আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে সতর্ক করছে জাতীয় ভোক্তাধিকার

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ব্যবসা বানিজ্যে ক্রয়-বিক্রয় থাকবে, ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকবে, এটা স্বাভাবিক প্রথা হলেও দীর্ঘদিন ধরে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যখানে কমিশন এজেন্টস নামে একটি মধ্যস্বত্তভোগী নিত্যপণ্যের বাজারে প্রবেশ করে লাভের একটি বড় অংশ নিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের কমিশন এজেন্টস প্রথা, ডিও/স্লিপ প্রথার কারনে দেশের ব্যবসা বানিজ্যে একটি চক্র বিপুল অংক হাতিয়ে নিচ্ছেন। একটা সময় আমদানিকৃত পেয়াঁজ নিয়ে এই চক্রটি সক্রিয় হলেও বর্তমানে আলু, মসলা, সবজিসহ নিত্যপণ্যের অনেকগুলি জায়গায় কোন প্রকার বিনিয়োগ ও বৈধ রশিদ ছাড়া ছাড়াই বিপুল অংক হাতিয়ে নিচ্ছেন। এই কমিশন এজন্টেস ও স্লিপ প্রথা চলমান থাকার কারণে ব্যবসা বানিজ্যে কারসাজি বন্ধ, মধ্যস্বত্তভোগীদের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বাজার তদারকিতে গেলেই একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেরা সাধু সাজার চেষ্টা করছেন। আর ক্রয়-বিক্রয় রশিদ ছাড়াই শুধুমাত্র একটি চালানের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে যাচ্ছেন। আর নিত্যপণ্য নিয়ে কারসাজির পেছনেই এই অদৃশ্য ব্যবসাই অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপের নেতৃবৃন্দ। শনিবার নগরীর ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারী বাজার রেয়াজউদ্দীন বাজারে দেশের সংকট ও ক্রান্তিকালীন সময়ে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ও সিন্ডিকেট কারসাজি বন্ধের দাবিতে বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচিতে উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন এর নেতৃত্বে এই তদারকি অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্যাহ, জেলার সহকারী পরিচালক নাসরীন আক্তান, সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান, সহকারী পরিচালক রানা দেব নাথ, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি চৌধুরী কে এন এম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, ক্যাব যুব গ্রুপের রাসেল উদ্দীন, নাফিসা নবী, রিদওয়ানুল হক, ওমর ফারুক, সিদরাতুল মুনতাহার, মোঃ রায়হান উদ্দীন, মিনহাজুল ইসলাম, ইয়াছিন আরাফাত, এরশাদুল ইসলাম প্রমুখ অংশনেন। এছাড়াও রেস্তোরা মালিক সমিতি সাবেক সভাপতি ইলিয়াছ ভুইয়া, রেয়াজ উদ্দীন বাজার কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক শিবলী সাদিক, বনিক কল্যান সমিতির দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাজার তদারকি ও প্রচারণা কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের বাজারে কমিশন এজন্টেস ও স্লিপ ব্যবসার নামে পুরো দেশকে অস্থির করে তুলেছেন। বিপুল পরিমান অর্থও পাচারের অন্যতম কারন এই মধ্যস্বত্তভোগী ব্যবসা। যেখানে বিনিয়োগ ছাড়াই বিপুল অংক আয় করা যায়। যেখানে ব্যবসার কোন নিয়মনীতি ও বৈধ কাগজপত্র লাগে না। এই ব্যবসা অনেকটাই চাঁদাবাজির মতো। কারণ যারা ব্যবসা করেন তারা পর্দার অন্তরালে থেকে যায়। তাই অনতিবিলম্বে এধরনে ফটকা ব্যবসা বন্ধ না হলে ব্যবসা বানিজ্যে শৃংখলা ফেরানো কঠিন হবে।
ক্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা পুরো ১৬ বছরই বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপণ্য ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম বাড়িয়ে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছেন। আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও রাজনৈতিক পরিচয় দেখার কারনে বেপরোয়া হয়ে জনগনের পকেট কেটেছেন। অকে জায়গায় পদে পদে ব্যবসায়ীরাও চাঁদাবাজি, আমদানিকারক ও করপোরেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনাসহ নানা দোহাই দিয়ে অতিমুনাফায় মগ্ন ছিলেন। একট সময় রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রী এমপি হবার জন্য লগ্নি করেছেন। যার খেসারত হিসাবে বিগত সরকারের আমলে একটি সুবিধাভোগী চক্র গড়ে উঠেছে যারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট করে পুরো দেশের মানুষের পকেট কেটে দেশে বিদেশে পাঁচার করেছেন।
ক্যাব নেতৃবৃন্দ আরও বলেন বলেন, বিনা কারনে কোরবানীর ঈদের পর থেকে চাল, আলু, কাঁচা মরিচ, পেয়াঁজসহ শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরী করছেন। সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর পর বেশ কয়েক দিন নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা সহনীয় থাকলেও নানা অজুহাতে আবার দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বিগত সরকার গুটি কয়েক করপোরেট গ্রুপের কাছে পুরো নিত্যপণ্যের বাজার ছেড়ে দিয়েছিলো। যার কারনে ছাত্র-জনতার কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় ব্যবসায়ীরা বিগত সরকারকে অকুন্ঠ সমর্থন পূনঃব্যক্ত করেছিলেন যাতে, তাদের এই অবৈধ মুনাফায় যেন কোন ধরনের বিচ্ছেদ না ঘটে। তাই ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যত্থানকে সফল করতে হলে এসমস্ত করপোরেট গ্রুপগুলো বিগত সরকারের আমলে কি পরিমান অর্থ লুপাট করেছেন তার অনুসন্ধান ও তাদের অবৈধ সম্পদের পরিসংখ্যান জাতির কাছে উপস্থাপন করে ঐ সম্পদ রাস্ট্র মেরামতে বিনিয়োগ করা দরকার। মানুষরূপী এসমস্ত মূল্য সন্ত্রাসীরা যেন সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পৃষ্টাষোকতায় রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করতে না পারেন সেজন্য সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অধস্তন আদালতও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম ই ফ্যামিলি কোর্ট উদ্বোধন করতে এলে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাএর সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন,

চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎকালে তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।তারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এর ন্যায় পদ -পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল নির্ধারণের ও দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ আইনের ধারক ও বাহক।
Pp

কিন্তু অধস্তন আদালতের কর্মকর্তাও কর্মচারীগন বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বৈষম্য দূরীকরণের জোর দাবি জানান।আইন সচিব অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজমোঃ হাসানুুল ইসলামও চট্টগ্রামের সকল স্তরের বিচারক মন্ডলী।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল হক আকন্দ ।বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাং শামসুল হক, , চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ