আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

অব্যাহত বর্ষণে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অব্যাহত ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বেশিরভাগ এলাকার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। বাসা-বাড়িতে ঢুকেছে পানি। এছাড়া সড়কেও গণপরিবহন কম চলতে দেখা গেছে। ফলে কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে অনেক পোশাক কারখানাও বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়ার কার্যালয়ের সহকারি পূর্বাভাস কর্মকর্তা আবদুল বারেক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, ভোর ছয়টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম নগরী ও পাহাড়ধসের সম্ভাবনা আছে।
সরেজমিনে নগরীর প্রবর্তক মোড় ও চকবাজার এলাকায় দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কোমর পরিমাণ পানি জমে গেছে। সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে তেমন গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি। দুই একটি চললেও সেখানে দ্বিগুনের বেশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। উপায় না পেয়ে রিকশা ও ভ্যানগাড়িতে চড়ে অনেককে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। কোমর পরিমাণ পানিতেই অনেককে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যেতেও দেখা গেছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, শুলকবহর, বাদুরতলা, জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেইট, পাঁচলাইশ, হালিশহরসহ আরও বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার অনেক বাসাবাড়ির নিচতলা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটে পানি ঢুকে গেছে।
নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, টানা পাঁচ-ছয়দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝারি বা ভারী বৃষ্টি হলেই নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানির কারণে বাসা থেকে বের হতে পারছি না। নিচের সিঁড়ি পর্যন্ত পানি এসে গেছে। প্রয়োজনীয় কাজ করা যাচ্ছে না। বাচ্চাদের স্কুল খুললেও তাদের পাঠাতে পারছি না।
নগরীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর ইলাহী বলেন, জলাবদ্ধতার চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় পানি উঠে গেছে। বুধবারও পানি ছিল। ক্লাসে যেতে পারিনি। যারা গেছে তাদের থেকে নোট নিয়েছি। অনেক স্যাররাও পানির কারণে ভার্সিটিতে যেতে পারেনি বলে শুনেছি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে খাল ও নালা দিয়ে পানি যেতে পারছে না। তাই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের একাধিক টিম নগরীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ করছে। বৃষ্টি কমলেই পানি আস্তে আস্তে নেমে আসবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ