আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

সভাপতি মিঠু; সম্পাদক মাঈন উদ্দিন

মিরসরাই প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 মিরসরাই প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার মহামায়া হান্ডি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে সাধারণ সভায় উপস্থিতিদের কন্ঠভোটে ২০২৪-২০২৬ বর্ষের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক কালের কন্ঠ ও দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার মিরসরাই প্রতিনিধি এনায়েত হোসেন মিঠু এবং সাধারণ সম্পাদক দৈনিক নয়া দিগন্ত ও দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকার মিরসরাই প্রতিনিধি এম মাঈন উদ্দিন। মিরসরাই প্রেস ক্লাবের আহবায়ক শারফুদ্দীন কাশ্মীরের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব নুরুল আলমের সঞ্চালনায় অধিবেশনের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন প্রেসক্লাবের সদস্য জাবেদুল ইসলাম ভূঁইয়া। এরপর প্রেস ক্লাবের প্রয়াত সদস্যদের স¥রণ করে সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের বিদায়ী সভাপতি নুরুল আলম। এসময় সম্পাদকীয় উপস্থাপন করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মিঠু। এসময় আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিদায়ী অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ। এসময় প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য অর্ন্তভুক্ত, মিরসরাই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কমিটি গঠনসহ নানাদিক নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নুরুন নবী আজাদ, কামাল উদ্দিন বিটু, মীর হোসেন, শাহাদাত হোসেন পারভেজ, ওয়াজি উল্ল্যাহ। প্রথম অধিবেশন পর্যবেক্ষন করেন সময় টিভির ওয়েব সম্পাদক মাহফুজুর রহমান। আহবায়ক শারফুদ্দীন কাশ্মীরের সমাপনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে প্রথম অধিবেশ সম্পন্ন হয়।
দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সময় টিভির ওয়েব সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, সদস্য ফেরদৌস হোসেন আরিফ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, সৈয়দুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জামশেদ আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন, মিরসরাই কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফছার, জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সোহেল সরকার, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা ফেন্সী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এরাদুল হক নিজামী ভুট্টু, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান বিপ্লব, ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা, মেহের গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ফাজিলপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাশেদ খান চৌধুরী, এনজিও সংস্থা অপকার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর, বাংলাধারা সম্পাদক ফেরদৌস শিপন, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবুল হোসেন বাবুল, করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাখাওয়াত উল্ল্যাহ রিপন, জমজম সুইটস এন্ড ব্কেসের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের সেলিম, মিরসরাই উপজেলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিম, সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, তরুণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ওমর শরীফ প্রমুখ। এসময় নবঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, মিরসরাইয়ের উন্নয়ন, পর্যটন, সমস্যা ও সম্ভবনাগুলো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গনমাধ্যমে তুলে ধরছেন সাংবাদিকরা। মিরসরাইয়ের উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও অসামান্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদদের সমন্বিত প্রচেষ্ঠার মধ্যদিয়ে একটি স্মার্ট মিরসরাই গড়ে তোলা সম্ভব।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাড়িতে হামলার সময় ‘গুলি কর, গুলি কর’ শব্দ

P চট্টগ্রাম মহানগরের কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডবলমুরিংয় থানাধীন সিডিএ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কে চৌধুরী সুপারশপের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হঠাৎ প্রাইভেটকার থামিয়ে চাপাতি দিয়ে গাড়ির গ্লাস ভাঙে এবং ‘গুলি কর, গুলি কর’ চিৎকার করে প্রাণনাশের ভয় দেখায়।হামলার শিকার হলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বদরুল আরেফিন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হামলার শিকার রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, অফিস যাওয়ার পথে হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন এসে আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে। তারপর তারা চাপাতি দিয়ে গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলে। এসময় একজন আরেকজনকে বলতে থাকেন, ‘গুলি কর, গুলি কর’। পরে প্রাণ বাঁচাতে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়াতে থাকি। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীদের তিনজনের মধ্যে দুজন হেলমেট পরিহিত ছিল, আকেরজন হেলমেট পরেনি। হামলার পর তারা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, গত অক্টোবরে তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হুমকি দেয়া হয়। পরে বন্দর থানায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। এর একমাস পরেই এই হামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। একটি মোটরসাইকেলে তিনজন এসে হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিক ধারণা, এটি পূর্ব শত্রুতার জেরে ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। যদিও হামলার সময় ‘গুলি কর, গুলি কর’ চিৎকার করা হয়েছিল, কোনো গুলি করা হয়নি। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। এই ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি; কাস্টমস কর্মকর্তারা চাইলে মামলা করতে পারেন, নতুবা পুলিশ মামলার প্রক্রিয়া শুরু করবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমাদের দুজন কর্মকর্তা কাস্টমস গোয়েন্দা অফিস থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে যাওয়ার পথে তাদের উপর হামলা হয়েছে। তাদের গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এ ধরনের হামলা আমাদের জন্য শঙ্কার বিষয়। আমরা আশা করি রাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা দিবে।

সামুদ্রিক নিরাপত্তা হচ্ছে আরও শক্তিশালী আইওরিস প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতীয় কেন্দ্রবিন্দুর দায়িত্ব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে। সামুদ্রিক তথ্য আদান-প্রদানের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম আইওরিসে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে চট্টগ্রাম বন্দর। এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে বলে দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ইইউ’র এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন।

জাতীয় ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, কাস্টমস, মৎস্য বিভাগসহ সব সামুদ্রিক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জোরদার করবে। এতে দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে।তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি ও নিরাপত্তা রক্ষায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, ক্রিমারিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। এর আওতায় পরিচালিত আইওরিস প্ল্যাটফর্মে বর্তমানে বিশ্বের ৫৭টি দেশের ১৫০টির বেশি সংস্থা যুক্ত রয়েছে।

এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বেসামরিক ও সামরিক সামুদ্রিক সংস্থাগুলো নিরাপদভাবে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।আরও জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে সিপিএ দেশের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক সংস্থাকে নিয়ে একটি আন্তঃসংস্থা প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আইওরিস ব্যবহারের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া, গত ১৮-২০ নভেম্বর ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ক্রিমারিও-এর তৃতীয় নীতিনির্ধারণী বৈঠকেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।

প্রসঙ্গত, আইওরিস একটি নিরাপদ ওয়েবভিত্তিক তথ্য বিনিময় ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে জাহাজের অবস্থান নির্ণয়, দুর্ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান, মানচিত্রভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং সমন্বিত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। জলদস্যুতা, অবৈধ মাছ ধরা, চোরাচালান এবং সামুদ্রিক দূষণ প্রতিরোধেও এই প্ল্যাটফর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ