আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ঃ সচেতনতা ও স্পট রেজিস্ট্রেশন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

  1.  ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিমঃ সচেতনতা ও স্পট রেজিস্ট্রেশন অনুষ্ঠান গত রোববার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, লুব-রেফ’র এমডি মোহাম্মদ ইউসুফ, জিপিএইচ ইস্পাত প্রতিনিধি ওসমান গণি চৌধুরী, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল প্রাক্তন সভাপতি মোঃ টিপু সুলতান শিকদার, সরোয়ার আমিন বাবু, স্বাধীনতা নারী শক্তির পরিচালক মনিকা ভট্টাচার্য, বিএসআরএম প্রতিনিধি ও চেম্বার সেক্রেটারী ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুকসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, মোঃ রকিবুর রহমান (টুটুল), আলমগীর পারভেজ, মাহবুবুল হক মিয়া, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, ওমর মুক্তাদির উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এই উদ্যোগের অংশহিসেবে বৃদ্ধ বয়সে সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেন। তিনি বলেন-নেতিবাচক প্রচারণার কারণে শুরুর দিকে এই স্কিমে নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম থাকলেও বর্তমানে এই স্কিমে অংশগ্রহণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ প্রবাসে বেশী হওয়ায় তাদের প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণের হার অনেক বেশী। আমি মনে করি প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের কাছে গচ্ছিত রাখার চেয়েও প্রবাসী স্কিমে বিনিয়োগ করা অনেক বেশী নিরাপদ ও লাভজনক। তিনি আরো জানান-এই স্কিমের টাকা সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে সেই বিনিয়োগ থেকে অর্জিত অর্থ পেনশনারদের মুনাফা হিসেবে প্রদান করা হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর আদলে এই স্কিম দেশের মানুষকে আরো আত্মনির্ভরশীল ও আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করবে। তিনি ব্যবসায়ীসহ সকলকে এই স্কিমগুলোর ইতিবাচক দিক সকলের কাছে তুলে ধরার আহবান জানান।
    চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-একটি বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন। শুরুতে তিনটি স্কিমের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হলেও দেশের বেসরকারি চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রগতি স্কিম চালু করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের মত বেসরকারি চাকরিজীবীরা এবং সাধারণ মানুষও বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক নিশ্চয়তা লাভ করবে। পরিবারে বয়স্ক সদস্যরা এ ধরণের আর্থিক নিশ্চয়তার মধ্যে থাকলে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের উপর চাপও কমবে। জনগণের কষ্টার্জিত টাকা যেন সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ হয় এবং ঝামেলামুক্তভাবে পেনশনার পায় সেজন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি আহবান জানান। চেম্বার সভাপতি পেনশন গ্রহীতাদের সকল সমস্যা নিরসনে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অফিস, জনবল ও বুথ স্থাপনের আহবান জানান। তিনি এই পেনশন স্কিমে নিজ নাম নিবন্ধনের মাধ্যমে স্পট রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করে ব্যবসায়ীদেরও তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সর্বজনীন পেনশন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ