আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

স্বাধীন দেশকে রক্ষায় ধৈর্য্যধারণের মাধ্যমে সচেতন থাকতে হবে : সৈয়দ মোস্তফা

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চট্টগ্রাম উত্তর জেলার নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরাম জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম বলেছেন-১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে নাই। ২০০৮ সালে ১/১১ সরকারের বদৌলতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শক্তি ও ইসলামী চিন্তাশীল নেতৃবৃন্দকে নির্মূলের মিশনে নেমে স্বৈরাচারী কায়দায় স্বাধীনতার মূল চেতনা ও জনগণের মৌলিক অধিকারকে হরণ করে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতা আখঁড়ে ধরেছিল। বাংলাদেশের ছাত্র জনতাসহ গণতন্ত্রকামী জনগণের ঐক্যবদ্ধ সর্বাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় এবং দেশ ছেড়ে পলায়ন করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তীতে তারা যেভাবে জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করেছে একই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট’র পরাজয়ের পরও তাদের লেলিয়ে দেওয়া পশুরা জনগণের ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। যার কারণেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন দেশনায়ক তারেক রহমান বাংলাদেশের জনগণসহ দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদেও স্বাধীন দেশকে রক্ষা করার জন্য সকলকে ধৈর্য্য ধারণের মাধ্যমে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় হাটহাজারী কৃতি সন্তান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুচ অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান এবং তার সাথে হাটহাজারী অপর দুই কৃতিসন্তান খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ ফারুক ই আযম বীর উত্তম ও নুরজাহান বেগম উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। তাই আমাদের হাটহাজারী বাসিকে অধিকতর ধৈর্য্যরে সাথে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বালুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে এবং গুমানমর্দনের শান্তি সমাবেশে গুমানমর্দন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মুন্নার সভাপতিত্বে ও গুমানমর্দন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন খোকার পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মুহাম্মদ ইয়াকুব মেম্বার, মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেতা বাবু উত্তম কুমার দাশ, গুমানমর্দন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর মেম্বার, মির্জাপুর জামাতে ইসলামীর নেতা মোঃ আলম, মোঃ জাফর আলম, মোঃ আবু তাহের, মোঃ সিরাজুল হক, মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ শাহেদ মেম্বার, হাটহাজারী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মাসুদ পারভেজ, মোঃ পারভেজ, মোঃ আব্দুল করিম, মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোর্শেদুল আলম, যুবদল নেতা মোঃ কামাল, আরাফাত মামুন, মোঃ আনোয়ার, মোঃ সরওয়ার, ছাত্রনেতা মোঃ দৌলত হোসেন, মোঃ বাবু সালাম, মোঃ নোমান, মোঃ মিসকাতুল আলম, মোঃ লোকমান, এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোঃ জাফর সওদাগর, মোহাম্মদ আলী সওদাগর, মোঃ বদিউল আলম সওদাগর প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাসুম বলেন, বুলেটের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দল ঠিকে থাকতে পারে না। বাংলাদেশের আপমর জনগণ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের যে পতন ঘটিয়েছে তার রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকারী সকল দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীতে যাতে কোন স্বৈরাচারী সরকারের উত্থান না হয় সে দিকে সর্তক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ