আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে গণপরিবহনে সপ্তাহের সাতদিনই শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

শুক্রবার থেকে কার্যকর

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ছবি-২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে সবধরনের গণপরিবহনে সপ্তাহের সাতদিনই শিক্ষার্থীদের জন্য ‘হাফ পাস’ (অর্ধেক ভাড়া) চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় পুলিশ, মালিক সমিতি ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে চট্টগ্রাম মহানগর বাস মিনিবাস হিউম্যান হেলার মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া ও পরিবহন খাতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একটি সভা হয়েছে। সেখানে সপ্তাহে সাত দিনই হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। গণ-আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিশেষ অবদানের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে এ সিদ্ধান্ত নেন মালিক সমিতির নেতারা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল জানান, পুলিশ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য এখন সপ্তাহের সাতদিনই সব গণপরিবহনে ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আগে শুধু বাসে অর্ধেক ভাড়া দিতেন। এখন সবধরনের গণপরিবহনেই তারা ‘হাফ পাস’র সুবিধা পাবেন।
প্রতিদিন সকাল ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মহানগর এলাকায় শিক্ষার্থীরা বাসে অর্ধেক ভাড়া দেওয়ার এ সুবিধা পাবেন। এ জন্য শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় অথবা সঙ্গে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র থাকতে হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভবিষ্যৎ উন্নয়ন যাত্রায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররাই অন্যতম শক্তি : চুয়েট ভিসি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া মহোদয় বলেছেন, আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন চিন্তাই করা যায় না। আর ভবিষ্যৎ উন্নয়ন যাত্রায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররাই হবে অন্যতম শক্তি। তিনি আরও বলেন, আমরা এখন এমন এক সময়ে অবস্থান করছি যখন প্রযুক্তি শুধু একটি খাত নয় বরং সমগ্র মানব সভ্যতার চালিকাশক্তি। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে কম্পিউটার সায়েন্স। আধুনিক শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিনোদনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফটওয়্যার, ডেটা ও অ্যালগরিদম অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন মানুষের সিদ্ধান্ত-প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী ও দ্রুততর করে তুলছে।

বৃহস্পতিবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী “সিএসই ফেস্ট ২০২৫” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এর চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মানজারে খোরশেদ আলম এবং ডেলিনিয়েট এর ফুলস্টেক টেক লিড আরাফাত হোসাইন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার ধর। এতে সঞ্চালনা করেন সিএসই ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আবতাহী কবির ও সমন্বিতা সরকার।

প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানের শুরুতে সিএসই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক আনন্দ র‌্যালী হয়। এরপর কেক কেটে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনদিনব্যাপী উক্ত সিএসই ফেস্টে অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে থাকছে ইন্টার ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, ন্যাশনাল ড্যাটাথন, মাইক্রো-ওপস হ্যাকাথন, টেকনিক্যাল টক, সেমিনার এবং জব ফেয়ার।

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ