আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

কালুরঘাট ফেরিঘাটে মারামারি, ফেরি পারাপার বন্ধ

এম মনির চৌধুরী রানা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালুরঘাট ফেরিঘাটে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ফেরির দায়িত্বে থাকা মো. শাকিল (২৫) ও মো. সরোয়ার (২৭) আহত হয়। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। আজ (১০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার বিকেলে কালুরঘাট ফেরিঘাটের পশ্চিম দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, জহুরা বেগম নামের এক মহিলা কালুরঘাটের পূর্ব দিক থেকে ফেরিযোগে পশ্চিম দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মহিলাটি ফেরির সম্মুখে ছিলেন। পশ্চিম দিকে ফেরি ঘাটে আসলে মহিলাটিকে সতর্ক করে সরে যেতে বলেন সরোয়ার নামের ফেরির দায়িত্বে থাকা এক কর্মচারী। এতে মহিলাটি ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়াবাড়ি করেন। বাড়াবাড়ির এক পর্যায়ে একে অপরকে জুতা দিয়ে মারামারি করতে থাকেন। পরে মহিলাটিকে পশ্চিম দিকের ফেরিঘাটের অফিসের একটি রুমে বসতে বলেন এবং তার স্বামীকে আসতে বলেন। জহুরা বেগম বলেন, আমি আমার মেয়ে মিমফা মুফিজ সুমাইয়াকে নিয়ে ফেরিযোগে পার হওয়ার সময় সে ফেরিতে ছবি তুলে। এসময় সরোয়ার এসে মেয়েকে থাপ্পড় দেয় এবং ছবি তুলতে নিষেধ করে। এ কাজে সহযোগিতা করেন ফেরির দায়িত্বে থাকা আরেক কর্মচারি মো.শাকিল।
এদের কর্মকান্ড দেখে আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমার গায়ে হাত তোলে। বিষয়টি আমি আমার স্বামী মো. মুফিজ ও আমার ছেলে মকসুদুল মুমিন জিসানকে জানালে তারা ফেরিঘাটে আসলে আমার ছেলের সাথে সরোয়ার ও জিসানের হাতাহাতির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। এসময় তারা আমার স্বামীসহ অন্য একজনের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। ফেরি কর্তৃপক্ষ বলে, মহিলাটির ছেলে এসে কাঠের একটি বাঠাম দিয়ে সরোয়ারকে আঘাত করলে সাথে সাথে রক্ত বের হয়। এসময় সে শাকিলকেও আঘাত করে। পরে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ