আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ জুন, ২০২৫

সচল চট্টগ্রাম বন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে জাহাজ ভিড়তে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে জাহাজে পণ্য ওঠানামা। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কেটে যাবার দুইদিন পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে জেটিতে জাহাজ ভেড়ার পরপর পণ্য উঠানামার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কাটলেও এখনও সাগর উত্তাল। তাই গত সোমবার জাহাজ ভেড়ানো যায়নি। আজ মঙ্গলবার (গতকাল) সকালে ১৯টি জাহাজের মধ্যে ১০টি জাহাজ বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। পণ্য উঠানামার কাজ একটু আগেই শুরু হয়েছে। বাকি ৯টি জাহাজ বহির্নোঙ্গর থেকে রওনা দিয়েছে।পণ্য খালাস বন্ধ করে গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো ৪৯টি খোলা পণ্যবাহী জাহাজও বহির্নোঙ্গরে ফিরতে শুরু করেছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এর আগে গত সোমবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কমে আসায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ফেরত আনার উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় পাইলটরা গিয়েও বহির্নোঙ্গর থেকে জাহাজ আনতে পারেননি। জাহাজ আসতে না পারলেও দুপুরে ইয়ার্ডে অপারেশন আংশিকভাবে শুরু হয়েছিল। গত ২৫ মে রাতে আবহাওয়া অধিদফতর ৬ নম্বর বিপদসংকেত জারির পর নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ অর্থাৎ বিপদ সংকেত জারি করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর নয় নম্বর মহাবিপদসংকেত জারির পর বন্দর তাদের নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-ফোর’ জারি করে। ওই দিন রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের জারি করা বিশেষ নির্দেশনায় জেটিতে থাকা সব জাহাজকে জোয়ার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জেটি ত্যাগের কথা বলা হয়েছিল। বহির্নোঙ্গরে থাকা সব জাহাজকে রাত থেকেই গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে রওনা দিতে বলা হয়। বন্দরের জেটি ও ইয়ার্ডে কনটেইনার পরিবহন ছাড়া বাকি সব ধরনের কার্যক্রম শনিবার রাতেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। গত রোববার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে ১৬টি জাহাজ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে উজানে এবং বহির্নোঙ্গর থেকে ৪৯টি জাহাজ গভীর সাগরে চলে যায়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, করোনার সম্ভাব্য নতুন সংক্রমণ মোকাবেলায় চট্টগ্রামের সব স্বাস্থ্যখাত-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করতে হবে। বুধবার চসিক নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় মেয়র নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সচেতন থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সময় মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে আগের মতো এবারও সফলভাবে করোনা মোকাবেলা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যারা কেউ বিদেশফেরত নন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তারা সংক্রমিত হয়েছেন,এটি স্থানীয় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত।
সভায় সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক), বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিপিসিআর টেস্ট চালু থাকবে। নগরের বিভিন্ন স্থান ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থাও থাকবে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালকে দ্রুত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন এবং চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সারোয়ার আলম, চিকিৎসক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা উল্লেখ করে মেয়র আরো বলেন, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস আবারও সকলে মেনে চলতে হবে। চসিক একটি সার্ভিস সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে নাগরিকরা ফোন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন বলেও মেয়র জানান।
তিনি আরও বলেন, গতবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্ক, টিকা ও মেডিকেলসামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করেছে। এবার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট দল নিয়মিত বাজার তদারকিতে থাকবে। চসিকের ম্যাজিস্ট্রেটরাও প্রয়োজন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করবে।

চট্টগ্রামে সংরক্ষণ ৭ লাখ ৭৪ হাজার চামড়া।

চট্টগ্রামে কোরবানীর প্রায় ৭ লাখ ৭৪ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিভাগের ১১ জেলার মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এ কোরবানির সাত লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষের চামড়ার সংখ্যা সাত লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি। এছাড়া ছাগলের চামড়ার সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩০২টি।

জানা গেছে, এ বছর কোরবানির চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের এতিমখানা,মসজিদ ও মাদরাসাসমূহে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিকটন লবন সরবরাহ করা হয়। যাতে করে স্থানীয়ভাবে দুই থেকে তিন মাস চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।

সূত্র জানায়, জেলাগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামের সংগৃহীত চামড়া দুই লাখ ৭২ হাজার ১০০টি, কক্সবাজারে ৩৭ হাজার আটশ ৮৯টি, নোয়াখালীতে এক লাখ ১৩ হাজার ৮৩১টি, চাঁদপুরে ২৩ হাজার ৬৫টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৯ হাজার ৭৮১টি, খাগড়াছড়িতে পাঁচ হাজার ৮৪৯টি,লক্ষ্মীপুরে ১১ হাজার ৮৩৭টি, ফেনীতে ১৩ হাজার ৫০৯টি, রাঙ্গামাটিতে দুই হাজার ৮৪৮টি, বান্দরবানে দুই হাজার ২৯২টি ,কুমিল্লায় এক লাখ ৯১ হাজার ৭৮৫টি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এসকল চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে সরকার সরবরাহকৃত বিনামূল্যের লবন দিয়ে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ