আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

আলকরার ভাজনকরা প্রবাসী কল্যাণের পরিষদের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত

জহিরুল ইসলাম সুমন চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রশংসায় স্থানীয়রা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের ভাজনকরা গ্রামের সড়ক গুলো দীর্ঘদিন থেকে উন্নয়ন বঞ্চিত। সড়ক গুলো সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় একেবারে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

কয়েক দিন আগে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভাজনকরা গ্রামে সব কয়টি রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক গুলো নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পডেছে। গ্রামের পাকা সড়ক গুলো দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে চলাচলে অনুপযুক্ত হয়ে পডেছে, এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীর।

গ্রামবাসীর এই ভোগান্তি দেখে ভাজনকরা প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ, গ্রামের সবগুলো সড়ক সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়ে সংস্কার কারে দিয়েছেন।

গ্রামবাসীর দুর্ভোগের কথা শুনে ভাজনকরা প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা কাজী আরিফুল হাসান (আরিফ) সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ওসমান গনি,সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান (নয়ন) ও বর্তমান সভাপতি,এম মির্জা মহিউদ্দিন বাবর ও সাধারণ সম্পাদক এম নজরুল ইসলাম ভাজনকরা প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সকল সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে রাস্তা গুলো সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

ভাজনকরা গ্রামের সফিক মিয়া বলেন, অনেক বছর এ রাস্তা দিয়ে রিকশা , সি এনজি চলাচল করতে পারি নাই। গত কয়েক দিনের বন্যায় সড়ক গুলো প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাজনকরা প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এ সড়ক গুলো কংক্রিট, রাবিশ,বালু দিয়ে রোলার করে চলাচলের উপযোগী করায় এখন আমরা ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছি। দীর্ঘ ১০/১৫ দিন ধরে সংস্কার করে রাস্তাগুলো চলাচলের উপযুক্ত করে দেয়ায় গ্রামবাসী ভাজনকরা প্রবাসী কল্যাণ পরিষদকে ধন্যবাদ জানান।

সংস্কার কাজে সংগঠনের দেশ ও প্রবাসের উপদেষ্টা মন্ডলী, কার্যকরী কমিটির সদস্যরা আর্থিকভাবে সর্বাত্নক সহযোগিতা করেছেন বলে জানা যায়।
এলাকায় থেকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেছেন ভাজকরা প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের উপকমিটির প্রধান সমন্বয়ক,ও পদুয়া সুফিয়া রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিম ভূঁইয়া সবুজ। উপকমিটির সদস্য মমিনুল ইসলাম মাছুম। প্রবাসী কল্যাণ পরিবারের সদস্য আবু ইউসুফ সোহেল, আবুল বশর, গোলাফ হোসেন রুবেলসহ গ্রামের যুবকেরা।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন গ্রামের সকল অসহায় ও গরীব পরিবারকে আমরা সর্বাত্নক সহযোগিতা করার জন্য কাজ করছি, এবং রাস্তা সংস্কার কাজ শেষ হলে ইনশাআল্লাহ, গ্রামের সকল সড়কে স্ট্রিট লাইট লাগানোর ও ব্যবস্থা করা হবে।

গ্রামবাসী ইয়াছিন বলেন,সড়ক গুলো গত ১৭ বছরের কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। চলাচলের অনুপযোগী ছিল। গ্রামবাসী ও ভাজনকরা প্রবাসী কল্যাণের উদ্যোগে সড়ক গুলো সংস্কার করা হয়েছে।

একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা , পেয়ার আহমেদ বলেন, সড়কগুলো অনেক দিন অবহেলিত ছিল। প্রবাসীদের উদ্যোগে চলাচলের উপযোগী করায় গ্রামের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজ মাদ্রাসায় যেতে পারছে। এ সংগঠনকে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ