আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

জঙ্গীবাদ ও অপশক্তি নির্মূলে শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে

প্রেস রিলিজ

সন্ত্রাস দমন আইনে ও সরকারের নির্বাহী ক্ষমতাবলে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্র বিরোধী জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সরকারী প্রজ্ঞাপনকে স্বাগত জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, শোকাবহ আগস্ট মাসের প্রথম দিনে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। তাই আমাদের প্রত্যেককে যারা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বাংলাদশেকে বিশ্বাস করি আমাদের প্রতিপক্ষ যে আবরণ ও মুখোশে থাকুক না কেন তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার সময় এসেছে। তিনি আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স-পরিবার হত্যা পর্ব শোকাবহ আগস্ট মাসের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আন্দকিল্লাস্থ শাহী জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে শোক র‌্যালী পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে একথা বলেন। এতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, এই আগস্ট মাস বঙ্গবন্ধুকে হত্যাসহ শেখ হাসিনার প্রাণনাশ এবং জঙ্গীবাদের উত্থানের অনকে অঘটন ঘটেছে। এই আগস্ট মাসের প্রারম্ভেই ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলন ¯^াধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিহ্ন করার একটি অশনি সংক্ষেত। আমাদের প্রত্যেক স্তরের নেতা-কর্মীদের একমাত্র দায়িত্ব হলো সরলমতি সন্তানদের বিভ্রত করে জামায়াত-শিবির দেশীয়-আন্তর্জাতিক নীলনকশা অনুযায়ী বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চাই, তাদের বিরুদ্ধে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিবা-নিশি রাজপথে থাকতে হবে। শোকাবহ আগস্ট মাসের শুরুর প্রথম দিনে শোককে শক্তিতে পরিণত করার দুর্জয় সাহস নিয়ে জামায়াত-শিবির ও তাদের প্রধান আশ্রয়দাতা বিএনপির ¯^াধীনতা বিরোধী নেতাকর্মীদের ঠিকানা অনুসন্ধান করে তাদের কবর রচনা করতে হবে। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বর হতে একটি বিশাল শোক র‌্যালী বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়। মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইসহাক, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুচ ছালাম এম.পি, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবার চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহর লাল হাজারী, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, সৈয়দ আমিনুল হক, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, এম.এ লতিফ এম.পি, কামরুল হাসান বুলু, বখতেয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কিশান চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, আবদুল লতিফ টিপু, ড. নেছার উদ্দিন মনজু, মোহাম্মদ জাবেদ, হাজী বেলাল আহমদ, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের সিদ্দিক আলম, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি স্পেশাল, কাজী আলতাফ হোসেন, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শাহাজাহান রশিদ, শাহাজাদা কাজী আব্দুল মালেক, হুমায়ুন কবির মুন্না, নূর মোহাম্মদ নুরু, এডভোকেট আইয়ুব খান, সাইফুদ্দিন খালেদ, কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, আব্দুর রহিম, আতিকুর রহমান, সরওয়ার মোর্শেদ কচি, অধ্যাপক ইসমাইল, লুৎফুল হক খুশি, কায়সার মালিক, আলহাজ্ব সিদ্দিক আহমদ, দিদারুল আলম মাসুম, আব্দুল আজিম, সাইফুল আলম বাবু, শাহেদুল আলম শাকিল, মোহাম্মদ মুছা, আকবর আলী আকাশ, নুরুল আজিম নুরু, ইফতেখারুল আলম প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে সাউর্দান মেডিকেল কলেজে আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন ৬১টি গবেষণাপত্র

দেশি-বিদেশি গবেষকদের অংশগ্রহণে সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক প্রথম দেশি ও আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক আয়োজিত ‘এসএমসিএইচ সামিট-২০২৫’-এ উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন।সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দিনব্যাপি চলে এবং এতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষকগণ স্বাস্থ্য শিক্ষা, মেডিকেল কারিকুলাম, অ্যাক্রেডিটেশন, তথ্য ও প্রযুক্তি, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশুস্বাস্থ্য, লিভার, হৃদরোগ, চক্ষু, গণস্বাস্থ্য, বার্ধ্যক্যজনিত রোগ, অনুজীববিদ্যা, মৌলিক চিকিৎসা বিদ্যাসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ে প্রায় ৬১টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, আমেরিকা ও লন্ডন থেকে আগত চার আর্ন্তজাতিক গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।

দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক বাংলাদেশ মেডিকেল এডুকেশন অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবির তালুকদার, অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, অধ্যাপক ডা. খন্দকার এ কে আজাদ, খ্যাতনামা শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লা, খ্যাতনামা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমীন, বাংলাদেশ মেডিকেল রির্সাস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান খ্যাতনামা গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, অধ্যাপক ডা. অনুরুদ্দ ঘোষসহ বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ও ঢাকা হতে আগত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে সাইন্টিফিক প্রজেক্ট ‘নেক্টট জেনারেশন ইনোভেটরস’ উপস্থাপন করেন।
গত ১৬ অক্টোবর সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘এসএমসিএইচ সামিট-২০২৫’এর কনফারেন্স লোগো মোড়ক উম্মোচন, থিম উপস্থাপনা ও ব্যানার উম্মোচনের মাধ্যমে অফিসিয়ালভাবে কার্যক্রম শুরু হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজকে আয়োজন সফলভাবে শেষ হলো।

এতে সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন সাউর্দান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জয়ব্রত দাশ, অর্গানাইর্জিং সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মেহেরুন্নিছা খানম, সাউর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম, এমডি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএমডিসি সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও সাউর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. খুরশীদ জামিল, অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভপতি অধ্যাপক ডা. ধনঞ্জয় মজুমদার, মেডিকেল এডুকেশন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মিনহাজুল আলম, এছাড়াও বিভিন্ন কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ, পৃষ্ঠপোষকবৃন্দ, উপদেষ্টাবৃন্দ, সকল চিকিৎসক, শিক্ষক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে সর্বত্র সহযোগিতা করেন।

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।


চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গাঙ্গেয় বদ্বীপের সংগীত ব্যক্তিত্ব যোগী স্বপন কুমার দাশ’র রচিত আধ্যাত্মিক ও দেহতত্ত্ব বিষয়ক গান নিয়ে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিক কিরন শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলক ও প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম এর পরিচালক মো.মাহফুজুল হক। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর প্রখ্যাত সাধক শ্রীমৎ স্বামী সত্যানন্দ ব্রহ্মচারী’জীকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ‘খুঁজি তাঁরে’ অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা রাখাল চন্দ্র ঘোষ (যুদ্ধকালিন কমান্ডার), আব্দুর রহিম (লোক ও মরমি শিল্পী), রূপম ভট্টাচার্য (সাংবাদিক), স ম জিয়াউর রহমান(সাংবাদিক), দিদারুল ইসলাম (সংগীত পরিচালক ও কন্ঠ শিল্পী), তন্দ্রা দাশগুপ্তা, সংগীত শিল্পী সঞ্জয় রক্ষিত সহ প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত

ছিলেন পাপিয়া আহমেদ (সংগীত প্রযোজক বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম), অপু বর্মন (সংগীত শিল্পী বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এবং সংগীত শিক্ষক জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম), অপু সেনগুপ্ত (বিশিষ্ট গীতিকার বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন), দীপ্ত দত্ত সংগীত শিল্পী (বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন)।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, খ্যাতনামা মরমি কন্ঠ শিল্পী শিমুল শীল, বাউল শিল্পী বাবুল শীল, অভিষেক দাশ, বাউল জুয়েল দ্বীপ, শিউলী চৌধুরী, আনন্দ প্রকৃতি(মো:তৌহিদুল ইসলাম), আধাত্মিক শিল্পী সুরনাথ, কাওয়ালী শিল্পী মেঘলা। ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি প্রতিযোগিতার সেরা কন্ঠ শিল্পী বাঁধন ঘোষ, ইন্দ্রিলা ঘরজা, মিম দাশ, অধরা চৌধুরী রাত্রি, আরাধ্যা মজুমদার, সৈয়দ রাসতিন, অরূপ কুমার শীল, ঊর্মি নাগ সংগীত পরিবেশন করেন।

যন্ত্র সংগীত শিল্পীতে ছিলেন- কীবোর্ডে রুবেল ঘোষ, অক্টোপ্যাডে পাপন, তবলায় উৎস, বাংলা ঢোলে হৃদয় বাঁশিতে নিলয়। সংগীত তত্বাবধানে যোগী স্বপন কুমার দাশ, অনুষ্ঠান তত্বাবধানে মো: মোহসীন(সাধারণ সম্পাদক, ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি সংসদ)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো: সাইফুর রহমান ও ববিতা ইসলাম।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ