আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রামে অবরুদ্ধ টাইগারপাস মোড়, পথচারীদের সীমাহীন ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রেন ছিল আটকা, সড়কেও বসলেন শিক্ষার্থীরা

এবার চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের হাইকোর্টের রায় বাতিল ও কোটা সংস্কারের দাবিতে গতকাল বুধবার দুপুর একটা ২০ মিনিটে নগরীর টাইগারপাস সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টায় দেওয়ানহাট রেললাইন অবরোধ করেন তারা। এছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ এলেও চট্টগ্রামে রেলপথ ও সড়ক ছাড়ছেন না আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রেলপথ অবরোধের কারণে কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়েছে। এছাড়া ট্রেনের সূচিও এলোমেলো হয়ে পড়ে।
এদিকে টাইগারপাস সড়ক অবরোধের কারণে নগরীর

লালখানবাজার, দেওয়ানহাট, আমতল ও নিউমার্কেট সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কোনো উপায় না পেয়ে অনেক চালককে গাড়ি ঘুরিয়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করতে দেখা গেছে। এছাড়া অনেক যাত্রীকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা গেছে। এসময় পুলিশের গাড়িকেও আটকাতে দেখা শিক্ষার্থীদের।
এর আগে গত ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলনে আছেন কোটা বাতিলের দাবি জানানো শিক্ষার্থীরা। শুরু থেকে চার দফা দাবি জানিয়ে এলেও গত ৭ জুলাই থেকে তারা এক দফা দাবির কথা বলছেন। দাবিটি হচ্ছে, সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, আমরা দুপুর থেকেই টাইগারপাসে অবস্থান করেছিলাম। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ রেললাইন অবরোধ করে ছিল। অন্য একটি অংশ টাইগারপাস সড়কে এসে অবস্থান নিয়েছে। যান চলাচল বন্ধ। তারা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছে। কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা যাতে না ঘটে আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।
এছাড়া গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় অবস্থান নিয়ে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে স্থিতাবস্থা জারির খবর পৌঁছে। এরপর শিক্ষার্থীরা ফিরে যাবেন বলে ধারণা করা হলেও তারা যাননি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঢাকা থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে সেটা পাহাড়তলী স্টেশনে আটকা পড়ে আছে। এছাড়া ঢাকার উদ্দেশে মহানগর এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার কথা। কিন্তু সেটা ডকে আটকা আছে। চালক একবার আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেটা অবরোধ করলে ওই ট্রেন আবার ডকে ফিরে যায়। তিনি বলেন, যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেক যাত্রী আমার কাছে এসে কৈফিয়ত চাচ্ছেন।
এদিকে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে টাইগারপাস এলাকায় সড়কে গিয়ে অবস্থান নেন। এতে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট, লালখান বাজারসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে থানায় অস্ত্র লুটে জড়িত ‘ব্লেড মাসুম’ গ্রেফতার।

চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলী থানায় সংঘটিত অস্ত্র লুটের ঘটনার সঙ্গে ‘জড়িত’ সাইদুর রহমান মাসুম ওরফে ‘ব্লেড মাসুম’ (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নগর পুলিশ ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিএমপি’র পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন।

‘ব্লেড মাসুম’ দীর্ঘদিন ধরে নগরজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল জানিয়ে জানিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, পাহাড়তলী থানার ওসি মো. বাবুল আজাদের নেতৃত্বে এসআই জসীম উদ্দীন ও সঙ্গীয় ফোর্স বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে জেলেপাড়া রানী রাসমণিঘাট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট পরিচালনা করে। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে মাসুম পায়ে হেঁটে সাগরিকা রোড চৌরাস্তার দিকে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে থামতে বলে। এসময় সে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, তল্লাশিতে মাসুমের কোমরে বেল্টে ঝোলানো অবস্থায় একটি কালো রঙের পিস্তলের খোলস, একটি ৭.৬২ এমএম পিস্তল, লোড করা ম্যাগাজিনে চার রাউন্ড গুলি এবং একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম জানায়, গত ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে

জড়িত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে। এরপর তা নিজের হেফাজতে রেখে বিভিন্ন ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহার করে আসছিল। মাসুম ও তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা পাহাড়তলী, টোল রোড, পতেঙ্গা সৈকত এবং বন্দর এলাকায় পথচারী, সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক, যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িচালকদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মালামাল লুটে নিত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি পুরনো মামলাও রয়েছে।

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি-জেলা জজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১ জুলাই।

ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ১ জুলাই সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।

এদিন মামলার ধার্য তারিখে অন্তবর্তী জামিনে থাকা পাঁচ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। এরা হলেন- কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, ওই আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তাদের অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন আদালত।

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি এলাকায় কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।এতে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।

কিন্তু তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার এক নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথিপত্র পাঠান দুদকের প্রধান কার্যালয়ে।জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন।

ওই মামলার তদন্ত শেষে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ২০২৪ সালের ১ জুলাই আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।তদন্তে নথি জালিয়াতির ঘটনায় সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও আসামি করা হয় বাদীপক্ষের

আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদকে।দুদকের কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শাহ হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি কক্সবাজারের বিশেষ জজ আদালতে জালিয়াতির বিষয়ে দুদকের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়। ২৩ জানুয়ারি আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে অন্তর্র্বতী জামিন পান। সম্প্রতি মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ