আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

চকরিয়াতে আইএসডিই বাংলাদেশের উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে গৃহ নির্মান ও সংস্কারে নগদ সহায়তা বিতরণ

প্রেস রিলিজ

বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই ISDE Bangladesh উদ্যোগে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা মুসলিম চ্যারিটি’র Muslim Charity এর সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ঘর মেরামত, আসবাবপত্র ও গৃহস্থলির উপকরণ ক্রয়ের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে দরিদ্রদের মাঝে নগদ সহায়তা বিরতন করেন। নগদ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এ উপলক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসুচি সমন্বয়কারি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদুল হক, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আরিফুল হক, আইএসডিই বাংলাদেশের চকরিয়া উপজেলা ম্যানেজার এম জালাল উদ্দীন ও প্রজেক্ট অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত ৭টি পরিবারকে ঘর মেরামত করার জন্য নগদ ৭৭,০০০(সাতাত্তর হাজার) টাকা করে ৫ লক্ষ উনচল্লিশ হাজার টাকা বিতরণ করেন।
এ উপলক্ষে অনানুষ্ঠানিক ভাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম দরিদ্র ও গৃহহীন মানুষকে গৃহ নির্মান করে দেয়া ও গৃহ সংস্কারের জন্য সহায়তার হাত প্রসারিত করার জন্য আইএসডিই বাংলাদেশ ও মুসলিম চ্যারিটিকে ধন্যবাদ জানান। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো এভাবে দরিদ্র মানুষের কল্যানে এগিয়ে আসলে মানবতার জয় হতো। যদিও অনেকগুলি এনজিও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মতো বানিজ্যিক কার্যক্রমে আগ্রহী দেখা যায়। বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে এসে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। মানবতার কল্যানে বেসরকারী সংগঠনগুলি এগিয়ে আসবেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।শুভেচ্ছা বক্তব্যে আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসুচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হিসাবে কক্সবাজারের বিভিন্ন দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া এলাকার দরিদ্র মানুষের কল্যানে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছে। চকরিয়া উপজেলার প্রান্তিক, পিছিয়েপড়া দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যানে আমাদের বিভিন্ন মানবিক ও সেবামুলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। আমাদের এ সমস্ত মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ব্যক্তির দান-অনুদান অব্যাহত রাখার জন্য মুসলিম চ্যারিটির মাধ্যমে তাদের প্রতি আমরা গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য আইএসডিই বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা মুসলিম চ্যারিটির সহযোগিতায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলায় ১১ টি নতুন ঘর নির্মান করেছেন। এবছর আরও ০৫টি নতুন ঘর স্থাপনের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করছেন। তারই অংশহিসাবে ১১টি ঘরের সংস্কার, গৃহের সার্বিক রক্ষনাবেক্ষন কাজ, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও গৃহস্থলির উপকরণ ক্রয়ের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমরা তোমাকে ভুলবো না আছিয়া।

আমি যখন সংবাদে জানতে পারলাম, আছিয়া মারা গেছে। ঠিক তখনই দুমড়ে, মুচড়ে গেলাম আমি । একদম কাচের মতো টুকরো, টুকরো হয়ে গেলাম। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে আর ঠিকে থাকা হলো না ছোট আছিয়ার। কি কারণে আমরা আজ আছিয়া কে হারালাম??? কি অন্যায়?? কি দোষ??? কি ত্রুটি ছিলো ৩য় শ্রেণীতে পড়া ছোট এই আছিয়ার??? একটাও প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পেলাম না। কেন

আমরা এই ছোট আছিয়ার নিরাপত্তা দিতে পারিনি??? হিংস্র কিছু মানুষ রুপী পশুর নির্মম নির্যাতনের শিকার হলো আমাদের ছোট আছিয়া। যে আছিয়া স্কুলে
যাওয়ার কথা, হেসে খেলে মুক্ত বাতাসে তার এলোমেলো চুল উড়ানোর কথা, সেই আছিয়ার কেন এই নিষ্ঠুর পরিনতি??

আমরা কি পারবো, দ্রুত সময়ের মধ্যে, আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে ?? ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো আমাদের আছিয়া। আমরা তোমায় ভুলবো না আছিয়া। আকাশে জ্বলজ্বল করে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আমাদের হৃদয়ে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের আছিয়া।

আমরা আর কোন আছিয়াকে হারাতে দেব না। আমাদের সমাজের এই ছোট সোনামনিদের, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে ।

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ