আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামস্থ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে =====ডা. শাহাদাত হোসেন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন,গত ১৬ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার করতে শত কোটি টাকার দুর্নীতির হয়েছে। পর্দা দুর্নীতি, বালিশ দুর্নীতিতে সারা বিশ্বকে অবাক করেছে। ডাক্তার বদলি বাণিজ্য করেছে। বৈষম্যের শিকার হয়েছে শত শত ডাক্তার ।গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া পরিপূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয়। পরিপূর্ণ সংস্কারের জন্য নির্বাচিত সরকারের কোন বিকল্প নেই। তাই দ্রুত সময়ে সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে, জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সকলকে নিয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।আজ সন্ধ্যায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রামস্থ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, গত ১৬ বছর মামলা হামলাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। বিএনপিসহ বিরোধীমতকে গুম খুন মামলা হামলা দায়ের করেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিন আদালতে হাজিরা দিয়ে কেটেছে নেতাকর্মীদের জীবন। শেখ হাসিনার মতো অমানবিক নির্যাতন ও অত্যাচার ইতিহাসে আর কোন সরকার করেনি।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। প্রতিটি সেক্টরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে। তারা এখনো স্বৈরাচারী শক্তির হয়ে কাজ করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাদের সবাইকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে আওয়াজ তুলতে হবে। প্রতিটি সেক্টরে স্বৈরাচারের দোসর আছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।

ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সবসময় চিকিৎসকদের উপর নির্ভর করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া কখনো আপোস করেননি। ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনা রাতের আঁধারে চলে গেছেন। এবারও দলের কথা চিন্তা না করে পালিয়ে গেছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় দেশনেত্রীকে বিদেশে দুই ছেলে নিয়ে চলে যেতে বলছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন তারেক কোকো নয় পুরো দেশে আমার ছেলে মেয়ে আছে। তাদের ফেলে আমি দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারব না। চিকিৎসা নিতে হলে আমি আমার দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসক আছেন তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিব।
ড্যাবের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসেরের সভাপতিত্বে এবং ডা.এস.এম রিয়াসাদ এবং ডা.মো.জাহিদুল এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায়
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সভাপতি ডা.জসিম উদ্দিন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ডা. তমিজউদ্দিন মানিক, ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ডা. আব্বাস উদ্দিন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায় হোসেন ঢালী, ড্যাব নেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সরওয়া আলম,ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-সভাপতি ডা.নুরুল করিম, ড্যাব চট্টগ্রাম সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, ডা.ইসা চৌধুরী, ডা. আরিফ হায়দার, ডা. শফিকুল রহমান, ডা.মিজানুর রহমান, ডা. জাবেদ জাহাঙ্গীর তুহিন, ডা. এরশাদ একরামুল্লা,ডা. আলিনুর বক্সীর, ডা. রেজাউল করিম, ডা. নুর আলম অরণ্য, ডা. আশিক সালাউদ্দিন, ডা. আব্দুল আল মামুন, ডা. ইফতেখার টিঠু,ডা. জাহেদ উদ্দিন, ডা. আরফিন রেজা, ডা. নাসিম রেজা, ডা.জিআরএম জিহাদুল ইসলাম, ডা. মাইনুল রিদওয়ান, ডা. আদনান, ডা. অপু, ডা. সোহাগ চক্রবর্তী, ডা. সরোয়ার, ডা. সালে, ডা. বেলাল, ডা. আলা আমিন, ডা.নাঈম, ডা. আসিফ, ডা. সোহাগ, ডা. শুভ, ডা.তাহমিন
প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ