
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নতুন সিটিস্ক্যান মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। এটি স্থাপিত হলে রোগীদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এবং দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাদের। জাপানের সাবেক হিটাচি ব্র্যান্ডের বর্তমানে ফুজি ফিল্মের নতুন মেশিনটি সরবরাহ করে মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক প্রতিষ্ঠান। প্রায় আট কোটি টাকা মূল্যের নতুন অত্যাধুনিক মেশিনটি গত শুক্রবার হাসপাতালে আনা হয়। এতদিন হাসপাতালে একটিমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন দিয়ে কাজ চলছিল। মেশিনটি বারবার বিকল হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হতো রোগীদের। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন মেশিন চালু হলে রোগীদের সেবার মান আরো বাড়বে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন বলেন, নতুন সিটিস্ক্যান মেশিন চমেক হাসপাতালে এসেছে। সেটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থাপনের কাজ চলছে। এটি চালু হলে রোগীরা সহজেই সেবা পাবেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গড়ে ৩০ থেকে ৫০ জনের সিটিস্ক্যান সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। পরীক্ষা ভেদে মাত্র ২ থেকে ৪ হাজার টাকায় এ সেবা গ্রহণ করতে পারে রোগীরা। যা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা। এতদিন একটি মেশিন বারবার বিকল হওয়ার কারণে বেসরকারি ল্যাবে ছুটতে হতো রোগীদের। এতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এবং দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাদের। নতুন মেশিনটি চালু হলে রোগীরা সহজেই সেবা পাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চমেক হাসপাতালে একমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন দিয়ে কাজ চলছিল। কিন্তু মেশিনটি বারবার বিকল হওয়ায় রোগী-চিকিৎসকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিকবার চিঠি দেয়। সর্বশেষ চট্টগ্রামে সফরে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেও বিষয়টি জানতে পারেন।এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নতুন মেশিনটি চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।