এবং গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আলহাজ্ব উদ্দিন যুবরাজ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর শ্রমিক দলের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দসহ বিপুলসংখ্যক শ্রমিক, পরিবহন কর্মী ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী।

বক্তারা বলেন, “গাজীপুর-১ আসনের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে মোঃ হুমায়ুন কবির খানই যোগ্য প্রার্থী। আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আহ্বান জানাই—গাজীপুর-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মোঃ হুমায়ুন কবির খানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হোক।”

তারা আরও বলেন, “শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে সাধারণ জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। এই ভোট হবে পরিবর্তনের ভোট, এই ভোট হবে শ্রমজীবী মানুষের সরকারের পক্ষে।”

র‍্যালি ও আলোচনা সভা চলাকালে কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকায় “ধানের শীষে ভোট দিন, শ্রমজীবীর জয় হোক”—এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো অঞ্চল।
শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের মুখে একটাই প্রত্যাশা—গাজীপুর-১ আসনে শ্রমিক নেতা মোঃ হুমায়ুন কবির খানকে সংসদে দেখতে চায় তারা।

পাবনা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবীতে চাটমোহরে জন সমুদ্রে..

পাবনা প্রতিনিধিঃ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে ঘিরে ৭০,পাবনা-০৩ (চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রার্থী পরিবর্তন এবং স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়নের দাবিতে সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল জনসমাবেশ। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপজেলা ও পৌর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। মাঠজুড়ে সৃষ্টি হয় জনসমুদ্রের মতো এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।


সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপির কঠিন সময়েও চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুরের নেতাকর্মীরাই দলকে টিকিয়ে রেখেছেন। মামলা, জেল, নির্যাতন সবকিছু মোকাবিলা করে তাঁরা বিএনপির পতাকা উড়িয়েছেন। অথচ এখন যদি বহিরাগত কাউকে ধানের শীষের প্রার্থী করা হয়, তা স্থানীয় নেতাকর্মীরা মেনে নেবেন না। তারা বলেন, এই এলাকার রাজনীতি এই এলাকার মানুষই ভালো জানে। বাইরে থেকে কাউকে এনে জনগণের ভোট চাওয়া সম্ভব নয়।

বক্তারা আরো সতর্ক করে বলেন, যদি স্থানীয়তার ভিত্তিতে যোগ্য, গ্রহণযোগ্য ও ত্যাগী নেতাকে প্রার্থী করা না হয়, তবে নির্বাচনের ফলাফল দলের জন্য শুভ হবে না। মাঠ পর্যায়ে যারা বছরের পর বছর লড়াই করেছেন, তাদের উপেক্ষা করলে আন্দোলন-সংগ্রামের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ আসনে যেন স্থানীয় এবং ত্যাগী নেতারই মনোনয়ন দেওয়া হয়।

চাটমোহর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তায়জুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন,
চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কে.এম আনোয়ারুল ইসলাম,চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা, ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাড. মজিবুর রহমান, ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মতিন রাজু, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল আজিজ, ফরিদপুর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কাকন হোসেন, ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম, চাটমোহর পৌর বিএনপি নেতা আবু তালেব, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম হৃদয় সহ আরও অনেকে।

সমাবেশে বক্তারা এক কণ্ঠে বলেন, যারা দুঃসময়ে বিএনপির পতাকা ধরে রেখেছেন, যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদেরই প্রার্থী করা হোক। বহিরাগত চাপিয়ে দিলে মাঠে কোনো সাড়া মিলবে না। তবুও যদি বহিরাগত প্রার্থী কি রাখা হয় তবে এ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পরাজয়ের দায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের নয়, দলের উচ্চ পর্যায়কে নিতে হবে।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চাটমোহর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেন।

সমাবেশ শেষে স্থানীয় নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল বের করে চাটমোহর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। মিছিল শেষে তারা আবারও ঘোষণা দেন “চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া- ফরিদপুরের জনগণ স্থানীয় প্রার্থীই চায়; এই দাবির প্রতিফলন না ঘটলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ