আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

দেবহাটার ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি সহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা মামলা দায়ের

দেবহাটা প্রতিনিধি:

বিগত আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালীন সময় তৎকালিন দেবহাটা উপজেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী আবুল কালম সহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ এনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী, সাবেক পুলিশ সুপার সহ ১৪১ জনকে আসামী করা হয়েছে।
যার মধ্যে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার তৎকালীন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আবুল কালামকে হত্যার দায়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ.ফ.ম রুহুল হক, সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, দেবহাটা থানার ওসি তারক বিশ্বাস, কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুল হকসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
এছাড়া সাতক্ষীরার সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের বিএনপি কর্মী ইসলাম মোড়লকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, সদর সার্কেলের সাবেক এসপি কাজী মনিরুজ্জামান, ডিবির সাবেক ওসি এনামুল হক, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা জজকোর্টের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, এএসআই পাইক দেলোয়ার, সদর থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক শেখ মো. নাসির উদ্দীন, এসআই বিধান কুমার বিশ্বাসসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাতক্ষীরার আমলি আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের মৃত একাব্বর মোড়লের ছেলে নিহত ইসলাম মোড়লের ভাই ইসরাইল মোড়ল। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীরা হলেন, জজ কোর্টের সাবেক এপিপি ওকালত হোসেন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহাজাদাসহ ৩৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে, সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের লোকমান দফাদার এর ছেলে শিবির কর্মী মৃত হাফিজুর রহমানকে গুলি করে হত্যার দায়ে সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, সদর সার্কেলের সাবেক এসপি কাজী মনিরুজ্জামান, ডিবির সাবেক ওসির এনামুল হক, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শওকত হোসেন, জজকোর্টের সাবেক পিপি এডভোকেট আব্দুল লতিফসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত শিবির কর্মীর ভগ্নিপতি সলেমান সরদার সাতক্ষীরার আমলি আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন ।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এড, আবুবকর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটি দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে। তিনি এসময় বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ডে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

Ibrahim Hosen
01704719948

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ