আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সুদক্ষ পুলিশ গঠন রাষ্ট্র ও জনগণর করণীয় (প্রসংঙ্গঃ সিঙ্গাপুর মডল)

এ.এম জিয়া হাবীব আহসান, এডভাকট।

ভুমিকা ঃ
বাংলাদশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডশন (বিএইচআরএফ) এর পক্ষ থেকে সকলের প্রতি রইল সালাম ও শুভছা। আপনারা অবগত আছন যে, অত্র সংস্থা অসহায় নির্যাতিত মানুষর জন্য কাজ কর যাচ্ছে। আইনগত সহায়তা ও অধিকার সচেতনতার পাশাপাশি জাতীয় জীবনে ঘটে যাওয়া মানুষের নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নিরপেক্ষ, কার্যকর এবং সুষ্ঠু ধারার দক্ষ গড়ে তোলার লক্ষ থেকেই বাংলাদশ মানবাধিকার কাজ করে যাচ্ছে। অপরাধ দমন এবং প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি বিধান পুলিশের পাশাপাশি আমাদের প্রতিষ্ঠান অসহায় নির্যাতিত মানুষের তদন্ত ও আইনী সহায়তা দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কি অপরাধমুলক কর্মকান্ডের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় বাংলাদশ পুলিশ বাহিনীর উপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এখন শূণ্যের কোটায়। কেননা কিছু কিছু ঘটনায় দেখা যায়, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই সরাসরি অপরাধের সঙ্গ জড়িত। যাদের কাছে মানুষ আশাকরে নিরাপত্তা, তারাই অনেক ক্ষেত্রে একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটায়।
১৮৫৭ সালপর বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন যখন ব্যর্থ হয়, তখন থেকে বৃটিশ শাসক গোষ্ঠী তাদের নিরাপত্তা রক্ষায় একটি অনুগত বাহিনী গড়ে তুলতে উদ্যোগি হয় এবং পরবর্তীত ১৮৬১ সাল পুলিশ অ্যাক্টের মূল গঠিত হয় পুলিশ বাহিনী। ১৮৬১ সালর পুলিশ বিধানের সারাংশ বর্ণিত হয়েছে সরকার ও সরকারী কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিধান ও শাসক হিসেবেই পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয়। সেই বৃটিশ বাহিনীর মানসিকতায় গড়া ১৮৬১ সালর পুলিশ অ্যাকটর পরিবর্তন করে পুলিশকে জনগণর বন্ধু হিসেবে প্রতিস্থাপন করা আজো সম্ভব হয়নি। ফলে পুলিশ জনগণের বন্ধুর লক্ষে সরকার ও সরকারী কর্মচারীদের আগ্গাবহ হিসেবে আজও পরিচালিত হচ্ছে। দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। শুধু অপরিবর্তিত রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। বাংলাদেশ পুলিশের অধিকাংশ সদস্যদের অভিযোগ, নানা প্রকার সমস্যায় তারা জর্জরিত। পুলিশ সদস্যদের না আছ উপযুক্ত বেতন, ওভার টাইম, বিশেষ ভাতা, আপদকালীন ভাতা, না আছে বাসস্থান, অফিস ব্যবস্থা, সরকারী যথার্থ মর্যাদা। নানা সমস্যায় জর্জরিত ও অনিয়মে পরিপূর্ণ পুলিশ বিভাগ। মামলার সঠিক সুষ্ঠু তদন্ত, দেশের আইন শৃংঙ্খলার উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমন, আসামী গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কোন কাজই পুলিশ সঠিকভাবে করতে পারছে না। তাই আজ দেশের ও দেশের স্বার্থে পুলিশ বিভাগের সংস্কার প্রয়োজন। ঢেলে সাজানো প্রয়োজন বৃটিশ আইন, নিয়োগ বিধি পরিবর্তন, অত্যাধুনিক ট্রনিং ও অস্ত্রসস্ত্র। অনেকেই বলছে পুলিশ মানবাধিকার লংঘন করছে। পুলিশ সদস্য বলছে তাদের মানবাধিকারের প্রতি কারো লক্ষ্য নাই। আমরাসহ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এ অনিয়মের পরিবর্তন চাই, চাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের আধুনিক পুলিশ। চাই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সুদক্ষ ও বিচক্ষণ পুলিশ প্রশাসন। তারই জন্য প্রস্তাবিত “সুদক্ষ পুলিশ প্রশাসন গঠন রাষ্ট্র ও জনগণর করণীয়” নিয় আজকের এই প্রবন্ধ।
সুদক্ষ পুলিশ বলতে কি বুঝি ঃ
ধারাবাহিক —
………………….

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ