আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সরকারের সাফল্যে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিলবোর্ড স্থাপন

প্রেস রিলিজ

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও সাফল্য সংক্রান্তে প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিলবোর্ড স্থাপন ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারাভিযান চালানোর পাশাপাশি ৩ হাজার পিস লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২৯ মে বুধবার জেলা সিভিল ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বিলবোর্ড স্থাপন ও প্রচারাভিযানের উদ্বোধন করেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খান, সিনিয়র ¯^াস্থ্য শিক্ষা কর্মকতা থোয়াইনু মং মারমা, আজমীর ইন্টারন্যাশনাল কনসাল্টিং ফার্মের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুমন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন-এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কার্যক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আজমীর ইন্টারন্যাশনাল কনসাল্টিং ফার্মের সহযোগিতায় এলএন্ড এইচইপি ইনভাইট ইন অ্যাসিভমেন্ট অব ‘ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ, টুওয়ার্ডস এসডিজি এন্ড স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরীর কার্যক্রম হিসেবে জনসমাগমস্থলে ১২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থ সাইজের বিলবোর্ড স্থাপন করা হচ্ছে। একই সাথে সর্বজনীন ¯^াস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারাভিযান ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনের উদ্ধোধন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক ফোর ডি আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বােধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আইভি ফেরদৌস, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার অরুপ রতন নাহা, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মাকসুদুল হাসানসহ অনেকে।

এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, বিগত সময়ে হাসপাতালে টু ডি আলট্রাসনোগ্রাফী মেশিনের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হতো ৷ তাতে অনেক কিছু অসপষ্ট দেখা যেতো। দেশে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত হচ্ছে। সেজন্য সেবার সাথে অত্যাধুনিক আলট্রাসনোগ্রাফী মেশিনারিজ হাসপাতালে বসানো হয়েছে।

চমেক হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই মেশিন বন্ধে রোগীদের সীমাহীন ভোগান্তি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই মেশিন বন্ধে প্রতিনিয়ত রোগীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায় চার বছর ধরে নষ্ট রয়েছে মেশিনটি। এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করাতে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাগছে। ফলে গরিব রোগীরা পরীক্ষাটি করাতে পারছেন না।

জানা গেছে, দুই হাজার ২০০ শয্যার চমেক হাসপাতালে গড়ে দিনে রোগী ভর্তি থাকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নেন অন্তত তিন হাজার রোগী। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, এত বড় হাসপাতালে এমআরআই মেশিন মাত্র একটি। তাও সেটি বছরের পর বছর অকেজো। কোনো সভ্য দেশে এমন হতে পারে না। রোগীদের ভোগান্তির দায় এড়াতে পারে না কর্তৃপক্ষ।

তবে চমেক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এমআরআই মেশিন সচল করতে বিভিন্ন দপ্তরে অন্তত ৪০ বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুধু সচল হচ্ছে-হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায় সারছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি ১৫ উপজেলার অসংখ্য রোগীর কপাল পুড়ছে। সরকারিভাবে যেখানে মাত্র তিন হাজার টাকায় পরীক্ষা হয়, সেখানে কয়েক গুণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ১০ কোটি টাকার জাপানি হিটাচি ব্র্যান্ডের (১.৫ টেসলা) এমআরআই মেশিন চমেক হাসপাতালকে দেয়। ঢাকার মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড এটি সরবরাহ করার পর ওই বছরের ২৪ অক্টোবর হৃদরোগ বিভাগের নিচতলায় স্থাপন করা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয় কার্যক্রম। তিন বছরের ওয়ারেন্টির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ২০২০ সালের অক্টোবরে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে। প্রায় সাত মাস পর ২০২১ সালের মে মাসে মেরামত করে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। তবে মাস না যেতে আবারও অকেজো হয়ে যায়। সেই থেকে হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে এমআরআই সেবা।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, অত্যন্ত জরুরি এমআরআই মেশিন সচলের জন্য চিঠি চালাচালি করে তারা নিজেরাই এখন বিরক্ত। মেরামতে প্রায় সাত কোটি টাকা লাগবে। আবার নতুন মেশিন কিনতে গেলে লাগবে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। অর্থ বরাদ্দের বিষয় চূড়ান্ত না হওয়ায় এটি নষ্ট রয়েছে বলে জানান তিনি।

কয়েক মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন। ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালানো পঙ্গু রমিজ হোসেন তাঁকে নিয়ে আসেন চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে। চিকিৎসক দেখে এমআরআই করতে বলেন। কিন্তু বাবা-ছেলে এমআরআই কক্ষের সামনে গিয়ে দেখেন, তালা ঝুলছে। পরে

হাসপাতালের লোকজন জানান, চার বছর ধরেই তালা ঝুলছে এমআরআই কক্ষে। বাইরে খবর নিয়ে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকার কথা শুনে আর পরীক্ষা করা হয়নি। রমিজ হোসেন বলেন, এক টাকা দিয়ে পরীক্ষা করানোর সামর্থ্য নেই। এ জন্য বেশ কয়েকবার হাসপাতালে এসেছি। প্রতিবার ফেরত গেছি। ছেলের সুস্থতা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।

আরেক রোগীর মেয়ে জিন্নাত আরা বলেন, মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। হঠাৎ এক দিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় মাথা, হাত, বুক ও পায়ে আঘাত পান। চিকিৎসক এমআরআই করতে দিয়েছেন। বেসরকারিতে করার সামর্থ্য নেই। চমেক হাসপাতালে অনেকবার এসেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ