আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সমাবেশ ও অফিস উদ্বোধন

দেবহাটা প্রতিনিধি:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দেবহাটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পারুলিয়া ইউনিয়ন শাখা অফিস উদ্বোধন ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪টায় পারুলিয়া বাজারে এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে পারুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি সোহারব হোসেনের সঞ্চালনার ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর (ভারপ্রাপ্ত) মাও: আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে ওপ্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাহাবুবুল আলম, জেলার অন্যতম সদস্য এম আসাদুজ্জামান মুকুল, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অলিউল ইসলাম,উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এইচ এম ইমদাদুল হক, সখিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইয়াকুব সরদার,নওয়াপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইন্জিনিয়ার মাহবুব আলম ছাত্র শিবিরের উপজেলা সেক্রেটারি শাফায়েত হোসেন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তরা বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বার বার দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে। এই আওয়ামী লীগ ৭১- এর পর স্বাধীন বাংলাদেশে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ও শোষণের নীতি অবলম্বন করেছিল। আর খুনি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা গোটা দেশকে স্বৈরাচারী কায়দায় জিম্মি ও অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। ১৫ বছর আওয়ামী লীগ খুন, গুম, মামলা-হামলায় মেতেছিল। দেশে ন্যায়বিচার বলতে কিছুই ছিল না। বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এমতাবস্থায় ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচারীকে মেনে নেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ আমলে মানুষ ঘরে থাকতে পারেনি। অসংখ্য আলেম ওলামাকে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানো হয়েছে।স্বৈরাচারী হাসিনা ১৫ বছর দেশের জনগণকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ষড়যন্ত্র চলে আসছে। এমনিক দেবহাটার মাটিতে ৮ জন ভাইকে নির্মাম ভাবে শহীদ করা হয়েছে, অসংখ্যা মানুষকে পঙ্গ করা হয়েছে, মানুষকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। তারপরেও কোন সময় মাঠ ছেড়ে দেয়নি। জামায়াত মানুষের কল্যাণে কাজ করে, জামায়াত কখনো অন্যায়ভাবে মানুষের উপর জুলুম করে না। জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা মানুষের বাড়িঘর, ধর্মীয় উপসানালয় পাহারা দিয়েছিলেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত হবে সবাইকে সাধারণ ক্ষমা করে দেওয়া। আমরা হানাহানী নয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই। মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও বাসযোগ্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবাইকে ঐক্যবন্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ সময় ইনসাফভিত্তিক, একটি বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকদেরকে জামায়াতের হাতকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহ্বান জানাই।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ