আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

জিএমপি পূবাইল থানা পুলিশ কর্তৃক অভিযান

অপহরণকরী ও মুক্তিপণ আদায়কারী আসামী গ্রেফতার-০৫

সুরুজ্জামান রাসেল গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি;

  1. জিএমপি পূবাইল থানা পুলিশের এসআই উত্তম কুমার, এসআই রফিকুল ইসলাম, এএসআই শফিকুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করিয়া মোঃ রাশেদুল ইসলাম লায়ন (৩১) ও মোঃ শাহিন হাসান অন্তর (২৭) এর অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারীদের মধ্যে ১-৫নং আসামীদেরকে ১৩ মে সোমবার ২০২৪ তারিখে মাজুখান এলাকা হতে গ্রেফতার করেন জিএমপি পূবাইল থানা পুলিশ।জিএমপি পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো ১। মনজুরুল ইসলাম হিমেল (২৬), ২। মোঃ রানা (২৫), , ৩। মোঃ মারুফ (২২), ৪। শামীম (৩০), ৫। রুবায়েত (২৫),পিতা-অজ্ঞাত, ঠিকানা-অজ্ঞাত, থানা-অজ্ঞাত, জেলা-অজ্ঞাত।উক্ত ঘটনার সহিত জরিত৬। সিফাত (২২), ৭। শারমীন সুমাইয়া @ তাকিয়া খানম (১৯), ৮। শান্ত (২৮), ৯। সিফাত (২৬), ১০। আলভী (২৫), ১১। সোহাগ (২৮), সর্বপিতা-অজ্ঞাত, ঠিকানা-অজ্ঞাত, থানা-অজ্ঞাত, জেলা-অজ্ঞাত।এরা সকলে পলাতক আছে।জিএমপি পূবাইল থানা সুত্রে জানা যায়,আসামীগন পরিকল্পিতভাবে ৭নং আসামী শারমীন সুমাইয়া এর মাধ্যমে ফেসবুক পরিচয়ের সুবাদে বাদী রাশেদুল ইসলাম লায়ন গত ইং ০১/০৫/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকায় উভয় বাদীকে পূবাইল থানাধীন মাজুখান বাজারে তার সাথে দেখা করতে বলে প্রথমত বাদী মোঃ রাশেদুল ইসলাম লায়নকে ডেকে নিয়ে ৭নং আসামী পূবাইল থানাধীন পদহারবাইদ সাকিনস্থ মনিরের দোকানের সামনে নিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে পূর্ব থেকে অপক্ষেমান অন্যান্য আসামীদের হাতে বাদীকে তুলে দিয়ে কৌশলে কেটে পরেন। এই সুযোগে অন্যান্য আসামীগন বাদী রাশেদুল ইসলাম লায়নকে জোরপূর্বক অপহরন করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে এলোপাথারীভাবে মারধর করে বাদী রাশেদুল ইসলাম লায়ন এর বাসা হতে ২,০০,০০০/-টাকা মুক্তিপন দাবি করে তাকে নির্যাতন ও অত্যাচারে করে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে বাদীর পরিবারের নিকট হতে টাকা সংগ্রহ করে আসামীদের বিকাশ একাউন্ট নাম্বার-০১৭৯৮-৪৬৯১১৩ তে ২৯,০০০/-টাকা এবং আসামীদের নগত একাউন্ট নাম্বার-০১৭৯৬-১২৬৯৪১ তে ২১,০০০/-(একুশ হাজার) টাকা নেন এবং বাদীর কাছে থাকা নগদ ২,০০০/- টাকা, ০১টি স্যামস্যাং স্মার্ট ফোন, ১টি বাটন ফোন, একটি ৬৪ জিবি পেনড্রাইভ নিয়ে বাদীকে পূবাইল থানাধীন পদহারবাইদ সাকিনস্থ মনিরের দোকানের সামনে নিয়ে এসে ছেড়ে দেয়। একই ভাবে ২য় বাদী মোঃ শাহিন হাসান অন্তর নিকট হতে গত ইং ২৭/০৪/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় একইভাবে তার পরিবারের নিকট হতে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা মুক্তিপন দাবি করে মারপিট শুরু করলে বাদী শাহিন হাসান অন্তর আসামীদের অত্যাচারে নিরুপায় হয়ে তার আত্বীয়-স্বজন ও বন্ধবান্ধবের কাছ হতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে আসামীদের বিকাশ একাউন্ট নাম্বার-০১৭৯৮-৪৬৯১১৩ তে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা, বিকাশ নাম্বার-০১৬২০-৩১১৯৭৮ তে ৮,০০০/- টাকা, বিকাশ নাম্বার-০১৬১৫-২৬২৯৩০ তে ৪,০০০/-(চার হাজার) টাকা সহ সর্ব মোট ৩৭,০০০/-টাকা নেন এবং এবং বাদীর সাথে থাকা নগদ ১০,০০০/-টাকা, একটি স্যামস্যাং আল্ট্রা ফোন, একটি পাওয়ার ব্যাংক, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি নিয়ে পূবাইল থানাধীন মাজুখান রেললাইনে ছেড়ে দেয়।জিএমপি পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান আরও জানান,আসামীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা রুজু হয় । এছাড়াও উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে ১-৪নং আসামীগন তাদের সঙ্গীয় অপর আসামী জাহিদ হাসান তন্ময় (২৫)কে সঙ্গে নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের নিয়ে জনৈক সিফাত (২২) নামের এক ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করলে সিফাতের বোন সূচনা আক্তার খাদিজা (২৬) বাদী হয়ে উক্ত ১-৪নং আসামীগন সহ আসামী জাহিদ হাসান তন্ময় এর বিরুদ্ধে আরো ০১টি মামলা রুজু করেন। আসামীদের বিরুদ্ধে ০৩ টি নিয়মিত মামলা রুজু করিয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ