আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

রাজনীতির গুণগত মান পরিবর্তন করতে হবে – এস এম জিলানী

প্রেস রিলিজ

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেছেন, দীর্ঘ ১৭টি বছর একটি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের মানুষের হারানো গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার এবং বাক স্বাধীনতা ফিরে পাবার জন্য লড়াই করেছি। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা ২০০৭ সালে লগি বৈঠা তান্ডবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল। তারপরে দেখেছি বিডিআর হত্যাকান্ড যেখানে ৫৭ জন সেনা অফিসারকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। ৫ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে শেখ হাসিনার উল্লাস আমরা দেখেছিলাম। আমরা দেখেছি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রিয় নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ সাতটি বছর কারাগারের অন্তরালে কিভাবে আবদ্ধ করে রেখেছিল। প্রিয় নেতাকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অসংখ্য মামলা দিয়ে ফরমায়েসি রায়ের মাধ্যমে বিদেশে অবস্থান করতে বাধ্য করেছিল। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে তারা গুম করেছে,খুন করেছে ১৭ টি বছর আমরা দেখেছি। এই ১৭ টি বছর অত্যাচার নির্যাতন গুম খুনের যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল গত ৫ই আগষ্ট। সেই ৫ই আগষ্টে ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশ থেকে একটি দীর্ঘ ১৭ বছরের একটি ফ্যাসিবাদকে আমরা হটিয়েছি।

তিনি আরোও বলেন,আমাদেরকে মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা হয়তো পালিয়ে গিয়েছে কিন্তু শেখ হাসিনা কিন্তু সবাইকে নিয়ে পালিয়ে যায়নি। স্বৈরাচারের দোসররা আমাদের মাঝে ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা প্রতিনিয়ত আপনাদেরকে বিপথগামী করার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছে সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাদের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে আমার অনেক সহকর্মীরা তাদের সেই পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ফেলছে।এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা তো দেখলাম সদ্য একটি ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে এদেশ থেকে চিরতরে উৎখাত করেছে। কত ক্ষমতাধর মানুষ আমাদের চোখের সামনে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেল। আমরা দেখেছি বেনজির আহমেদকে তার ক্ষমতার দাপট। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে বিষাদ মাটির তল থেকে উঠে নিয়ে আসার জন্য বারবার নির্দেশনা দিয়েছিল। বেনজির আহমেদ হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট কওে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল করে বিদেশে পাচার করেছে। বেনজির আহমেদ দেশ থেকে পালিয়ে যেখানে পড়ে থাকুক সে কি কোন মানুষের সাথে মিলতে পারবে? বাংলাদেশের কমিউনিটি কারো সাথে সে সম্পর্ক করতে পারবে? জুম্মার নামাজ পারবে? অসহায় এক হৃদয় বিদারক যন্ত্রণার মধ্যে বসবাস করছে বেনজির। আমার হাজার হাজার টাকা লুন্ঠন করে বিদেশে পাচারকারী দরবেশদের পরিণতিও দেখেছি। তাই এই ইতিহাস থেকে আমাদেরকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। আমরা যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে না পারি আমাদের পরিণতি কি হবে তা সহজে অনুমেয়। আমাদের নেতা তারেক রহমান বারবার আপনাদেরকে আমাদেরকে সতর্ক করছেন। আমাদের রাজনীতির গুণগত মান পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের কোন অপকর্মের দায় প্রিয় অভিভাবক তারেক রহমান এবং দল গ্রহণ করবেনা। আমরা একটি আদর্শ বিশ্বাস করি। সেই দলটাকে সবার উপরে আমাদের স্থান দিতে হবে।

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেলে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে দিকনির্দেশনামূলক যৌথ কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধান আলোচক এর বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না, যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কোন ধরনের অন্যায় আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এবং আগামী দিনেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই দলের সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কর্মকান্ড করা যাবে না। আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন বাংলাদেশ ছাড়া আমার কোন ঠিকানা নাই। খুনী হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি ও তাদের লালিত পালিত দোসরসহ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব পর্যন্ত পালিয়ে গেছে। কারণ তাদের অপকর্মের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে তাদের বাধ্য করেছে। আমাদেরকে আগামী দিনে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। ইতিমধ্যেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর রাজনীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য কয়েকটি সিদ্ধান্তগ্রহণ করেছেন। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী বলেন, যদি আমরা জনগণের হৃদয়ে অবস্থান করতে পারি জনগণই আমাদের ভালোবেসে ক্ষমতায় বসাবেন। আমরা জিয়াউর রহমানের আমলের বাংলাদেশ গড়তে চাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলের বাংলাদেশ গড়তে চাই।
একটি সুশৃঙ্খল ও সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করার জন্য দেশনায়ক তারেক রহমান দিনরাত পরিশ্রম করছেন। দেশনায়ক তারেক রহমান এর সৈনিক হিসেবে আপনাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু রাফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে সম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সকল দল-মত, জাতি-ধর্ম সকলের সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্নভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত আছে। ছাত্রদলকে সর্বদা সজাগ থেকে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে ওয়াসিম, রাব্বি ও তানভীর সহ অনেকে শহীদ হয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগকে সম্মানিত করতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছাত্রদলকে কঠোর কর্মসূচি নিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাসিবাদের কোলে লালিত হওয়া সন্ত্রাসীদের উৎখাত করতে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি আন্দোলন ব্যর্থ হতো তাহলে ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলের শিকার হতো ছাত্রদল তথা বিএনপি। ছাত্রদল গত ষোল বছর ধরে ফ্যাসিবাদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে বজ্র কন্ঠে আওয়াজ তুলেছিল হাসিনা তুই স্বৈরাচার। জিয়া পরিবারের বিশ্বস্থ ভ্যানগার্ড জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছাত্রদল সর্বদা গণতন্ত্রের ঢাল হিসেবে সবসময় রাজপথে ছিল। আগামীতেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। নিজে সৎ থাকলে আমরা জনগণের মাঝে সততা প্রতিষ্ঠা করতে পারব। ইনশাআল্লাহ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান এর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মনজুর আলম তালুকদার, সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রবিউল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে : জামায়াত আমির।

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় ৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্খার বিজয় হবে কুরআনের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গাড়ি দিয়ে পালানোর সাহস তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিকে এই অপকর্মে লাগানোর চেষ্টা করেছিল। দেশের সবকিছু তারা ধ্বংস করেছিল। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। বাংলাদেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তারা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। শাপলা চত্বরে অসংখ্য মাওলানাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিল রঙ দিয়ে শুয়ে ছিল। তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে।
আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

৮ দলের প্রধানদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ইসলামি শক্তিকে কেউ নিস্তব্ধ করতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামপন্থীদের। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা কবে না।তিনি বলেন, আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে চট্টগ্রামকে ইসলামের ঘাঁটি বানাই। চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। ৮ দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।

এটিএম আজহার বলেন, বাংলাদশ এমন পর্যায়ে দাঁড়াবে বিদেশিরা এখানে পড়ালেখা করতে আসবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ি।খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয়ের মাধ্যমে কোরআনের শাসন শুরু হবে। সোনার বাংলাদেশ দেখা শেষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখা শেষ- এবার আল কোরআনের বাংলাদেশ দেখতে চাই, ইসলামের বাংলাদেশ দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের অধিকার চাই, মালিকানা কায়েম করতে চাই। গরিব মেহনতী মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। ইসলাম যে বৈষম্যহীনের কথা বলা হয়েছে। পুঁজিবাদর অর্থ ব্যবস্থা করব দিয়ে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার ও মালিকানা কায়েম করতে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার কবর তৈরি করে সেই ধ্বংস স্তূপের ওপর আল্লাহর কুরআনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের বিগত দিনগুলো শুধু উন্নয়নের গল্প শুনানো হয়েছে। কিন্তু নিজেরাই হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই তো উন্নয়ন। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
সমাবেশে ৮ দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম

সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আলাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব আল্লামা মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আলী উসমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, খেলাফত মজসিলের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি রেজাউল আববার, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোতালেব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মুজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন।

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হোসেনপুরে বিএনপি নেতার খাবার বিতরণ।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়-কিশোরগঞ্জের-হোসেনপুরে পাঁচশত অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠ পৌর বিএনপির সভাপতি একে. এম. শফিকুল হক শফিকের উদ্যোগে নতুন বাজার মোড়ে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সেলিম, পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার মাসুম বাবুল, পৌর ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল খালেক, পৌর ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পৌর ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোল্লা, জেলা জাসাস সদস্য স্বপন মিয়া, পৌর সদস্য সচিব রিমন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক পৌর রুমান মিয়া,

পৌর বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জজ মিয়াসহ পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।এ সময় পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। এ কর্মসূচিতে অবস্থিত অসহায় মানুষরা খাবার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ