আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফিরিঙ্গীবাজার টেকপাড়ায় অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ালেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফিরিঙ্গীবাজার টেকপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ চুরাশি পরিবারের পাশে দাড়ালেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ¦ মোহাম্মদ মনজুর আলম। তিনি ১৬ এপ্রিল বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে সমবেদনা জানান এবং তাদের ঘর নির্মাণের জন্য ২০ হাজার ইট, ৫০ বস্তা সিমেন্ট, অগ্নিকান্ডে আহতকে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্থ চুরাশি পরিবারের প্রত্যেককে চাউল, লুঙ্গি, শাড়ী ও শার্ট উপহার প্রদান করেন। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের সাথে ৩৩নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, সাবেক অধ্যক্ষ বাদশা আলম, সমাজসেবক ফরিদুল আলম মুরাদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম হযরত তৈয়ব শাহ (র:) জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়, পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, আতœীয়-স্বজন, অলি-আউলিয়াদের মাজার জেয়ারত, গরীব-ধনী, আতœীয় স্বজন, এতিম, হাফেজ, আলেম ওলামাসহ নানা শ্রেনি ও পেশার লোকজনের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ১লা বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুভ নববর্ষ উদযাপন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুর আলম। ১লা বৈশাখ, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি: রবিবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মোস্তফা হাকিম ভবনে বাদ ফজর খতমে কোরআনে পাক, আলেম ও হাফেজ সমাবেশ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল , আলোচনা ও নতুন বস্ত্র বিতরণ কর্মসুচী পালন করা হয়। এছাড়াও ২ বৈশাখ ১৫ এপ্রিল সকালে মোস্তফা হাকিম কর্পোরেট ভবনে খতমে কোরআন মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মাদাম বিবি শিপ ব্রেকিং এলাকায় অস্বচ্ছল ৩ (তিন) শতাধিক নারী পুরুষ ও শিশুদের হাতে নতুন বস্ত্র উপহার দেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। বাংলা নববর্ষে অস্বচ্ছল মানুষগুলো যাতে নতুন কাপড় পরিধান করে বর্ষবরণ করতে পারে সে লক্ষ্যেই সাবেক মেয়র এ কর্মসুচী হাতে নেন। নতুন বস্ত্র উপহার প্রদানকালে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, পবিত্র ঈদের পর বাংলা নববর্ষ বাঙালীর প্রাণের উৎসব। আমরা বাঙালী, বাংলা আমার মায়ের ভাষা, বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা। আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালী। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভুমি। আমাদের কৃষ্টি, সভ্যতা ও সংস্কৃতি সবই বাংলা ভাষা ঘিরে। সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, অপসংস্কৃতি পরিহার করে জাতীয় সংস্কৃতি লালন পালন করে আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য সুরক্ষা করতে হবে। বাংলা নববর্ষে মোস্তফা হাকিম ভবনে এবং মোস্তফা হাকিম শিল্প গ্রুপের কর্পোরেট হাউজে খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা আব্দুল মান্নান। এ সময় অত্র গ্রুপের পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ সরোয়ার আলমসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ