আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চকরিয়াতে আইএসডিই বাংলাদেশের উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে গৃহ নির্মান ও সংস্কারে নগদ সহায়তা বিতরণ

প্রেস রিলিজ

বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই ISDE Bangladesh উদ্যোগে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা মুসলিম চ্যারিটি’র Muslim Charity এর সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ঘর মেরামত, আসবাবপত্র ও গৃহস্থলির উপকরণ ক্রয়ের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে দরিদ্রদের মাঝে নগদ সহায়তা বিরতন করেন। নগদ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এ উপলক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসুচি সমন্বয়কারি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদুল হক, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আরিফুল হক, আইএসডিই বাংলাদেশের চকরিয়া উপজেলা ম্যানেজার এম জালাল উদ্দীন ও প্রজেক্ট অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত ৭টি পরিবারকে ঘর মেরামত করার জন্য নগদ ৭৭,০০০(সাতাত্তর হাজার) টাকা করে ৫ লক্ষ উনচল্লিশ হাজার টাকা বিতরণ করেন।
এ উপলক্ষে অনানুষ্ঠানিক ভাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম দরিদ্র ও গৃহহীন মানুষকে গৃহ নির্মান করে দেয়া ও গৃহ সংস্কারের জন্য সহায়তার হাত প্রসারিত করার জন্য আইএসডিই বাংলাদেশ ও মুসলিম চ্যারিটিকে ধন্যবাদ জানান। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো এভাবে দরিদ্র মানুষের কল্যানে এগিয়ে আসলে মানবতার জয় হতো। যদিও অনেকগুলি এনজিও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মতো বানিজ্যিক কার্যক্রমে আগ্রহী দেখা যায়। বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে এসে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। মানবতার কল্যানে বেসরকারী সংগঠনগুলি এগিয়ে আসবেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।শুভেচ্ছা বক্তব্যে আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসুচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা হিসাবে কক্সবাজারের বিভিন্ন দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া এলাকার দরিদ্র মানুষের কল্যানে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছে। চকরিয়া উপজেলার প্রান্তিক, পিছিয়েপড়া দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যানে আমাদের বিভিন্ন মানবিক ও সেবামুলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। আমাদের এ সমস্ত মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ব্যক্তির দান-অনুদান অব্যাহত রাখার জন্য মুসলিম চ্যারিটির মাধ্যমে তাদের প্রতি আমরা গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য আইএসডিই বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা মুসলিম চ্যারিটির সহযোগিতায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলায় ১১ টি নতুন ঘর নির্মান করেছেন। এবছর আরও ০৫টি নতুন ঘর স্থাপনের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করছেন। তারই অংশহিসাবে ১১টি ঘরের সংস্কার, গৃহের সার্বিক রক্ষনাবেক্ষন কাজ, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও গৃহস্থলির উপকরণ ক্রয়ের জন্য নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ