আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে কিশোরকে ব্ল্যাকমেইল, এরপর অপহরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে এক কিশোরের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় নগদ আড়াই লাখ টাকা ও তার মায়ের সোনার গহনা। এতেও ক্ষান্ত হয়নি। আরও টাকার জন্য কিশোরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে তরুণদের সমন্বয়ে গড়ঠা চক্রটি। জানা গেছে, কিশোর বয়সী স্কুলছাত্রের সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা জেনে ফেলে একই এলাকার উঠতি বয়সের কিছু তরুণ। সেই তথ্য অভিভাবককে জানিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফাঁদ পাতে তারা। এদিকে ওই কিশোরকে ব্ল্যাক মেইল ও পরে অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে। শেষপর্যন্ত কিশোরকে ছেড়ে দিলেও পাঁচ তরুণের ঠাঁই হয়েছে থানায়।গ্রেফতার পাঁচজন হলো- মো. রাকিব, মো. সাকিব, মো. সালমান, মো. জাহিদ ও মো. বাবু। তাদের সবার বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। বাসা নগরীর সরাইপাড়া এলাকায়।
জানা গেছে, স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে নগরীর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া সিটি করপোরেশনের উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের গলি থেকে অপহরণের শিকার হয় ওই কিশোর। বিকেল ৩টার দিকে তাকে পাহাড়তলী চাল গুদামের গলিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় দুইজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাদের তথ্যে পাহাড়তলী থানা পুলিশ আরও তিনজনকে আটক করে।
জানা গেছে, অপহরণের শিকার কিশোরর বাসাও একই এলাকায় এবং সে সরাইপাড়া সিটি করপোরেশনের উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। দুই মাস আগে তার সঙ্গে সহপাঠীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় রাকিব ও সাকিব। তারা বিষয়টি কিশোরের মা-বাবাকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। কিশোর না জানানোর অনুরোধ করলে তারা তিন লাখ টাকা দাবি করে।
ভয় পেয়ে ওই কিশোর বাসা থেকে চুরি করে নিজের মায়ের সোনার গলার চেইন, তিনটি সোনার আংটি, এক জোড়া কানের দুল ও দুটি রূপার চেইন নিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়। এরপর দফায় দফায় বাসা থেকে চুরি করে আরও আড়াই লাখ টাকা তাদের হাতে দেয়। কিন্তু রাকিব-সাকিবসহ তরুণরা আরও টাকা দাবি করতে থাকে। ওই কিশোর আর টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গত বুধবার স্কুলছুটির পর তাকে ছোরার ভয় দেখিয়ে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নেয়।
কিশোরের মা রোজিনা আক্তার বলেন, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমাকে একজন ফোন করে বলে, তোমার ছেলে আমাদের কাছে আছে, ৪০ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে, না হলে জবাই করে মেরে ফেলা হবে। আমি বললাম, আমার ছেলে কোথায় আছে বল, তোমরা ওর কোনো ক্ষতি করবে না, আমি টাকা দেব। তারা জানায়, সিআরবিতে আছে। আমি টাকা নিয়ে আসছি বলার পর লাইন কেটে দেয়। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে বলে, ৩০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে। আমি কোনোভাবেই বিকাশে টাকা পাঠাতে রাজি হইনি।
তারা আমার ছেলেকে খুন করবে, কিডনি বিক্রি করে দেবে বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। ততক্ষণে আমি টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। টেক্সিতে করে সিআরবি যাবার পথে আবার ফোন আসে। তারা আমাকে পাহাড়তলী চালের গুদামের গলিতে যেতে বলে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি, রাকিব আমার ছেলেকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি রাকিবকে চিনতে পারি। তাকে আমি একটা থাপ্পড় দিই। তখন সেখানে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সাকিব আসে। পুলিশও আসে। সেখান থেকে রাকিব-সাকিবকে নিয়ে যায় পুলিশ।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, অপহরণের ঘটনা জানার পর কিশোরের মা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। আমরাও কিশোরকে উদ্ধারে নেমে পড়ি। এলাকার যে তরুণরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা বুঝতে পারেনি সেটা এতদূর গড়াবে। তারা একপর্যায়ে কিশোরকে মায়ের হাতে তুলে দেয়। আমরা তখন তাদের গ্রেফতার করি। আসলে রাকিব ও সাকিব এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। বাকি তিন তরুণ তাদের সহযোগিতা করেছে বলে আমাদের তথ্য দিয়েছে। উঠতি বয়সের এসব তরুণ এলাকায় ছোটখাট নানা ধরনের অপরাধে জড়িত।
বাসা থেকে সোনার গহনা ও টাকা চুরি হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে কিশোরের রোজিনা আক্তার বলেন, যখন আমার ছেলে বাসার আলমিরা থেকে আড়াই লাখ টাকা ও প্রায় দেড় লাখ টাকার গহনা নিয়ে যায়, তখন আমি বাসায় ছিলাম না। আমার মা মারা যাওয়ায়, আমি মায়ের বাড়িতে ছিলাম। সপ্তাহখানেক আগে আমি টাকা নিতে গিয়ে দেখি, সেগুলো নেই। আমার গহনাও নেই। তখন আমি বিষয়টি আমার স্বামীকে জানাই। এটা নিয়ে আমার পরিবারে অনেক অশান্তি হয়। পরে আমার ছেলে ঘটনা আমাদের খুলে বলে।
কিশোরের বাবা পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মো. মুরাদ বলেন, আমার দুই ছেলে। আমার স্ত্রী সংসার খরচের টাকা থেকে অনেক কষ্ট করে অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমিয়েছিল। রাকিব আমাদের বলেছে, সে এবং সাকিব মিলে গহনাগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। নগদ আড়াই লাখ টাকাও তারা পাঁচজন মিলে ভাগ করে নিয়েছে। গ্রেফতার পাঁচ তরুণকে কিশোরের মা রোজিনা আক্তারের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে হাল্ট প্রাইজ ২০২৫ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম।

হাল্ট প্রাইজ ২০২৫/২৬ সনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে নিবন্ধন বুথ, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং ক্লাস প্রমোশন চালু করা হয়েছে। এ বছর প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত ও দলীয়—উভয়ভাবেই অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ব্যক্তিগত নিবন্ধন ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) এবং দলীয় নিবন্ধন ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) তারিখে সমাপ্ত হবে।

এবারের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ থিম “আনলিমিটেড”-যা শিক্ষার্থীদের জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর উদ্ভাবনী সমাধান উপস্থাপন করার সুযোগ করে দিচ্ছে।এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তা দক্ষতার মাধ্যমে দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, অসমতা এবং শিক্ষার মতো বৈশ্বিক সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান উপস্থাপন করতে পারবেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্ল্যাটফর্ম যেখানে সীমাহীন চ্যালেঞ্জের ভিত্তিতে তাদের ধারণাগুলোকে বাস্তবায়নে রূপ দেওয়া যাবে।

এ বছরের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ অনিক, চিফ অব স্টাফ কাজী মুহাইমিনুল ইসলাম মুনাজ এবং চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট কারিন সাফফানা—তাদের নেতৃত্বে প্রতিযোগিতাটি সফলভাবে আয়োজনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রতিযোগিতায় ২–৪ সদস্যের দল অংশ নিতে পারবে এবং সকল অংশগ্রহণকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। প্রতিটি দলে অন্তত একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা বাধ্যতামূলক। দলের অন্যান্য সদস্য যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণ করতে পারবে।এছাড়া এ বছর দল না থাকলেও শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধন করতে পারবেন; পরবর্তীতে তাদের নিয়ে দল গঠন করা হবে।

রেজিস্ট্রেশন বুথ অথবা অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দলীয় অথবা ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধনে কোনো ফি নেই।দলীয় সদস্যরা যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আসুন না কেন, প্রতিযোগিতায় তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে বুধবার গভীর রাতে একদল দুর্ধর্ষ ডাকাত দল চার-পাঁচ টি স্বর্ণের দোকানে ও একটি বাড়িতে ডাকাতি করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমণিষা বাজারের শ্রী রতন কুমার কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, উত্তম কুমার কর্মকার, ইউসুফ আলী ও আত্তাব আলীর স্বর্ণের দোকানগুলোর তালা ভেঙে দুর্বৃত্ত ডাকাত দল প্রায় ৩০/৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দল রতন কুমার কর্মকারের বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকার কে মারধর করে আরও ১০ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

শ্রী রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন,একটি ডাকাত দল বাজারে নেমে দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রথমেই বেঁধে ফেলেন।রতন কর্মকার বলেন, ‘ডাকাতেরা বাড়িতে ঢুকতেই আমি তিন তলায় উঠে প্রতিবেশীদের ফোন করি। কিন্তু কেউ আসেনি। পরে দীপকে ফোন করলেও বের হতে পারেনি, কারণ তার দরজার সামনে দুইজন অস্ত্রধারী দাঁড়িয়ে ছিল।’

তারপর প্রায় ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে স্বর্ণের দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং কিছুক্ষণ পরে তারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সব লুট করে। তার মা স্বর্ণের গহনা খুলে দিতে দেরি করলে তাকে অনেক মারধর করে। রঞ্জন কর্মকার বাধা দিলে তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সহ সাপল,লোহার রড ছিলো বলে তারা জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান,দুর্ধর্ষ ডাকাত দল স্পিডবোট যোগে গভীর রাতে বাজারে এসে স্বর্ণের দোকানগুলোতে ডাকাতি করে গুমানী নদীর ভাটির দিকে চলে যায়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিক, পাবনা ডিবির ওসি রাশিদুল ইসলাম, ডিবির একটি টিম এবং ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।’অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ