
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রক্ত ঝরানোর ইন্ধনদাতা ও বিগত স্বৈরাচার সরকারের ‘দোসর’ সাংবাদিকদের তালিকা ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারস্থ সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা। রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার প্রেসক্লাব কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে লিখিত ওই তালিকা জমা দেন তারা। ওই তালিকায় কক্সবাজারে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকসহ ৩৪ জন সাংবাদিক ও একটি অনলাইন নিউজ চ্যানেলের নাম রয়েছে। তালিকায় থাকা গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ‘ইন্ধনদাতা’ ও স্বৈরাচারের দোসর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়।
সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা লিখিত একটি আবেদন কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে তুলে দেন।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, সহ-সভাপতি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সভাপতি জি এ এম আশেক উল্লাহ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রবিউল হোসেন, সাহেদ ওয়াহিদ সাহেদ, সাহেদ মোহাম্মদ লাদেন, আতাহার সাকিব, জিনিয়া শারমিন রিয়া, সাগর উল ইসলাম, রায়ান কাশেমী, ইউসুফ নূরী, সাহাব উদ্দিন, ফারিয়া রসিদ স্নেহা প্রমূখ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বৈরাচারী সরকারের ‘দোসর’ সাংবাদিকদের তালিকায় আছেন যারা- কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, আয়াছুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ, নজিবুল ইসলাম ও মুজিবুল ইসলাম।

এছাড়াও ছাত্রদের রক্ত ঝরানোর মতো অমানবিক কাজে জড়িত সাংবাদিকদের তালিকায় আছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সাংবাদিক ফরহাদ ইকবাল, দীপক শর্মা দীপু, রাসেল চৌধুরী, কামরুল ইসলাম মিন্টু, মোহাম্মদ আলী জিন্নাত, নুপা আলম, সওয়ার আজম মানিক, ওয়াহিদ রুবেল, সায়ীদ আলমগীর, সুজা উদ্দিন রুবেল, শফি উল্লাহ শফি, মহসিন শেখ, আবদুল আজিজ, আহসান সুমন, আইয়ুবুল ইসলাম, তৌফিক লিপু, নেজাম উদ্দিন (খোলা কাগজ), তানভীর শিপু, এইচ এম এরশাদ, মনতোষ বেদজ্ঞ, শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, সানজিদুল আলম সঞ্জিব, নজরুল ইসলাম, সাজন বড়ুয়া, শংকর বড়ুয়া রুমি, ইমরুল কায়েস চৌধুরী, জুনায়েদ ওরফে জুনাইদ স্যার ও তুষার তুহিন।
ছাত্র প্রতিনিধিরা লিখিত আবেদনে বলেন, ‘সাংবাদিকতার আঁড়ালে এদের কর্মকান্ড ছিল জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্রবিরোধী। ছাত্ররা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিযেছে। এসব জাতীয় দুশমনেরা জাতির এ মহান পেশার একমাত্র স্থান কক্সবাজার প্রেসক্লাব বা সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে আর যাতে জাতির ক্ষতি করতে না পারে, সে জন্য তাদের প্রেসক্লাবের সদস্য পদ হতে বহিষ্কার (যাদের সদস্য পদ আছে) ও সাংবাদিক অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওই তালিকায় একটি অনলাইন নিউজ চ্যানেলের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, ‘উক্ত বিপ্লবে স্থানীয় তথাকথিত অনলাইন মিডিয়া টিটিএন ও সিসিএন ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে সরাসরি মাঠে ছিল এবং তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালিয়েছিল।











