আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময়সভা

সফিকুল ইসলাম শিল্পী, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সাংবাদিকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা নায়েবে আমীর বেলাল উদ্দিন প্রধান বলেন,-
‘আমরা এমন সময় আপনাদের এখানে আহবান করেছি যে সময় ঘটে যাওয়া ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতা গণবিপ্লবের পরে এ দেশে একটি স্বাধীন এবং মুক্ত পরিবেশ বিরাজমান। সেই সাথে এখানে একাটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছেন। যিনি সরকারের দ্বায়িত্ব পালন করছেন তিনি সাবেক নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড.মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এই সরকারকে আমরা সার্বিকভাবে সহযোগিতার হস্ত প্রসার করেছি। আমাদের কেন্দ্রিয় জামায়াত স্পষ্ট ভাবে এবং দৃঢ় ভাবে বলেছেন যে, এই সরকার যোক্তিক সময় পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকবেন এবং যাবতীয় সংস্কার করে তারা একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে এসে জাতীয় নির্বাচন দিবেন, আমরা এইটাই প্রত্যাশা করি।’

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ তাদের নিজেস্ব কার্যালয়ে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামায়াতের উপজেলা শাখার সেক্রেটারি রজব আলীর সঞ্চালনায় উপস্থিতথেকে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতে নায়েবে আমীর বেলাল উদ্দিন প্রধান।

এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মতিউর রহমান, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি শাহজালাল, রাণীশংকৈল উপজেলা জামায়াতে আমীর রফিকুল ইসলাম, সহসেক্রেটারী মিন্নাতুল পাঠান, উপজেলা বাইতুলমাল সম্পাদক রমিজ উদ্দিন আহমেদ,উপজেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নায়েবে আমির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য তার বক্তব্যে বলেন”—অনেকে তাদের সংখ্যালঘু বলেন। আমরা বলতে চাই তারা জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। সংখ্যালঘু বলে আমরা তাদের ছোট করতে চাই না।আপনারা যে যায়গায় আছেন আমরা আপনাদের সেই মর্যাদার আসনে রাখতে চাই।আপনাদের যতরকমের সমস্যা থাকতে পারে আপনারা আমাদের কাছে আসবেন না বরং আপনারাই আমাদের ডাকবেন,তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা আপনাদের পাশে এসে দাড়াবো ইনশাআল্লাহ”। তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির আমরা তথ্য সন্ত্রাসের শিকার।আমাদেরকে জংগী বানানো হয়,আমাদেরকে সাম্প্রতিক শক্তি বানানো হয়,আমাদেরকে সন্ত্রাসী বানানো হয় অথচ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি ছাত্রশিবির সন্ত্রাস, জংগীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, যাবতীয় খারাপ জিনিসের ধারে কাছেও আমরা নাই।”
মতবিনিময় সভায় উপজেলা জামায়াতে ইসলামী সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের বাকশক্তি হরণ করা হয়েছিল। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আজ আমরা মুক্তভাবে প্রকাশ্যে আমাদের কথাগুলো বলতে পারছি।”
এ সময় রাণীশংকৈল উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দুপুরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন,নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়। এর আগে, গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ওসমান হাদি ইতিমধ্যে তার ভেড়িফাইড ফেইস বুকে লিখেছিলেন, গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।

আজ শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন-নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ