আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চকরিয়াতে আইএসডিই বাংলাদেশের উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে গৃহ নির্মান ও সংস্কারে নগদ সহায়তা বিতরণ

প্রেস রিলিজ

বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই ISDE Bangladesh উদ্যোগে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা মুসলিম চ্যারিটি’র Muslim Charity এর সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ঘর মেরামত, আসবাবপত্র ও গৃহস্থলির উপকরণ ক্রয়ের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে দরিদ্রদের মাঝে নগদ সহায়তা বিরতন করেন। নগদ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এ উপলক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসুচি সমন্বয়কারি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদুল হক, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আরিফুল হক, আইএসডিই বাংলাদেশের চকরিয়া উপজেলা ম্যানেজার এম জালাল উদ্দীন ও প্রজেক্ট অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত ৭টি পরিবারকে ঘর মেরামত করার জন্য নগদ ৭৭,০০০(সাতাত্তর হাজার) টাকা করে ৫ লক্ষ উনচল্লিশ হাজার টাকা বিতরণ করেন।
এ উপলক্ষে অনানুষ্ঠানিক ভাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম দরিদ্র ও গৃহহীন মানুষকে গৃহ নির্মান করে দেয়া ও গৃহ সংস্কারের জন্য সহায়তার হাত প্রসারিত করার জন্য আইএসডিই বাংলাদেশ ও মুসলিম চ্যারিটিকে ধন্যবাদ জানান। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো এভাবে দরিদ্র মানুষের কল্যানে এগিয়ে আসলে মানবতার জয় হতো। যদিও অনেকগুলি এনজিও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মতো বানিজ্যিক কার্যক্রমে আগ্রহী দেখা যায়। বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে এসে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। মানবতার কল্যানে বেসরকারী সংগঠনগুলি এগিয়ে আসবেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।শুভেচ্ছা বক্তব্যে আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসুচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হিসাবে কক্সবাজারের বিভিন্ন দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া এলাকার দরিদ্র মানুষের কল্যানে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছে। চকরিয়া উপজেলার প্রান্তিক, পিছিয়েপড়া দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যানে আমাদের বিভিন্ন মানবিক ও সেবামুলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। আমাদের এ সমস্ত মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ব্যক্তির দান-অনুদান অব্যাহত রাখার জন্য মুসলিম চ্যারিটির মাধ্যমে তাদের প্রতি আমরা গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য আইএসডিই বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা মুসলিম চ্যারিটির সহযোগিতায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলায় ১১ টি নতুন ঘর নির্মান করেছেন। এবছর আরও ০৫টি নতুন ঘর স্থাপনের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করছেন। তারই অংশহিসাবে ১১টি ঘরের সংস্কার, গৃহের সার্বিক রক্ষনাবেক্ষন কাজ, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও গৃহস্থলির উপকরণ ক্রয়ের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ