আজঃ শুক্রবার ৭ নভেম্বর, ২০২৫

রায়পুরায় নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুবেল

সাদ্দাম উদ্দিন নরসিংদী।

নরসিংদী:

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল। দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করে রাজপথ থেকে ওঠে আসা একজন পরীক্ষিত নেতা হিসেবে আবালবৃদ্ধ- বনিতা থেকে শুরু করে সকল মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
গণমানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে আবিদ হাসান রুবেল সুপরিচিত। দীর্ঘদিন বিশ্বস্থতার সাথে আওয়ামী রাজনীতির একজন কর্মী হিসেবে দলের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দায়িত্ব পালন কালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ও জনকল্যাণমূলক কাজ জনসাধারণের মাঝে প্রচারণা করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি গরীব অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে জনবান্ধব নেতা হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সাধারণ ভোটাররা ততই বিশ্লেষণ করছে। সাধারণ গরীব, দুঃখী, অসহায় মানুষের পাশে কে দাঁড়াতে পারবে? দিনে-রাতে কাকে কাছে পাওয়া যাবে? কার দ্বারা সমাজ থেকে মাদক নিমূল করা যাবে? কে বেশি উন্নয়ন করতে পারবে? নানান জন নানান ভাবে আলোচনা করতে শোনা গেছে। সর্বশেষে আবিদ হাসান রুবেলের চশমা প্রতীককে আস্থা রাখার কথা ভাবছেন সাধারণ ভোটাররা।
তিনি হলেন, রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইনের নাতনী, এবং রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হযরত আলীর দ্বিতীয় ছেলে।
আবিদ হাসান রুবেল রায়পুরা পৌরসভার নজরপুর গ্রামের বাসিন্দা। আওয়ামী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তিনি রায়পুরার সর্বদলীয় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি মেথিকান্দা উত্তরপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি এবং রায়পুরা আদর্শ মানব কল্যাণ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। ধর্ম-বর্ণের বৃত্তের বাইরে গিয়ে, নানা জনহিতকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল ইতোপূর্বে আর্তমানবতার সেবায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো অতি ব্যাপক ও বিস্মৃত। অসংখ্য অসহায়, গরীব ও দুস্থদের মাঝে অন্ন- বস্ত্র- বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি, বেকারদের কর্মসংস্থানে নিয়েছেন কার্যকর পদক্ষেপ।
চশমা প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে নামা আবিদ হাসান রুবেল এ সময়ের সাহসী একজন নেতা হিসেবে নির্বাচনে তার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত হবে বলে প্রবীণ রাজনীতিবীদ ও এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন। অন্যদিকে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা উল্লেখ করে জনপ্রিয়তার দিক থেকে শক্তিশালী প্রার্থী তিনি। দলীয় সমর্থন দেয়ার বিকল্প নেই বলে ধারনা করেছেন নেতা কর্মী ও সমর্থকরা।

ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল প্রতিনিধিকে বলেন, জনগণের ভালোবাসাকে পূঁজি করে এবং রায়পুরা বাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। জনগনের ভোটে নির্বাচিত হলে রায়পুরা উপজেলাকে মাদক মুক্ত ও আপামর জনসাধারণের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবো, ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে সেবাকেন্দ্র চালু করে মানুষের দোঁড়গোড়ায় সরকারের বিদ্যমান সেবা পৌঁছে দেব। পাশাপাশি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।
সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা হলে, তারা বলেন, তিনি একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের কোনো অভিযোগ নেই। রায়পুরা বাসী এবার তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। সে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছে শুনে বিভিন্ন এলাকার বৃদ্ধ, যুবক সকলেই সাধুবাদ ও সমর্থন জানিয়েছেন। তার গণসংযোগে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগ, মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ।

চট্টগ্রাম মহানগরে গণসংযোগকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ। তিনি চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে পাঁচলাইশের হামজার বাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি মিডিয়া সেল থেকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিএনপি জানায়, চট্টগ্রাম-৮ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায় এবং পায়ে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এরশাদ উল্লাহ বায়েজিদ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। এই সময় দুর্বৃত্তরা এসে গুলি করেছেন। এতে এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে কেন এই ঘটনা ঘটছে তা জানি না। এরশাদ উল্লাহকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরে বিস্তারিত বলতে পারব।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন বাযেজিদ বোস্তামী এলাকায়। এই সময় সরওয়ার বাবলা নামের একজনকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরওয়ার বাবলাসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধসহ সহিংস ঘটনা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি। এর পরপরই চট্টগ্রামে মহাসড়ক অবরোধসহ সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দলের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যার পর দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার ও জলিল গেইট এলাকায় সহিংসতা, হানাহানি এবং রাস্তা অবরোধসহ জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন কয়েকজন স্থানীয় নেতা।

ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুণ্ড পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মামুন এবং যুবদলের সোনাইছড়ী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টু—কে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত চারজনই বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ