
বৃষ্টি না থাকায় শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো পানিবন্দি রয়েছে অনেক মানুষ। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। তিন দিনের বন্যায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর পানি ১৩৮ সেন্টিমিটার, চেল্লাখালী মদীর ৭৭ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার কারণে জেলার ২৪২টি প্রাথমিক ও ৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে শিশু ও বয়স্ক নারীরা পুরুষ গন,

টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে শেরপুরের পাঁচ উপজেলা৷ এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে দুই লাখেরও বেশি মানুষ। ইতোমধ্যে পৌনে দুই লাখ কৃষকের প্রায় পঞ্চাশ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে সাড়ে তিন হাজার মাছের ঘের ভেসে গিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শেরপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে গ্রামীণ সড়কগুলোতে পানি থাকায় ক্ষতি নিরূপণ করা যাচ্ছে না। উপজেলা পর্যায়ে আমাদের টিম রয়েছে। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে তারা কাজ করবে। পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করে বলা যাবে।

শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক ড: সুকল্প দাস বলেন, পাহাড়ি ঢলে তিন উপজেলার আমন ধান ও সবজির আবাদ নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমবেশি নির্ভর করবে পানি নেমে যাওয়ার উপর। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রয়োজন: রিজওয়ানা
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা সব জায়গায় ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এ কাজে সেনাবাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যবসায়ীসহ সবাই এগিয়ে এসেছেন।