আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

রায়পুরায় নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুবেল

সাদ্দাম উদ্দিন নরসিংদী।

নরসিংদী:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল। দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করে রাজপথ থেকে ওঠে আসা একজন পরীক্ষিত নেতা হিসেবে আবালবৃদ্ধ- বনিতা থেকে শুরু করে সকল মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
গণমানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে আবিদ হাসান রুবেল সুপরিচিত। দীর্ঘদিন বিশ্বস্থতার সাথে আওয়ামী রাজনীতির একজন কর্মী হিসেবে দলের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দায়িত্ব পালন কালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ও জনকল্যাণমূলক কাজ জনসাধারণের মাঝে প্রচারণা করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি গরীব অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে জনবান্ধব নেতা হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সাধারণ ভোটাররা ততই বিশ্লেষণ করছে। সাধারণ গরীব, দুঃখী, অসহায় মানুষের পাশে কে দাঁড়াতে পারবে? দিনে-রাতে কাকে কাছে পাওয়া যাবে? কার দ্বারা সমাজ থেকে মাদক নিমূল করা যাবে? কে বেশি উন্নয়ন করতে পারবে? নানান জন নানান ভাবে আলোচনা করতে শোনা গেছে। সর্বশেষে আবিদ হাসান রুবেলের চশমা প্রতীককে আস্থা রাখার কথা ভাবছেন সাধারণ ভোটাররা।
তিনি হলেন, রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইনের নাতনী, এবং রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হযরত আলীর দ্বিতীয় ছেলে।
আবিদ হাসান রুবেল রায়পুরা পৌরসভার নজরপুর গ্রামের বাসিন্দা। আওয়ামী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তিনি রায়পুরার সর্বদলীয় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি মেথিকান্দা উত্তরপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি এবং রায়পুরা আদর্শ মানব কল্যাণ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। ধর্ম-বর্ণের বৃত্তের বাইরে গিয়ে, নানা জনহিতকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল ইতোপূর্বে আর্তমানবতার সেবায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো অতি ব্যাপক ও বিস্মৃত। অসংখ্য অসহায়, গরীব ও দুস্থদের মাঝে অন্ন- বস্ত্র- বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি, বেকারদের কর্মসংস্থানে নিয়েছেন কার্যকর পদক্ষেপ।
চশমা প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে নামা আবিদ হাসান রুবেল এ সময়ের সাহসী একজন নেতা হিসেবে নির্বাচনে তার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত হবে বলে প্রবীণ রাজনীতিবীদ ও এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন। অন্যদিকে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা উল্লেখ করে জনপ্রিয়তার দিক থেকে শক্তিশালী প্রার্থী তিনি। দলীয় সমর্থন দেয়ার বিকল্প নেই বলে ধারনা করেছেন নেতা কর্মী ও সমর্থকরা।

ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল প্রতিনিধিকে বলেন, জনগণের ভালোবাসাকে পূঁজি করে এবং রায়পুরা বাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। জনগনের ভোটে নির্বাচিত হলে রায়পুরা উপজেলাকে মাদক মুক্ত ও আপামর জনসাধারণের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবো, ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে সেবাকেন্দ্র চালু করে মানুষের দোঁড়গোড়ায় সরকারের বিদ্যমান সেবা পৌঁছে দেব। পাশাপাশি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।
সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা হলে, তারা বলেন, তিনি একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের কোনো অভিযোগ নেই। রায়পুরা বাসী এবার তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। সে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছে শুনে বিভিন্ন এলাকার বৃদ্ধ, যুবক সকলেই সাধুবাদ ও সমর্থন জানিয়েছেন। তার গণসংযোগে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগ, মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ